ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

অভিনয়ের ক্যারিয়ারে এটাই আমার সেরা প্রাপ্তি : মুক্তি

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৮

শোবিজে আলোর রোশনাই ছড়িয়ে অভিনেত্রীদের হারিয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। অনেকেই বিয়ে করে বা দেশের বাইরে গিয়ে অভিনয়ে আর ফিরেননি। এই তালিকাটা বেশ দীর্ঘই। তবে এর মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কিনা অনিয়মিত যাওয়া আসার মধ্যে থাকেন। অভিনয়টাকে মন থেকে ভালোবাসেন বলে হঠাৎ হঠাৎ ফিরে আসেন।

তেমনি একজন মডেল ও অভিনেত্রী আয়েশা সালমা মুক্তি। অনেক দিন ধরেই কোনোরকম আলোচনাতে নেই। নাচ ও মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও অভিনয় জগতে বেশ প্রশংসিত তিনি। অনেক দিন পর নিয়মিত হবার প্রত্যয়ে অভিনয়ে ফিরেছেন মুক্তি। কাজের বিরতি, ব্যস্ততা ও অন্যান্য সমসাময়িক বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের শোবিজে কথা বলেছেন। তাকে নিয়ে লিখেছেন ইমরুল নূর।

জাগো নিউজ : অনেকদিন পর অভিনয়ে ফিরলেন। কেমন লাগছে প্রত্যাবর্তন.....?
মুক্তি : অভিনয় তো ছাড়ি নি কখনো, অভিনয়েই আছি। তবে অনিয়মিত ছিলাম। অভিনয় আমার এক জীবনের সাধনা, এটা ছাড়তে পারবো না।

জাগো নিউজ : নতুন কাজ সম্পর্কে কিছু বলুন.....
মুক্তি : দুটি নাটকের কাজ করলাম ‘নূরা পাগলা’ ও ‘বন্ধু বেঈমান’। দুটোই পরিচালনা করেছেন শামীম জামান। এগুলোর শুটিং করেছি গত মাসের ২৬, ২৭, ২৮ তারিখে। কিন্তু কাউকেই কিছু বলিনি। গতকাল ছবি পোস্ট করার পর অনেকেই ফোন দিয়েছেন আমাকে।

জাগো নিউজ : সর্বশেষ কী কাজ করেছিলেন?
মুক্তি : আমি লাস্ট কাজ করেছিলাম ২০১৬ সালে কায়সার আহমেদের ‘সহযাত্রী’ ধারাবাহিক নাটকে। এরপর অনেক দিন কোনো কাজ করা হয়নি। মাঝখানে গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক কর দিবস উপলক্ষে ভ্যাট নিয়ে একটি কমার্শিয়াল কাজ করেছিলাম।

জাগো নিউজ : মাঝখানে যে অনেকদিন আপনাকে দেখা যায় নি। সেটা কেন?
মুক্তি : আমার গ্যাপটা আসলে অনেক দিনের না। মাঝে মধ্যে কিছু কাজ করেছি। আর গত বছর আমার ভাই হঠাৎ স্ট্রোক করে মারা যান। পরে মানসিকভাবে অনেকটা অপ্রস্তুত ছিলাম। অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু আমি ইচ্ছে করেই একটু দূরে ছিলাম।

জাগো নিউজ : কোনো পরিবর্তন দেখছেন কাজের জায়গায়?
মুক্তি : পরিবর্তন তো আছেই। আগে আমরা খুব গুছিয়ে, স্টাডি করে, সময় নিয়ে কাজ করতাম। কিন্তু এখন সবকিছু চট জলদি করে করা হয়। আর টেকনিক্যাল দিকগুলো অনেক উন্নত হচ্ছে, আরো হবে। নাটকের বাজেট অনেক কমে গিয়েছে যার কারণে ভালো কোনো প্রজেক্ট হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে। বাজেট এবং স্টোরি লাইনগুলো যদি আরো ভালো করা যায় তবে ইনশাহ্আল্লাহ ভালো কিছু হবে আমাদের টিভি নাটকে।

