ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

রোহিঙ্গাদের নিয়ে কবীর সুমনের গান

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫৩ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৭

বিশ্বের যেখানেই অনিয়মের শব্দ বাজুক সেখানেই পৌঁছে যায় তার প্রতিবাদের সুর। গান তার বিপ্লবের প্রধান হাতিয়ার। তিনি মানুষ, মানবতা, ভালোবাসা, সুন্দর জীবনে সহজ বেঁচে থাকার শিল্পী। কণ্ঠকে করেছেন মানুষের মুক্তির পক্ষের বাঁশি। বলছি কবীর সুমনের কথা। কথা আর সুরের ব্যঞ্জনায় যিনি কয়েক দশক ধরেই বাংলা গানে জীবনমুখী গানের দিকপাল।

কবীর সুমন এবার গাইলেন বিশ্বের আলোচিত জাতি রোহিঙ্গাদের নিয়ে। মিয়ানমার সরকার দ্বারা নিপীড়িত ও নির্যাতিত এই জাতির অমানবেতর জীবনযাপন নাড়া দিয়েছে এই কবিয়ালের অনুভূতিকে। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি গান তিনি পোস্ট করেছেন নিজের ফেসবুক ওয়ালে। সেটি হলো-

বর্মিবাহিনী নেমেছে মাঠে
রোহিঙ্গা জানে কে গলা কাটে
শান্তিপদ্মে কী ভীষণ হুম
রোহিঙ্গা জানে রাত্রি নিঝুম।

মিডিয়া-ছবিতে অস্ত্র হাতে
গেরুয়াধারীরা অনেক রাতে
রোহিঙ্গাদের নিধনে শান্তি
বর্মিবাহিনী নধরকান্তি।

হাজার বছর আরাকানে বাস
রোহিঙ্গাদের থেঁতলানো লাশ
রোহিঙ্গা মেয়ের গর্ভে লাথি
ভ্রূণ হত্যার মসলাপাতি।

এ হলো মানুষ তীর্থফেরা
সবার ওপরে সত্য এরা
কারা রোহিঙ্গা কী যায় আসে
বসছে শকুন শিশুর লাশে।

স্বাগত শকুন তোমারই যোগ্য
আমরা মানুষ পোকার ভোগ্য
উপড়ানো চোখ তোমাকেই দেব
শুনলে এ গান রোহিঙ্গা ভেব।

গানটির সঙ্গে কবীর সুমন স্ট্যাটাসে আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক বন্ধু আমার কাছে এমন একটি গান চেয়েছিলেন, তাই একটি গান তৈরি করে ঘরে রেকর্ড করলাম। মাইক্রোফোনে হাওয়ার আওয়াজ এসেছে। আমার শরীর ভালো নয়। গরমে রেকর্ড করা আর সম্ভব নয়। এই রচনা ও রেকর্ডিংয়ের ধ্বনিবৈশিষ্ট্য ও ধ্বনি-উৎকর্ষের চেয়ে রচনাটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

কবীর সুমন তাঁর বর্তমান কাজ নিয়ে লিখেছেন, ‘একটি অনুরোধ- আমাকে যদি কেউ সত্যিই ভালোবাসেন, এ ধরনের গান আর করতে বলবেন না। খুব কষ্ট হয়। আমার জীবনের সেরা কাজ আমি এখন করে চলেছি- বাংলা ভাষায় বিভিন্ন রাগে বিলম্বিত ও মধ্য/দ্রুত লয়ে খেয়াল গান তৈরি। এটি ঐতিহাসিক কাজ, যা আর কেউ এই পরিসরে, এই উৎকর্ষ বজায় রেখে, এই সংখ্যায় কোনো দিনই করেননি আধুনিক, সমকালীন বাংলা ভাষায়।

আমি জানি, এ জন্য আমাকে আমার জাতি সাধুবাদ দেবে না, বরং অন্য কিছু দেবে। তাতে আমার যায়-আসে না। আমি বাঙালি জাতির জন্য কাজটি করছি না, বাংলা ভাষার জন্য করছি।’

এলএ

আরও পড়ুন