গাজী রাকায়েতের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিল ২৬ এপ্রিল
অভিনেতা, নির্মাতা ও ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি গাজী রাকায়েতের ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ শনিবার (২৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম মামলার এজহারটি গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
‘গাজী রাকায়েত কুটু’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ম্যাসেঞ্জারে ‘অশালীন প্রস্তাব’ দেয়ার অভিযোগে রাজধানীর শ্যামপুর থানায় অভিনেতা, নির্মাতা ও ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি গাজী রাকায়েতের ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মামলাটি করেন কানিজ ফাতেমা নামে এক নারী। মামলা নম্বর ২৬।
মামলার এজাহারে ওই নারী অভিযোগ করেছেন, ‘গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘গাজী রাকায়েত কুটু’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে আমার মেসেঞ্জারে কথা বলার সময় বিভিন্ন অশ্লীল, অনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুভূতি পরিপন্থী বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ প্রস্তাব দেন। তাকে ওইসব আলাপ বন্ধ করতে বলার পরও তিনি জঘন্য রকম যৌন উত্তেজক কথা বলে আমাকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেন, উত্ত্যক্ত করেন।’
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘গাজী রাকায়েত টুকু’ ফেসবুক আইডি থেকে ওই গৃহবধূকে ‘অশ্লীল, অনৈতিক, ধর্মীয় অনুভূতি পরিপন্থী, ইঙ্গিতপূর্ণ ও যৌন উত্তেজক’ বার্তা পাঠানো হয়। এতে ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে তার সম্মানহানি হয়েছে।
অধিকারকর্মী অপরাজিতা সংগীতার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে এজাহারে বাদী বলেন, অপরাজিতা সংগীতার বিরুদ্ধে মামলার মাধ্যমে গাজী রাকায়েত ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমাকে ও আমার শুভান্যুধায়ীদের অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন তিনি। এ বিষয় নিয়ে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশনে যাওয়া এবং শ্যামপুর থানায় জিডির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
ডিরেক্টরস গিল্ড, টেলিভিশন প্রযোজক সমিতি ও শিল্পী সমিতির বিরুদ্ধে তদন্তের নামে কালক্ষেপণের অভিযোগ করে ওই নারী মামলায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে সংগীতার ওপর বিভিন্ন চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে আমাকেও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার এসআই মাহবুব আলম বললেন, ‘গাজী রাকায়েত কুটু নামে একটি ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন তদন্ত করবে। এরপরই এই মামলা নিয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।’
জেএ/এলএ/জেআইএম