সেন্সরবোর্ড ঘেরাও করেছে চলচ্চিত্র ঐক্যজোট
সেন্সরবোর্ডের দালালরা হুঁশিয়ার-সাবধান, সেন্সর বোর্ডের অনিয়ম- মানি না মানবো না- এমন আরও কিছু স্লোগানের মাধ্যমে চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ড ঘেরাও করেছে চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতাকর্মীরা।
রোববার দুপুর ১ টা ১০ মিনিটের রাজধানীরর ইস্কাটনে অবস্থিত চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ড ঘেরাও করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ চলচ্চিত্র অভিনেতা ফারুক, চিত্রনায়ক রিয়াজ, রুবেল, পপি, সাইমন, বাপ্পী, পরীমনি, শান, কায়েস আরজু, নিঝুম রুবিনা, মৌমিতা মৌ, সুব্রতসহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমিতির নেতা-কর্মীরা।
ফারুক বলেন, ‘আমাদের দেশের চলচ্চিত্র মানুষের কথা বলে, স্বাধীনতারর কথা বলে। ৬৯ এ বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে চলচ্চিত্র বিকাশিত হয়। সেই চলচ্চিত্রে আজ ভিনদেশিদের দালালদের কালো থাবা। আমাদের সেন্সর বোর্ড আমাদের দেশের চলচ্চিত্রের কথা না ভেবে আর কারো কথা ভাবলে আমরা মানবো না।’
ফারুক বলেন, ‘এখন চলচ্চিত্রের মানুষদের মুখে থু থু দিচ্ছে ভিনভেশি দালালরা। অনেক সহ্য করেছি, আর না। এবার আমরা রুখে দাঁড়াবো।’
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির যুগ্ম মহাসচিব শাহীন সুমন বলেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও এই অনিয়মের যৌথ প্রযোজনা ও সেন্সরের স্বেচ্ছাচারীতা বন্ধ করবো।’
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহসভাপতি রিয়াজ বলেন, ‘কিছুতেই যৌথ প্রতারণার ছবি মেনে নেয়া হবে না। আন্দোলন কেবল শুরু হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবো। এই অনিয়ম আমরা বন্ধ করেই ছাড়বো।’
শিল্পীদের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এফডিসি, এখানে কারো একক ব্যক্তি ক্ষমতার প্রভাব চলবে না। আমরা চলচ্চিত্র পরিবার আজ এক হয়েছি। সকল অনিয়ম দূর করবোই।’
শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক সম্পাদক চিত্রনায়ক ইমন বলেন, ‘আমরা যৌথ প্রযোজনার নামে এই অনিয়ম আর নেতিবাচক ছবি নির্মাণ চাই না। কলকাতার শিল্পীরা আসুন যান কোনো সমস্যা নেই। নিয়ম রীতি মেনে সিনেমা করুন তাতেও সমস্যা নেই। কিন্তু রাষ্ট কর্তৃক প্রদত্ত আইন ভেঙে আমার ইন্ডাস্ট্রিকে অস্তিত্ব সংকটে ফেললে আমি সইবো না। এই আন্দোলনের সঙ্গে আছি, ছিলাম ও থাকবো।’
চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা ডিপজল বলেন, ‘দুঃখ লাগে ভাবলে যে আমরা চলচ্চিত্রের মানুষ যাদের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ছিলো তারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছি। কী জমজমাট এফডিসি ছিলো। কিছু নষ্ট মানুষ সেটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ভিনদেশের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। সেন্সর বোর্ড কিছুই দেখছে না। সরকারও নিবর হয়ে আছে। অনুরোধ করবো সবাই দেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কথা ভাবুন। এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি ভাবার।’
বর্তমানে চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতা-কর্মীরা সেন্সর বোর্ডের সামনে রাস্তায় বসে আছেন। তারা বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয় এ গিয়ে মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করতে চাই না। আমরা সেন্সরবোর্ড এর অনিয়ম বন্ধ করতে চাই। কেননা, গেল কয়েক বছর ধরেই দেখছি এই মন্ত্রী শুধুই আশ্বাস দিতে পারেন। সমাধান নয়।’
এনই/এলএ