এনজিও কর্মী ঈশানা খান
ঈশানা খান একজন এনজিও (নন গর্ভমেন্ট অর্গানাইজেশন) কর্মী। তিনি একটি সংস্থার হয়ে কাজ করেন, নাম ‘বিজয়’। এটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংস্থা। তার অনেকদিনের ইচ্ছে এমন একটি সংস্থার সঙ্গে কাজ করবেন। এ সংস্থায় কাজ করতে গিয়ে জার্মান প্রবাসী রওনকের সঙ্গে পরিচয় হয় ঈশানার।
রওনক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু ‘আর্টিকেল’ লিখছেন। সেজন্য দরকার কিছু তথ্যের। যার জন্য চলে আসেন বাংলাদেশে। এরপর দু’জনে মিলে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ছাড়াও অনেক কাজ করতে থাকেন। একসঙ্গে চলতে গিয়ে দু-জনের মধ্যে সখ্যতা বাড়ে। কাজের প্রয়োজনেই তাদের দু’জনের সঙ্গে পরিচয় হয় শতাব্দী ওয়াদুদের। তার সঙ্গে মিশে রওনক-ঈশানার একটা ঘোরের মধ্যে পড়েন।
কারণ শতাব্দী ওয়াদুদ মানুষটা আসলে কেমন সেটা তারা বুঝে উঠতে পারেন না! এরপর গল্পের মোড় ঘুরে যায় অন্যদিকে। এমন গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘অবাক করা ছেলেটি’। মহান বিজয় উপলক্ষে নির্মিত হয়েছে এই নাটকটি। নাটকের পরিচালক ইভান রেহান। সম্প্রতি এই নাটকটির শুটিং শেষ হয়েছে। নির্মাতা জানালেন, ১৬ ডিসেম্বর রাত ৯ টায় এই নাটকটি মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে।
ঈশানা জাগো নিউজকে বললেন, এর আগে বিজয় দিবসের নাটকে কাজ করলেও এনজিও কর্মীর চরিত্রে কখনো কাজ করিনি। পুরো নাটকের গল্প, চরিত্র সবকিছুই আমি এনজয় করেছি। আর এই চরিত্রটি যেহেতু আমার কাছে নতুন, সেজন্য আমি চরিত্রটি উপস্থাপন করতে গিয়ে খুবই মনোযোগী ছিলাম। দারুণ একটি কাজ, সঙ্গে নতুন এক ঈশানাকে পেতে যাচ্ছেন দর্শকরা।
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিটিভির ‘৪৬ বছর পর’ নামের আরেকটি নাটকে অভিনয় করেছেন ঈশানা। এছাড়া গতকাল (রোববার) অভিনয় করলেন সজলের বিপরীতে খণ্ড নাটক, যার নাম ‘সেই তো দেখা হলো’। অন্যদিকে আজ (সোমবার) থেকে শুরু করেছেন দীপ্ত টিভির ‘পালকী’ সিরিয়ালের শুটিং।
এনই/জেআইএম