বিক্রমের হাতে মডেল খুন : পরিবারকে রেহাই দেয়ার অনুরোধ
দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী মোড়ের কাছে ২৯ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও তার গাড়িতে থাকা মডেল সনিকা সিং চৌহান আহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান সনিকা। দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বিক্রম। এ কারণে বিক্রমের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ।
এরপর থেকেই বিক্রম পলাতক ছিলেন। ৬ জুলাই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৬ জুলাই শর্ত সাপেক্ষে জামিন পান বিক্রম। জেল থেকে বেরিয়ে এসে নিজের বাড়ির পরিস্থিতি দেখে বিমর্ষ তিনি।
তাকে ঘিরে সমালোচনার শিকার হয়েছে তার পরিবারও। বিপর্যস্ত বিক্রমের পরিবারের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবন যাপন। এইসব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া গতকাল সোমবার একটি আবেগপূর্ণ পোস্ট করলেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। নিজের ফেসবুক পেজে সেই লেখায় তিনি জানালেন, তাকে নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকেই তার পরিবারের সদস্যদের অপমান করে চলেছেন। তার মাকেও অসম্মান করা হয়েছে। সকলের কাছে তিনি অনুরোধ করেন, এবার অন্তত রেহাই দেওয়া হোক তার পরিবারকে।
ওই পোস্টে নিজের বোনের শারীরিক সমস্যার কথাও উল্লেখ করেছেন অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘যারা তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ওয়াকিবহাল তারা জানেন, সারা জীবন তাকে কত লড়াই করতে হয়েছে। একটু স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য এক বছর অন্তর তার অস্ত্রোপচার করাতে হয়। তারপর সেরে উঠতে লাগে আরও মাস তিনেক। তার উপরে এইসব বিতর্ক তাকে মানসিক অবসাদে ভুগাচ্ছে।’
বিক্রম আরও লিখেছেন, ‘ওই রাতে প্রাণ হারিয়েছে সনিকা। আর আমার শুধু প্রাণটুকুই রয়ে গিয়েছে, বাকি সব হারিয়েছি আমিও।’ সনিকা তার কত কাছের ছিলেন তা উল্লেখ করে অভিনেতার বক্তব্য, গত তিন মাস ধরে তার যেন মানসিক সুনামি চলছে। সনিকার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তার আক্ষেপ, ‘সেই একটা রাতে বরাবরের মতো বদলে গিয়েছে দুই পরিবারের ভাগ্য।’
এদিকে সনিকার আত্মীয়রা বিক্রমের এইসব আবেগী কথাবার্তাকে ‘ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল’ হিসেবেই দেখছেন।
এলএ