রুবিকে নিয়ে যা বললেন সামিরা
ঢাকাই চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহ। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। লাশ উদ্ধারের পর ধারণা করা হয় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে।
তার মৃত্যু নিয়ে এই রহস্যের জট দুই দশক পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত খোলেনি। সেই রহস্যে নতুন করে ঘি ঢেলে দিলেন আমেরিকা প্রবাসী রুবি সুলতানা। এক ভিডিও বার্তা দিয়ে তিনি জানান, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি। তাকে খুন করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে জড়িত সামিরা ও তার পরিবার।
কিন্তু এই মৃত্যু নিয়ে প্রকাশ্যে কোথাও মুখ খোলেননি সামিরা ও তার পরিবার। অবশেষে জাগো নিউজের মুখোমুখি হলেন সামিরা। জানালেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার ব্যাপারটি আনন্দের কিছু নয় যে হৈ চৈ করে সেই ঘটনা আমি সবাইকে জানিয়ে বেড়াব। কত বয়স ছিল তখন আমার? ২২ বছর। যে মানুষকে ভালোবেসে সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছিলাম তার মৃত্যু আমার জন্য কোনোভাবেই সহজ বিষয় ছিল না।
তার ওপর বৈধব্যের যন্ত্রণা বুঝে ওঠার আগেই আমার ওপর অন্যায়ভাবে স্বামী খুনের অপবাদ দেয়া হলো। পুলিশি পাহারায় ছিলাম সারাটা দিন। ইমনের বাবার অনুরোধে তার লাশের সঙ্গেও আমি যেতে পারিনি, শেষ দেখা হয়নি। অনেক অভিমান মনে নিয়েই আমি সবকিছু থেকে নিজেকে আড়ালে নিয়ে গিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ এতদিন পর আমেরিকা থেকে রুবি ভিডিও ছেড়ে মনগড়া কথা বলে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি সালমান খুনের কোনো প্রমাণ দিতে পারছেন না। ইমন ব্যক্তিগতভাবে প্রবল আবেগী ছিল। মৃত্যুর পরও আবেগ তার পিছু ছাড়েনি। ইমনের পরিবার তার মৃত্যুকে ঘিরে আবেগীয় ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়েছে। সেগুলো বিশ্বাসও করেছে সবাই। নতুন করে রুবিও সেই তালিকায় যোগ দিলেন। সবাই বুঝে ফেলেছেন, ইমনের মৃত্যুকে খুন বলে চালাতে হলে সামিরার নাম নিতে হবে। তবে সেটা মানুষ সহজেই গ্রহণ করবে। হচ্ছেও তাই।
২১ বছর পর নতুন করে এসব নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথা প্রকাশ হওয়ায় বাধ্য হয়ে মুখ খুললাম। যে পুটলির কথা তিনি বলছেন তার ছেলের হাতে আমি দিয়েছি তার তো কোনো প্রমাণ নেই। কীসের ভিত্তিতে তিনি এসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন আমি জানি না। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন। যখন মনে যেটা আসছে সেটাই বলছেন। আমি সন্দেহ করি, ইমনের মা ও মামারা রুবিকে হাত করেছে। কয়েক বছর আগে যেমন রিজভী নামের একজনকে রাজসাক্ষী বানিয়েছিল এটাও তেমন হতে পারে।’
রুবির সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে কি না এই প্রশ্নের জবাবে সামিরা বলেন, ‘রুবি সম্পর্কে আমার মামি হন। তার সঙ্গে ইমনের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। আমাকে নিয়ে প্রায় সময়ই ইমন উনার বিউটি পার্লারে যেতেন। উনি ইমনের মায়েরও ভালো বান্ধবী ছিলেন। সব বিষয়ে নাক গলাতেন তিনি। এটা ইমন পছন্দ করত না।’
এলএ