ডিভোর্স নিয়ে অপুকে পরামর্শ দিলেন তসলিমা নাসরিন
শাকিব-অপু দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ এখন টব অব দ্য শোবিজ। এ বিচ্ছেদে তারা নিজেরা যেমন দুই মেরুতে চলে গেছেন তেমনি চারপাশের মানুষরাও শাকিব-অপুর বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলছেন। কেউ বলছেন তাদের একমাত্র সন্তানের কথা চিন্তা করে আবার এক হওয়া উচিত, আবার কেউ বলছেন শাকিব দোষী! অনেকেই আবার অপুকে এ কঠিন অবস্থা মোকাবেলার জন্য সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
এবার এ দুই তারকার ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন নন্দিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে অপুকে সান্ত্বনা দিয়ে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘নায়ক শাকিব তালাক দিচ্ছেন নায়িকা অপু বিশ্বাসকে। অপুর দোষ হচ্ছে, অপু তার স্বামীর নির্দেশ পালন করেনি, তার কথা শোনেনি। শাকিবকে ভালোবেসে অপু নিজের ধর্ম ছেড়ে শাকিবের ধর্ম গ্রহণ করেছে, শাকিবের বাড়িতে ঝি-চাকরের মতো কাজকর্মও করেছে।
শাকিব বিয়ের ব্যাপারটা লুকিয়ে রাখতে বলেছে বলে লুকিয়ে রেখেছে। বাচ্চা হওয়ার খবরটাও লুকিয়ে রাখতে বলেছে বলে দীর্ঘকাল লুকিয়ে রেখেছে। বাচ্চা হওয়ার সময় শাকিব হাসপাতালে যায়নি, তারপরও শাকিবের জন্য অপুর ভালোবাসা কিছু কমেনি।
এখন বাচ্চা কোলে মেয়েটি পাচ্ছে তালাকনামা। শাকিবের মতো আত্মম্ভরী পুরুষতান্ত্রিকের সঙ্গে তালাক হয়ে যাওয়া অবশ্য ভালো। স্বনির্ভর মেয়ে নিজের দেখভাল নিজেই করতে পারে। শাকিবের জন্য কান্নাকাটি হাহুতাশ বন্ধ করতে হবে অপুকে। আপাতত অপু বিশ্বাসের কোনো পুরুষকে বিশ্বাস করা উচিত নয়।
হজ করাও উচিত নয়। মানুষের পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে মরে যাওয়ার আশঙ্কা ছাড়া ওতে সত্যিকার কোনো ফায়দা নেই। অপুকে এখন নিজের পায়ের তলার মাটি যেমন আরো শক্ত করতে হবে। মনের ভেতরের মাটিও আরও শক্তত করতে হবে। পায়ের তলার মাটি, মনের ভেতরের মাটি- দুটোই এমন নরম যে, যে কেউ তাদের ডুবিয়ে দিতে পারে কাদায়, যে কেউ আবার তাদের মনেও অনায়াসে ডুবে যেতে পারে।’
প্রেম করে শাকিব-অপুর বিয়ে করেন ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল। কিন্তু ৯ বছর বিয়ের খবর গোপন রাখেন এ তারকা জুটি। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সী ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন অপু বিশ্বাস। বিয়ের খবর প্রকাশের আট মাসের মাথায় বিবাহবিচ্ছেদে গেলেন তারা। শাকিব তার আইনজীবী সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে ২৮ নভেম্বর অপু বিশ্বাসের কাছে ডিভোর্স নোটিশ পাঠিয়ে দেন। আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের এ বিচ্ছেদ হবে আগামী ৯০ দিনের মাথায়।
এনই/এলএ