ব্যক্তি স্বার্থে ইন্ডাস্ট্রিকে ব্যবহার করা হচ্ছে : বাপ্পী
চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী অভিনীত ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ ছবিটি শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মুক্তি পেয়েছে। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ছবিটি দেশব্যাপী ১০৯টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। ছবিতে বাপ্পী ছাড়াও অভিনয় করেছেন ডিপজল, মৌসুমী ও মিম। গেল দুদিন সারাদেশে টানা বর্ষণের ফলে ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে কিছুটা মন্দা বিরাজ করে। কিন্তু বাপ্পী আশা করছেন, বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলেই ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ ভালো ব্যবসা করবে। বাপ্পীর সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও তার ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেন জাগো নিউজের সঙ্গে-
‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ হলে গিয়ে দেখেছেন?
এখনও দেখা হয়নি। পারিবারিক কাজে কক্সবাজার ছিলাম। ঢাকা ফিরেছি গতকাল। কাল-পরশুর ভিতর দেখব।
মুক্তির পর সাড়া পাচ্ছেন কেমন?
শুক্র ও শনিবার সারাদেশে টানা বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেনি। সিনেমা হলে যাওয়ার সুযোগও নেই। এতে অনেকটা ক্ষতি হয়ে গেছে। তাই বলার মতো সাড়া এখনও মেলেনি। আগামী দিনগুলো ছবিটি ভালো চলবে বলে আমার মনে হচ্ছে।
মিমের সঙ্গে আপনার একটা জুটি গড়ে উঠছে। এই জুটি নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে জুটি প্রথার গুরুত্ব আছে। যেমন রাজ্জাক-কবরী, ফারুক-ববিতা, জাফর ইকবাল-ববিতা, আলমগীর-শাবানা, সালমান শাহ-শাবনূর, রিয়াজ-শাবনূর, মান্না-মৌসুমী, শাকিব-অপু। এসব জুটি অনেক সুপারহিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছে। এরপর আমার এবং মিমের জুটি দর্শক যেহেতু গ্রহণ করছে, তাই এটাকে পজেটিভ ভাবেই দেখছি। তবে আমাদের জন্য ভালো গল্প ও চরিত্রের ছবি প্রয়োজন, যা দর্শকের মনে দাগ কাটবে।
বছরের অন্যান্য সময় আপনার ছবি মুক্তি পেলেও ঈদে পায় না, কেন?
২০১২ এবং ২০১৪ এই দুই ঈদে আমার ছবি মুক্তি পেয়েছিল। শেষ কয়েকটি ঈদে আমার ছবি নেই। কারণ আমার প্রযোজকদের জোর কম। সেজন্য তারা ঈদের সময় রাঘববোয়ালদের সঙ্গে পলিটিক্সে টিকতে না পেরে সরে যায়, হল পায় না। এর কারণ হচ্ছে ব্যক্তি গ্রুপিং। গ্রুপিং হয় বলেই ঈদে আমার ছবি থাকে না। অনেকদিন ধরে আমিও যারা গ্রুপিং করে তাদের সঙ্গে কাজ করছি না। আর একটা ব্যাপার হচ্ছে, যাদের গ্রুপিংয়ের জোর বেশি, ক্ষমতা বেশি তারা বিভিন্ন উৎসবগুলো আটকে রাখছে। এসব না হলে পহেলা বৈশাখ, ঈদ সবগুলো উৎসবে আমার ছবি থাকত। শুধু আমি একা নই, দু-একজন হিরো ছাড়া আর কোনো হিরোর ছবিই উৎসবগুলোতে মুক্তি পায় না।
উত্তরণের পথ কী?
ব্যক্তিস্বার্থে ইন্ডাস্ট্রিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা মোটেও করা যাবে না। দিনশেষে আমরা সবাই চলচ্চিত্রের মানুষ। নিজেদের স্বার্থ বা ফায়দা লোটার জন্য ইন্ডাস্ট্রিকে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সবাইকে কাজের সুযোগ দিতে হবে।
ঢাকা অ্যাটাক নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। দেখেছেন ছবিটা?
হ্যাঁ, গত মঙ্গলবার আমি ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দেখেছি। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তবে এর গল্পটা আমার কাছে আহামরি কিছু মনে হয়নি। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা মেকিংয়ের বাজিমাত। পরিচালক তার নির্মাণশৈলীর চূড়ান্ত মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। তাকে স্যালুট। এমন পরিচালক সব নায়কের জন্যই স্বপ্নের। ছবিতে কে ভালো করেছেন, কে খারাপ করেছেন এটা বলা যাবে না। তবে অল ক্রেডিট যাবে পাবেন নির্মাতা।
আপনার বাকি ছবিগুলোর কী অবস্থা?
‘আসমানি’, ‘পলকে পলকে তোমাকে চাই’ ছবির শুটিং শেষ করলাম। ‘দাগ’ ছবিতে একটা গানের শুটিং বাকি আছে আগামী মাসে শেষ করে দেব। এছাড়া ১০ নভেম্বর থেকে ‘রাজ’ ছবির শুটিং শুরু করব ঢাকায়। এরপর ডিসেম্বরে এর কাজে লন্ডন যাব। এছাড়া ‘ডেঞ্জার জোন’ নামে একটি ভৌতিক ছবিতে কাজ করেছি। আমার ক্যারিয়ারে একেবারে ভিন্নধর্মী একটা ছবি এটি।
এনই/এলএ