জাগো নিউজ : এখন কি তাহলে অভিনয়ে নিয়মিত হবেন?
মুক্তি : হ্যা। আমি এখন একদম প্রস্তুত। এখন থেকে আমাকে অভিনয়ে নিয়মিতই দেখতে পাবেন।

জাগো নিউজ : আপনার প্রথম ছবি ‘তুমি আছো হৃদয়ে’ মুক্তি পেয়েছে অনেকদিন হয়। নতুন করে চলচ্চিত্রে কী আর ফিরবেন না?
মুক্তি : ছবিটির জন্য এখনো অনেক মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। গতকাল একটি চ্যানেলে ‘তুমি আছো হৃদয়ে’ ছবিটি দেখানো হয়েছে কিন্তু আমি জানতাম না। আমার বাসার কাজের ছেলের বউ বাড়ি থেকে আমাকে ফোন করে বলে ‘আপা আপনের ছবি দেখায়তাছে। রান্না বন্ধ করে আমরা সবাই আপনের ছবি দেখতাছি’। এটাই হচ্ছে আমার কাছে সত্যিকারের ভালোবাসা। অভিনয়ের ক্যারিয়ারে এটাই আমার সেরা প্রাপ্তি। একটি কাজ করার পর সেটি নিয়ে চারপাশে মানুষের আগ্রহ থাকবে, ভালোবাসা থাকবে সেটাই চায় সবাই। এখন যেহেতু অভিনয়ে নিয়মিত হচ্ছি সেহেতু নাটক বা চলচ্চিত্র দুটোতেই কাজ করবো।

জাগো নিউজ : নতুন কোনো চলচ্চিত্রের খবর আছে?
মুক্তি : হ্যাঁ। কিছুদিন আগে একটি ছবির বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। আশা করি এই মাসেই ছবির ঘোষণাটি দিতে পারবো।

জাগো নিউজ : আপনার মতে কোন দিকগুলোতে পরিবর্তন আসলে টেলিভিশন বা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি ভালো জায়গায় দাড়াবে?
মুক্তি : নাটকের জন্য বাজেট বৃদ্ধি দরকার এবং অবশ্যই কোয়ালিটিফুল প্রজেক্ট নির্মাণ করতে হবে। আর চলচ্চিত্রের জন্য আমার মনে হয় প্রথমে প্রচুর সিনেপ্লেক্স বাড়াতে হবে। সিনেমা হলের পরিবেশগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার। আর গল্পভিত্তিক ছবি নির্মাণ করতে হবে যেগুলা দর্শক টানবে। সিনেমা মানেই তো নাচ, গান, বিনোদন। সেইসঙ্গে ম্যািসেজও রাখতে হবে। সবকিছু ঠিক রেখে ভালো কিছু তৈরি করতে হবে।

জাগো নিউজ : সামনে নতুন কাজের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো খেয়াল রেখে কাজ করবেন?
মুক্তি : অবশ্যই ভালো স্টোরি লাইন আর চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। ‘রঙের মানুষ’ নাটকে আমার দিলখুশ চরিত্রটার জন্য অনেক প্রশংসিত হয়েছি। এখানে আমার যে গ্রামীণ ইমেজটা ছিল এরকম অনেক কাজ করতে পারতাম কিন্তু করিনি। আমি আমার ঐ ইমেজটা ভেঙ্গে ভিন্ন ইমেজে কাজ করতে চাই যেখানে অভিনয়ের সুযোগটা থাকবে।

জাগো নিউজ : ব্যক্তিগত জীবনের অবসরের দিনগুলো কেমন কাটে?
মুক্তি : ভালোই। পরিবারের সাথেই বেশি সময় কাটাই। আর শপিং করি খুব বেশি। এর ফাঁকে বই পড়ি, ছবি আঁকি, প্রচুর মুভি দেখি, কার্টুন দেখি। এভাবেই কেটে যায় দিনগুলো।

এলএ/এমএস

আরও পড়ুন