অভিনয়টাকেই ভীষণ ভালবাসি : আঁখি
শারমিন আঁখি শুধু একজন মঞ্চকর্মীই নন একাধারে মডেল ও অভিনেত্রী। টিভি নাটকের একটি বেশ পরিচিত মুখ। নান্দনিক ও সাবলীল অভিনয়ে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন বেশ। নাটক,বিজ্ঞাপন,টেলিফিল্ম,মিউজিক ভিডিও ছাড়াও দেখা দিয়েছেন বড় পর্দায়। কাজ,ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের শোবিজে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন - ইমরুল নূর। আলাপের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
জাগো নিউজ : এই ভর দূপুরে রোদে পুড়ে ছাদে শুটিং করছেন?
শারমিন আঁখি : অভিনয়টা-ইতো আমাদের সব। কাজটাকে ভালোবাসি বলে একটু কষ্ট হলেও তা মেনে নেই।
জাগো নিউজ : দীর্ঘ প্রায় ৮ বছরেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ার আপনার। অনুভূতিটা কেমন?
শারমিন আঁখি : আমি একজন মঞ্চকর্মী। থিয়েটার দিয়েই আমার শুরুটা হয়েছিল। এরপর অভিনয়ে নিয়মিত হতে শুরু করি। আসলে সময়টা যে কিভাবে চলে যায়,টেরই পাওয়া যায় না। দেখতে দেখতে অনেকটা সময় পার হয়ে গেলো। এই অভিনয়ের ক্যারিয়ারে অনেক কিছুই পেয়েছি বলা যায়।
জাগো নিউজ : সাম্প্রতিক ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে?
শারমিন আঁখি : এখন তিনটা ধারাবাহিকের কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ততা যাচ্ছে। সেমি কর্পোরেট,মধ্যবর্তিনী ও মন পবনের নাও এই ধারাবাহিকগুলোর জন্যই প্রচুর সময় দিতে হচ্ছে। এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার নতুন ৬ পর্বের একটা ধারাবাহিকের কাজ শুরু করেছি। ভালোবাসা দিবসে বেশ কিছু একক নাটকেও কাজ করলাম পাশাপাশি কয়েকটা বিজ্ঞাপনও করেছি।
জাগো নিউজ : প্রায়ই আপনাকে মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায়....
শারমিন আঁখি : হুম! খুব বেশি মিউজিক ভিডিও করি নি। চারটা গানে কাজ করেছি। পছন্দসই হলেই করি, নয়তো করি না।
জাগো নিউজ : এত ব্যস্ততার মধ্যে পরিবারকে কতটুকু সময় দেন?
শারমিন আঁখি : কাজের বাইরের পুরো সময়টা পরিবারকে দেই। আমার স্বামী আমাকে অনেক সাপোর্ট করে। আমরা দু’জনই একই মাধ্যমে কাজ করার কারণে আমাদের পারস্পরিক সমঝোতাটাও অনেক ভাল। আর রাহাত যেহেতু নাটক পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত তাই কাজের ক্ষেত্রে ওর কাছ থেকেও অনেক সহযোগিতা পাই।
জাগো নিউজ : নাটকে নিজেকে কতটা মেলে ধরতে পারেন?
শারমিন আঁখি : একক নাটকে চরিত্র নিয়ে কাজ করার সুযোগ কম থাকে কিন্তু কাজের প্রেসার থাকে বেশি। আর ধারাবাহিক নাটক যেহেতু একটানা করে যেতে হয় সেহেতু চরিত্র নিয়ে ভাবার সময়ও থাকে বেশি। গল্প অনুযায়ী চরিত্রের জন্য নিজেকে তৈরি করার যথেষ্ঠ সময় পাওয়া যায়। সর্বোপরি নিজেকে মেলে ধরা বা ফুটিয়ে তোলারও সুযোগ থাকে।
জাগো নিউজ : চরিত্রের স্বাচ্ছন্দ্যবোধ সম্পর্কে কিছু বলুন...
শারমিন আঁখি : সব ধরনের চরিত্রে কাজ করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে গল্প ও চরিত্রের ভিন্নতা একটা কাজে বৈচিত্র্য এনে দেয়। পেশাগত জায়গা থেকে কাজ করতে গেলে অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমাদের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এর মধ্যে থেকেই চেষ্টা করি ভাল গল্প, কিংবা গল্পের চরিত্রটিকে একটা ভিন্ন আঙ্গিকে রূপ দেয়ার। চরিত্র রূপান্তরেও এক ধরনের অদম্য আনন্দ কাজ করে।
জাগো নিউজ : গেলো বছরেই বড় পর্দায় অভিষিক্ত হলেন। নতুন খবর কি?
শারমিন আঁখি : রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নির্মিত একটি চলচ্চিত্রে রোহিঙ্গা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন নোমান রবিন। খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে ছবিটি। নতুন দুটি ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি চলতি মাসেই ছবির শুটিং শুরু হবে। আর একটি ছবির বিষয়ে কথাবার্তা চলছে।
জাগো নিউজ : নিজেকে কোথায় দেখতে চান ?
শারমিন আঁখি : মানুষের চাওয়ার কোন শেষ নেই। অভিনয়ের পথটা আরো সুদীর্ঘ করতে চাই। এমন কিছু কাজ করে যেতে চাই যেন দর্শকরা সবসময় মনে রাখে
আইএন/এমএবি/এমএস