অবশেষে একুশে পদক পাচ্ছেন হুমায়ুন ফরীদি
অভিনয়ের জাদুকর। মঞ্চ থেকে চলচ্চিত্র- অভিনয়ের সবখানে তিনি রাজত্ব করেছেন দুর্দান্ত প্রতাপে। মুগ্ধ করে রাখা সেই অভিনেতার নাম হুমায়ুন ফরীদি।
অভিনয়ে তিনি মাতিয়ে রেখেছিলেন কয়েক দশক। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মাননা না পাওয়ায় আক্ষেপ ছিলো তার ভক্ত-অনুরাগীদের। তার বন্ধুবর হুমায়ূন আহমেদও আক্ষেপ করেছিলেন ফরীদি একুশে পদক না পাওয়ায়।
ফরীদিকে একুশে পদক দেয়ার দাবিতে বিভিন্ন সময় জাগো নিউজসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে নানা রকম ফিচার। গেল বছর এক দল পাগল ভক্ত ফরীদিকে একুশে পদক দেয়ার দাবিতে ফেসবুকে ইভেন্টও চালু করেছিলো।
অবশেষে পূরণ হলো সবার চাওয়া। জীবন্ত ফরীদি তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্বীকৃতি নিজের হাতে না পেলেও, মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হতে যাচ্ছেন।
২০১৮ সালের একুশে পদকজয়ীদের তালিকায় তার নাম। এ খবরে আনন্দে ভাসছে ফরীদির ভক্ত-অনুরাগীরা। ফেসবুকে অনেকেই হুমায়ুন ফরীদিকে একুশে পদক দেয়ায় রাষ্ট্রকে অভিনন্দিত করছেন।
আসছে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এবারের পদকজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেবেন। ধারণা করা হচ্ছে হুমায়ুন ফরীদির মেয়ে বাবার হয়ে পদক গ্রহণ করবেন।
হুমায়ুন ফরীদির জন্ম ১৯৫২ সালের ২৯ মে, ঢাকার নারিন্দায়। মঞ্চ নাটক দিয়ে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর তিনি টিভি নাটকে কাজ করে জনপ্রিয়তা পান। বিটিভিতে প্রচারে হওয়া 'সংশপ্তক' নাটকে কানকাটা রমজান চরিত্রে অনবদ্য ফরীদি জয় করে নিয়েছিলেন সারা দেশের দর্শকের মন।
পরবর্তীতে প্রয়াত চিত্রপরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের 'দিনমজুর' সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে নাম লেখান। বাকীটুকু ইতিহাস। তিনি একইসঙ্গে কমেডি ও খল চরিত্রে সাফল্য পেয়ে চলচ্চিত্রের অভিনয়ে ভিন্নমাত্রা যোগ করেন।
ব্যক্তি জীবনে সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিঃসঙ্গই ছিলেন তিনি। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মারা যান হুমায়ুন ফরীদি।
এলএ/এএইচ/আইআই