জুটি প্রথা বলে কিছুই নেই : অপূর্ব
অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব সারাবছর ব্যস্ত থাকেন অভিনয় নিয়ে। নাটক টেলিছবিতে তাকে পাওয়া যায় নানামাত্রিক চরিত্রে। অভিনয় দিয়ে তিনি পৌঁছেছেন সাফল্যের শিখরে। অনেকে তাকে ছোটপর্দার সুপারস্টারও বলে থাকেন। গেল ঈদে ‘বড় ছেলে’ নামক একটি নাটকের মাধ্যমে অপূর্বর নতুনভাবে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে! যেটি স্বীকার করেন অপূর্ব নিজেও। এই তারকা কথা বলেছেন জাগো নিউজের বিনোদন বিভাগে...
বড় ছেলের পর নতুন করে প্রত্যাবর্তন হল বলে মনে করেন?
তা তো অবশ্যই। নাটকের প্রতি মানুষের ঝিমিয়ে যাওয়া ভালবাসা বড় ছেলের মাধ্যমে হঠাৎ করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। এটাকে প্রত্যাবর্তনই বলা যেতে পারে। তবে নাটকটিতে কাজ করার সময় টের পাইনি মানুষের এত সাড়া পাবো। চেষ্টা করছি বড় ছেলের মতো সাফল্য পায় এমন সব নাটকে কাজ করার জন্য।
বড় ছেলের সাফল্য আপনার বর্তমানে কাজকে কীভাবে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে?
কাজের ক্ষেত্রে ভালো কাজের আশা সবসময় করি। বড় ছেলের ক্ষেত্রে বলা যায় এটা কিছুটা ভাগ্য সহায় ছিল। ভাগ্য হচ্ছে এই কারণে কোন নাটক বা কোন গল্পটা বা আমার কোন কাজটা যে কার কখন কিভাবে ভালো লাগবে এটা নির্ধারণ কারার আসলে আমি কেউ না। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে দর্শকের উপর। তাই আমি আমার কাজ আমার মত করেই করে যাচ্ছি। ভালো-মন্দ বিচার করবেন দর্শকরা।
দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। অনেকের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন। জুটি প্রথাটা আপনার কাছে কেমন লাগে?
জুটি প্রথাটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। অবশ্যই কিছু সহশিল্পী থাকে যাদের সাথে কাজ দর্শক বেশি পছন্দ করে। অনেকের সঙ্গে কাছ কাজ করতে আমি ব্যক্তিগত ভাবে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তবে আমি বলবো কাজ কাজই। জুটি প্রথা বলে কিছুই নেই। যেই যখন আমার সহশিল্পী সেই তখন আমার জুটি। আমি আমার দিকটা বললাম।
অভিনয়ের পাশাপাশি মাঝে মাঝে আপনাকে গল্প ভাবনায় দেখা যায়। পরিচালনায় আসার ইচ্ছে আছে?
আমি কিন্তু শখের বসে একটি নাটক পরিচালনা করেছি ২০১১ সালে। নাটকটির নাম ছিল ‘ব্যাকডেটেড’। নিয়মিত নাটক নির্মাণে ইচ্ছে আছে, তবে কাজের ব্যস্ততার সেটা সম্ভব নয়। আরো কয়েক বছর পর দেখা যাবে। তবে প্রযোজনায় আসার ইচ্ছে নেই। আমি টুকটাক গান করি। এখন ব্যাস্ততার কারণে গান নিয়েও ভাবার সময় পাচ্ছি না। এতটাই ব্যস্ততা যে নিজেকে বা নিজের পরিবারকেও সময় দিতে পারছি না। অভিনয় ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে এখন ভাবতে চাচ্ছি না।
গ্যাংস্টার রিটার্নস দিয়ে চিত্রনায়ক তকমা গায়ে লেগেছে ২০১৫ সালে। এরপর চলচ্চিত্রে আর দেখা যায়নি কেন?
চলচ্চিত্র নিয়ে চিন্তা ভাবনা আছে। ছবি করার অফার আসে কিন্তু ব্যাটে বলে মেলে না। তবে একটা ছবির ব্যাপারে কথা হচ্ছে। হয়তো আগামী বছর বিস্তারিত জানাতে পারো। ফিল্মে লিখিতভাবে চুক্তি না হলে কিছু বলা যায় না।
বলছিলেন চলচ্চিত্রের অফার পাচ্ছেন, কিন্তু ব্যাটে টাইমিং হচ্ছেনা। আসলে সমস্যাটা কোথায়?
আমার মনে হয় সমগ্র চলচ্চিত্রের প্যাকেজটাতে সমস্যা। আমি নাটকে যে জায়গায় অবস্থান করছি, সেই এক্সপেকটেশনটা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আমারই পূরণ হয়না তখনই নিজের মধ্যে ভয় ঢুকে যায়। তখন মনে হয় আমি মনে হয়ে রিস্ক নিয়ে ফেলছি। রিস্ক নেওয়াটাই আসল সমস্যা। এটা যত দিন মাথা থেকে না যাবে ততদিন আসলে আমি গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারবো না।
কাজ করার আগে কোন দিক গুলো মাথায় রেখে একটা প্রোডাকশনে কাজ করেন?
ওত চিন্তা করে আমি কাজ করিনা। কাজ করি আমার অনুভূতি দিয়ে। আমার যখন যে অনুভূতি কাজ করে সেই জায়গা থেকে আমি কাজটা করি। এটা আমার স্টাইল। আমি এভাবে করি তার মানে আবার এটা না যে আমার সব ঠিক। কিন্তু আমি এভাবে করে অভ্যস্ত।
আপনি চির তরুণ। এর রহস্যটা কি?
অনেকে এটা ভুল করেন। আমি আসলেই তরুণ। আমাকে অনেক আগে থেকে নাটকে দেখে ভাবেন আমি মনে হয় অনেক সিনিয়র। আমি অভিনয় শুরু করি যখন আমার ২৩ বছর বয়স। আর আমি অভিনয় করছি ১২ বছর হয়ে গেলো। এই জুনে আমি ৩৫ এ পা দিবো। সুতরাং এখনো বুড়া হয়ে যাইনি।
এনই/এলএ/আরআইপি