‘হালদা’ ছবি দেখে মুগ্ধ লুৎফুর রহমান জর্জ
নির্মাতা তৌকীর আহমেদ পরিচালিত হালদা মুক্তি পেয়েছে গেল শুক্রবার। ছবিটি দেশব্যাপী ৮২ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির পর থেকে ছবিটি এসেছে আলোচনায়। এশিয়ার বৃহত্তম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদী ও এর আশপাশের মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি এই ছবিটি দর্শকরা সাদরে গ্রহণ করেছেন।
জনপ্রিয় অভিনেতা লুৎফুর রহমান জর্জ সিনেমা হলে গিয়ে গতকাল ‘হালদা’ দেখেছেন। পুরো ছবি দেখে রীতিমতো মুগ্ধ হয়েছে ‘আয়নাবাজি’ ছবির এ অভিনেতা। সেই মুগ্ধতার প্রকাশ করেছেন নিজের ফেসবুক পোস্টে। গতকাল (রোববার) ছবিটি দেখেই অভিনেতা জর্জ ‘হালদা’র প্রশংসা করে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
লুৎফুর রহমান জর্জ লিখেছেন, ‘আজ (গতকাল) ‘হালদা’ সিনেমাটি দেখে মন যা বলতে চাইছে হলো, পরিবেশ ও নদী নিয়ে নানা সময়ে নানা ধরনের আন্দোলন দেখেছি, সভা কিংবা সমাবেশ দেখেছি। পত্র-পত্রিকা ও বই-পুস্তকে পড়েছি নানা গল্প, নানা লেখা-লেখি। কিন্তু চলচ্চিত্রের নিরন্তর দৃশ্যকল্পের মধ্য দিয়ে সেই অন্দোলন-প্রতিবাদের ভাষা এতটা চমৎকার ও নান্দনিকভাবে উপস্থাপিত হতে পারে সেটা বোধহয় ভাবনায় আসেনি কখনো। আজ ‘হালদা’ সিনেমা আমাকে যেন তা-ই জানান দিয়ে গেল।’
তিনি লেখেন, ‘হালদা’র পরিচালক তৌকীর আহমেদ আমার অত্যন্ত প্রিয় অনুজ। কিন্তু আজ তাকে প্রিয় বন্ধুবর তৌকীর আহমেদ বলেই সম্বোধন করছি এ কারণেই যে, পরিবেশে-নদী ও নারীর মতো এমন একটি মানবিক বিষয় তার ভাবনার আঙ্গিনায় বাসা বাঁধতে পেরেছে। অনিন্দ্য সৃজনশীল নৈপূর্ণের মধ্য দিয়ে বিষয়টিকে আমাদের কাছে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করেছেন।’
‘এবারে সিনেমার একটি সংলাপের কথা বলি ‘‘মা মাছ শিকার করা পাপ’’। কেননা ওই একটি মা মাছের ডিমে কোটি টাকার মাছ উৎপাদিত হয়। আর সেই উৎপাদনের সাথে মানুষের জীবন-জীবিকা কতোটা নিবিড়ভাবে জড়িত তা ফুঁটে উঠেছে ছবি’র কুশীলব ফজলুর রহমান বাবু, তিশা ও মোমেনা চৌধুরীর স্বাভাবিক অভিনয় শৈলীতে। পাশাপাশি তাদের বিপরীত সামাজিক প্রেক্ষাপটের নিদারুণ চিত্র ফুঁটে উঠলে জাহিদ হাসান, দিলারা জামান ও রুনা খানের স্বাভাবিক অভিনয় শৈলীতে।’
‘বিশেষ করে জাহিদ হাসানের অভিনয়ে তাকে খানিকটা নতুন করে আবিস্কার করা গেল। গল্পের পরতে পরতে অন্যান্য চরিত্র গুলোর অনবদ্য স্বাভাবিক অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে অনায়াসে। আর বেশি বলতে চাই না। বন্ধুবর অনুজ তৌকীরের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা। ‘হালদা’র জন্য শুভ কামনা। আমরা সবাই হলে যাবো। সিনেমাটি দেখব। জয় হোক বাংলা চলচ্চিত্রের।’
এনই/এমএস