মিলেছে শ্রীদেবীর মৃত্যুর ডাক্তারি রিপোর্ট
অপেক্ষা চলছে শ্রীদেবী স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের। এ ফেরা নিথর, নির্মম। গত পরশু শনিবার রাতে দুবাইয়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় হিন্দি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী শ্রীদেবীর। তারপর থেকেই নায়িকার বাংলোতে ভিড় করছেন তার ভক্তরা। কথা ছিল আজ সোমবার দুপুরেই ভারতে পৌঁছাবে শ্রীদেবীর মরদেহ।
তবে ডেথ সার্টিফিকেটের অভাবে শ্রীদেবীর মরদেহ নিয়ে আসতে বিলম্ব হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেল, শ্রীদেবীর মৃত্যুর ময়নাতদন্ত হয়েছে। হাতে এসেছে দুবাইয়ের ডাক্তারদের ফরেন্সিক রিপোর্ট। সেখানে বলঅ হয়েছে হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়েছে বলিউডের প্রথম নারী সুপারস্টারের।
দুবাইয়ে কর্মরত আনন্দবাজারের সাংবাদিক জানিয়েছেন, দুবাইয়ে হাসপাতালে কোনো রোগীর মৃত্যু হলে মৃত্যুর কারণ জানা থাকে। দেহ হাতে পাওয়ার প্রক্রিয়াটাও সে ক্ষেত্রে সহজ হয়। তবে হাসপাতালের বাইরে কোন মৃত্যু হলে তা যদি স্বাভাবিক মৃত্যুও হয়, তাহলেও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। প্রথমে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে মৃত্যুর তদন্ত শুরু করে। যদি কোনো ক্ষেত্রে শেষকৃত্যের জন্য মরদেহ দেশের বাইরে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে আরও বেশ কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
নিয়ম মেনে শ্রীদেবীর মরদেহ প্রথমে আল কিউসাইসের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন্সিক এভিডেন্সে তার ফরেন্সিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলে। এরপর দেহ তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এরপর ছাড়পত্র মেলে পুলিশের থেকে। এখানেই শেষ নয়। মৃতের পুলিশ ভিসা খতিয়ে দেখার পর ভারতীয় কনস্যুলেট তার পাসপোর্ট বাতিল করে মরদেহ দেশে ফেরানোর জন্য একটি নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট জোগার করে।
এই গোটা প্রক্রিয়ায় পুলিশকে একগুচ্ছ চিঠি লিখতে হয়। ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয় আরবী ভাষায়। ভারতীয় কনস্যুলেট নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট পেয়ে গেলে তবে তাদের কাছে পৌঁছয় ডেথ সর্টিফিকেটের ইংরেজি প্রতিলিপি।
আশা করা যাচ্ছে বিকেলের মধ্যেই শ্রীদেবীর মরদেহ নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা হবে তার পরিবার।
এলএ