সংসদ সদস্য হতে চেয়েছিলেন নায়ক মান্না
অকাল প্রয়াত নায়ক মান্নার জনপ্রিয়তা আজও কমেনি। না থেকেও তার জনপ্রিয়তার প্রমাণ মেলে সিনেমার এই ক্রান্তি লগ্নে মান্না ভক্তের উপর নির্মিত মালেক আফসারীর ছবি ‘অন্তর জ্বালা’ নিয়ে আলোচনার চাকচিক্য দেখেও। মান্না ছিলেন গণমানুষের নায়ক, রুপালি পর্দার একসময়ের সুপারস্টার। নানামাত্রিক চরিত্রের রুপায়ন দিয়ে জয় করেছিলেন কোটি দর্শকের মন। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে থমকে যায় এই সুপারস্টারের জীবন প্রদীপ। মান্না ভক্তরা আজও তাকে মিস করেন!
এই তারকা তার মৃত্যুর আগে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তার ইচ্ছে তিনি সংসদ সদস্য হতে চান। তার উদ্দেশ্য একটাই, মানুষের সেবা করা। মান্না মনে করেছিলেন, সংসদ সদস্য হলে তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে পারবেন।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন অপি করিম। উপস্থাপিকা একবার মান্নাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, মান্না ভাই, কখনো কি নির্বাচনে অংশ নেয়া ইচ্ছে আছে আপনার? হাসিমুখে উত্তর দিয়ে মান্না বলেছিলেন, ‘আমি নির্বাচন করবো। টু অর টুমোরো আমি নির্বাচনে অংশ নেব। আমার ভীষণ ইচ্ছে আছে। তবে সেটা সেবামূলক ভাবনা থেকেই।’
১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন মান্না। ওই আসনটি টাঙ্গাইল ৪ আসনের আওতায় পড়ে। তবে কোনো রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন মান্না সেটি জানাননি।
কথায় কথা মান্না বলেছিলেন, তার স্বপ্নের নায়ক ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। এরপর বলেছিলেন, তার কোনো স্বপ্নের নায়িকা নেই। পপি, মৌসুমী, শাবনূর ও পূর্ণিমা এই চার নায়িকার মধ্যে কার সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে জানতে চাইলে মান্না বলেছিলেন, শাবনূর খুব ফ্রেন্ডলি। পাল্টা প্রশ্নে একজনের নাম বলতে বললে মান্না বলেছিলেন, পূর্ণিমার সঙ্গে কাজ করতে তার ভালো লাগে।
রিয়াজ, শাকিব ও ফেরদৌস এই তিন নায়কের মধ্যে মান্না বলেছিলেন, ফেরদৌসের অভিনয় তার বেশি ভালো লাগে। এরপর মান্না বলেছিলেন, তিনি ১০ বছর পরও নিজেকে ফিল্মে দেখতে চান। কথা প্রসঙ্গে মান্না বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাসঘাতককে সবচেয়ে বেশি ভয় পান। কেউ তাকে ব্ল্যাকমেইল করছে এই বিষয়টা মোটেও সহ্য করতে পারতেন না মান্না।
ওই সাক্ষাৎকারে মান্না বলেছিলেন, তিনি প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি হাই স্কুলে পড়েছেন। এরপর উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছেন ঢাকা কলেজ থেকে, সেখানে ভূ-তত্ত্ববিদ্যায় স্নাতক শেষ করতে পারেননি। তার আগেই ফিল্মে জড়িয়েছেন।
কথায় কথায় বলেছিলেন, যারা বোম্বের (বলিউড) ছবি দেখেন তারা কখনো বাংলাদেশের ছবির সঙ্গে তুলনা করবেন না। কারণ, বোম্বের ছবির বাজেট যদি হয় ৫০ কোটি টাকা তখন বাংলাদেশের ছবির বাজেট হচ্ছে ৫০ লাখ টাকা।
এনই/এলএ