ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

সোহেল রানা প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী হবেন ফারুক

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৮

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় দুই অভিনেতা সোহেল রানা ও ফারুক। দীর্ঘ দিন ধরে তারা আলো ছড়িয়েছেন চলচ্চিত্রের পর্দায়। এ অঙ্গনে তাদের মুগ্ধ পদচারণা। দুজনই উপহার দিয়েছেন কালজয়ী চলচ্চিত্র। দর্শকের হৃদয়ে অধিষ্ঠিত হয়েছেন কিংবদন্তির আসনে।

অনেকদিন ধরেই দুজনকে আর সিনেমায় দেখা যায় না। তাদের দেখা মিলে এফডিসি বা কোনো টিভি অনুষ্ঠানে। তবে দুজনকে একত্রে একই অনুষ্ঠানে হাজির করতে পেরেছেন অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। তার সেলিব্রিটি শো ‘সেন্স অব হিউমার’-এ গতকাল শনিবার রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে অতিথি হিসেবে ছিলেন এ দুই নায়ক।

‘সেন্স অব হিউমার’-এ তারকাদের ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনের অজানা কথা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি তাদের প্রিয় সিনেমা, গান, এমনকি বিশ্বের অজানা-অচেনা অনেক তথ্য গল্পের ফাঁকে দেখানো হয়। ফারুক ও সোহেল রানাও বললেন তাদের চলচ্চিত্র জীবনের প্রিয়-অপ্রিয় অনেক কথা।

উপস্থাপক জয় দুজনকেই রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। বেছে নিতে বলা হয় পছন্দের মন্ত্রণালয়। ফারুক বলেন তিনি অর্থমন্ত্রী হতে চান। আর সোহেল রানা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান বলে দাবি করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জয় দুজনের কাছে নায়করাজ রাজ্জাক সম্পর্কে জানতে চান। এর জবাবে ফারুক বলেন, ‘নায়করাজ ভালো অভিনেতা ছিলেন। একটা সময় তিনি একক রাজত্ব করেছেন যখন আমরা ছিলাম না। দেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে। জনপ্রিয়তার চূড়ায় গিয়েছিলেন।’ আর সোহেল রানা বলেন, মেলো ড্রামাটিক আর্টিস্ট ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক।

নায়ক আলমগীরকে নিয়েও দুই নায়ক প্রশংসায় ভাসেন। তবে অভিনেতা উজ্জ্বলকে নিয়ে ফারুক প্রশংসা করলেও সোহেল রানা বলেন, ‘নো কমেন্টস’।

অনুষ্ঠানে দুই নায়কই নিজেদের কাছের মানুষ, দূরের মানুষদের নিয়ে কথা বলেন। নিজের প্রেম নিয়েও তারা খোলামেলা বলেন অনুষ্ঠানে। একে অপরকে প্রশংসাও করেছেন তারা। তবে এক পর্যায়ে ফারুক গ্রামীণ নায়ক এ বিষয় নিয়ে কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দেখা যায় দুজনের মধ্যে।

ববিতাকে নিয়ে দুজনের ভালোবাসা ছিল কি-না জানতে চাইলে ফারুক বলেন, ‘অবশ্যই ভালোবাসা ছিল। ভালোবাসা না থাকলে তার সঙ্গে এত সুন্দর রসায়ন জমতো না। আর সে ভালোবার মতোই মেয়ে।’ সোহেল রানাও বলেন, ‘ভালোবাসি বললে ভয়ের কিছু নেই। যাকে ভালোবাসি তাকে ভালোবাসার কথা বলতে দ্বিধা নেই। আর যাকে ভালোবাসি না তাকে জোর করে ভালোবাসি বলার কিছু নেই।’ এ কথার সূত্র ধরে ফারুক বলেন, তিনি কবরীকেও ভালোবাসতে। তবে এ ভালোবাসা ছিল ফিল্মিক। নায়কেরা নিজেদের ক্যারিয়ারের প্রয়োজনে নায়িকাদের সঙ্গে প্রেমের রিউমারও ছড়াতেন ইচ্ছে করেই।

হঠাৎ করে জয় ফারুককে প্রশ্ন ছুড়ে দেন- কোনো এক নায়িকাকে নাকি আপনি তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন? জবাবে ফারুক বলেন, ‘সিনেমার প্রয়োজনে অনেক নায়িকাকেই তুলে নিয়েছি।’ জয় বলেন বাস্তবেই এক নায়িকাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে প্রবাদ শোনা যায়। জবাবে ফারুক বলেন, ‘এগুলো রিউমার, গুজব। এতো অসভ্যতার কোনো কারণ নেই।’

দুজনেই এক সিদ্ধান্তে একমত হন যে প্রতিটি পুরুষই তার স্ত্রীকে ভয় পায়। এ ব্ষিয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা সবাই পরিবারে শান্তি চাই। তাই স্ত্রীর কাছে ভয় পেতেই হয়।’

অনুষ্ঠানের শেষবেলাতেও তারা দুজন কথা বলেন ববিতাকে নিয়ে। ফারুক বলেন, ‘ববিতা, আপনি নিজেকে আয়নায় দেখবেন। আপনি অপূর্ব একজন সুন্দর মানুষ।’ সোহেল রানা ববিতাকে পপি নাম সম্বোধন করে বলেন, ‘পপি, তোমার চারপাশে একটা আয়না তুমি সবসময় লাগিয়ে রেখেছো। সেই আয়নার কাঁচটা ভেঙে ফেলো। নইলে হয়তো মৃত্যু কালে তোমার সন্তান ছাড়া আর কাউকে পাবে কান্নার জন্য। আর একটা বিষয় বলবো ফারুক বলেছে তুমি অপূর্ব সুন্দরী। আমিও একমত। যদি সিনেমাতে প্রয়োজন না পড়ে তবে তোমার চোখের ভ্রু কেটো না; এমনিতেই তোমাকে ভালো লাগে।’

এলএ/জেআইএম

আরও পড়ুন