যৌথ প্রতারণার ছবি চালালে সিনেমা হলে আগুন দেয়ার হুমকি
যৌথ প্রযোজনার নিয়ম না মেনে নির্মাণ করা হয়েছে ‘নবাব’ এবং ‘বস টু’। শিল্পী নির্বাচনে ভারসাম্যহীনতা, দুই দেশের সমান সংখ্যক টেকনিশিয়ান ও কলাকুশলী না নেয়া এবং ছবির প্রচারণায় প্রতারণার আশ্রয় নেয়ায় এই দুটি ছবির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
নিয়ম বর্হিভুত ছবি দুটি আগামী ঈদে মুক্তি পেলে যে সিনেমা হল সেগুলো প্রদর্শন করবে সেখানে আগুন লাগানো হবে। আজ বুধবার (২১ জুন) ইস্কাটন গার্ডেন রোডে অবস্থিত চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ঘেরাও করে চিত্রপরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন ও শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর এই ঘোষণা দেন। বুধবার দুপুর ১ টায় সেন্সরবোর্ড ঘেরাও করে চলচ্চিত্রের নেতা কর্মীরা। সেখানে আছেন রিয়াজ, আলীরাজ, ডিপজল, খোরশেদ আলম খসরু ও আরও অনেকে।
নির্মাতা খোকন বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডের কাছে সবিনয় নিবেদন আপনারা প্রতারণায় অভিযুক্ত ছবি দুটিকে মুক্তির সনদ দেবেন না। যদি এগুলো মুক্তি পায় তবে যে হলে চালানো হবে সে হলেই আগুল দেয়া হবে। কিন্তু তার দায় আমরা নেব না।’
মিশা বলেন, ‘আমরা শিল্পী, চলচ্চিত্রকে ধ্বংস হতে দেব না। যতক্ষণ আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকবে আন্দোলন চলবেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার নামে কলকাতার একক ছবি এদেশে আমরা চলতে দেবো না। যদি চলে তাহলে সিনেমা হল ভাঙচুর করা হবে।’
মিশা আরো বলেন, ‘আমরা আাজ রাস্তায় নেমে এসেছি। যৌথ প্রযোজনার নামে অনিয়ম বন্ধ করতে চাই, যৌথ প্রযোজনা নয়।’
শিল্পী সমিতির সহসভাপতি রিয়াজ বলেন, ‘আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, প্লিজ চলচ্চিত্র বাঁচান। আমাদের ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পটিকে ধ্বংস করতে দালালদের সঙ্গে সরকারের লোকেরাও যোগ দিয়েছে। তারা কারো কথাই শুনছেন না, মানছেন না। নিজেদেরকে দেশের সর্বসেবা মনে করছেন এবং অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করছেন। এতে একদিকে আমাদের চলচ্চিত্র ধ্বংস হবার পথ সুগম হচ্ছে অন্যদিকে অন্যায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে।’
এনই/এলএ