ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

অব্যবস্থাপনার আয়োজনেও শ্রেয়ার বাজিমাত

প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ০৫ জুন ২০১৫

বে এন্টারটেইনমেন্টের আয়োজনে ঢাকায় গাইতে এলেন ভারতের স্বনামধন্য কণ্ঠশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। আয়োজক প্রতিষ্ঠানের লজ্জাজনক অব্যবস্থাপনা সবাইকে বিরক্ত করলেও শ্রেয়ার গানে সেটা পুষিয়ে নিয়েছেন উপস্থিতিরা।

আয়োজক কমিটি প্রথমেই কোনো সংবাদ সম্মেলন না করেই মিডিয়াকর্মীদের দাঁড়িয়ে রেখে চরম অব্যবস্থাপনার পরিচয় দেয়। তার ওপর নিমন্ত্রণপত্র পেয়েও প্রবেশের অনুমতি না পাওয়ায় অনেক সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মী হলত্যাগ করতে বাধ্য হন।

এর পরেও টিকিটের মূল্য যথাক্রমে ১০ হাজার, সাড়ে ৭ হাজার, ৫ হাজার ও সাড়ে ৩ হাজার টাকা রাখা হলেও আসন নিয়ে দর্শকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে। এ কারণে অনেকে প্রতারণার অভিযোগও তুলেছেন বে এন্টারটেইনমেন্টের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার সন্ধ্যা অবধি আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘শ্রেয়া ঘোষাল লাইভ ইন ঢাকা’ শিরোনামের কনসার্টে আলোকচিত্রীদের কারও ঢোকার অনুমতি নেই। অনুষ্ঠান শুরুর আগে শ্রেয়াকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজন করেননি আয়োজকরা। এ ক্ষেত্রে ৩১ বছর বয়সী এই গায়িকার অনাগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন তারা।

অনুষ্ঠান শুরুর আগ মুহূর্তে হঠাৎ জানানো হয় সংবাদমাধ্যমের আলোকচিত্রীরা ঢুকতে পারবেন। এতেই স্পষ্ট হয়ে যায় আয়োজকদের উদাসীনতা। শ্রেয়া যে আলোকচিত্রী ও টিভি ক্যামেরা ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেননি, একইসাথে সেটিও প্রমাণ হয়।

এসব অভিযোগ নিয়ে কথা বলার জন্য বে এন্টারটেইনমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোনালিসা খান হাসানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

তবে কিন্নর কণ্ঠে শুক্রবার রাতে বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির (নবরাত্রি) হল মাতিয়ে রাখলেন শ্রেয়া ঘোষাল। প্রিয় শিল্পীকে চোখের সামনে গাইতে দেখার সুযোগ পেয়ে উপচে পড়েছিলো ভক্তদের ভিড়। সন্ধ্যা হতে না হতেই সবাই ছুটেছিলেন সেই আসরে। শ্রেয়াও হতাশ করেননি। একে একে গেয়ে শোনালেন জনপ্রিয় সব গান।

ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে ৭টা ছুঁই ছুঁই করছে, এমন সময় স্টেজে এসে শ্রেয়া বাংল‍ায় বললেন, ‘কেমন আছেন সবাই। আজ অনেকগুলো প্রিয় গান করার ইচ্ছে আছে। কোনটা ছেড়ে কোনটা করবো। যাই হোক, শুরু করি।’


শুরু করলেন তার কণ্ঠের সব হিট গান। ‘যাদু হ্যায় নাশা হ্যায়’, ‘তুহি তো মেরি দোস্ত হ্যায়’, ‘ক্যায়সে ম্যায় তু মিল গায়ে’, ‘সাঁসো মে’, ‘মারওয়া লাগা’, ‘ম্যায় তেনু’র পর থামলেন এবং শুরু করলেন ‘পিকু‘ ছবির ‘ধীরে চলনা’ শিরোনামের গানটি। গানটি করার সময় অনুপমের কথাও বলেন। তারই মিউজিকে গানটিতে কণ্ঠ দেন তিনি। এরপর ‘অটোগ্রাফ’ ছবির ‘চলো রাস্তা’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দেন।

এরপর নেন একটা বিরতি। এরপর এলেন শ্রেয়ার সঙ্গে আসা ভারতীয় সংগীতশিল্পী রিকেশ। কিন্তু শ্রোতারা যেন শ্রেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। তাই আবারো ‘শ্রেয়া শ্রেয়া’ কলরব তুলতেই স্টেজে হাজির হলেন হাস্যোজ্জ্বল মুখের এই তারকাশিল্পী। শুরু করলেন গান। ‍

টানা রাত ১০ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ‘ইতনি সি হাসি’, ‘ওরে জিয়া’, ‘তেরে লিয়ে’, ‘রাতভর’ ‘ইয়ে ইশক হ্যায়’, ‘ঢোল বাজে’, ‘জুবি জুবি’, ‘বালমা’, ‘উলালা’, ‘চিকনি চামেলি’সহ রুনা লায়লার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ‘সাগর কুলের নাইয়া’ ও ‘সাধের লাউ’ শিরোনামের দুটি গান করেন।

এরপর তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলেন, ‘আমার আজকের অবস্থান আমার বাবা-মা, বড় ভাই, সারেগামা ও ভক্তদের জন্য।’

মাঝে মাঝে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে নাচও করেন এই গায়িকা। সঙ্গে ছিল ভারত থেকে আসা ছয়জনের টিম। সবশেষে ‘তুঝমে রাব দিখতা হ্যায়’, ‘তেরিও’ ও লতাজির উদ্দেশ্যে ‘আমি যে তোমার’ ও ‘হামকো মিলিহ্যায়’ গানগুলো করে স্টেজ থেকে বিদায় নেন এই শিল্পী।

নানা শ্রেণির শ্রোতা-দর্শকদের পাশাপাশি ওই আসরে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের গায়িকা শাকিলা জাফর, ডা. নাশিদ কামাল, কনা, কোনাল, শামীম ওসমানসহ সঙ্গীতাঙ্গনের অনেকে এবং রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

এলএ/এসআরজে