সারাদিন রোজা রেখে বিকেলে ভেঙে ফেলতাম : পপি
রমজান মাস রহমতের মাস, মাগফিরাতের মাস, নাজাতের মাস। প্রত্যেক মুসলমানই চেষ্টা করেন প্রতিটি রোজা রাখার। তারকারাও এর ব্যতিক্রম নন। শুটিংসহ অন্যান্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি তারাও রোজা রাখার চেষ্টা করেন। চিত্রনায়িকা পপিও তেমনটাই করেন। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য রমজানের দ্বিতীয়দিনে চিত্রনায়িকা পপি জানালেন তার প্রথম রোজা রাখার অভিজ্ঞতা-
‘ছোটবেলার সব কিছুই আনন্দের ছিল। তখন খুলনার খালিশপুরে থাকতাম। আমি যখন ছোট তখন রোজা শীতের মধ্যে আসত। উফ, সে কি হাড় কাঁপানো শীত! তার মধ্যে সেহরির সময় উঠে মাকে দেখতাম রান্না চড়াতেন। মা এমনভাবে উঠতেন যেন আমরা আওয়াজ না পাই। কারণ আমরা উঠলেই তাদের সঙ্গে সেহরি খেয়ে রোজা রাখার বায়না থাকত। তখন ছোট থাকায় মা চাইতেন না রোজা রাখি। তবে সেহরি খেলেই রোজা আর ভাঙানো যেত না। দিনে বারবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকতাম কখন ইফতারের সময় হবে। কখন মসজিদ থেকে আজানের আওয়াজ আসবে। ছোটবেলার রোজা রাখার কথা মনে হলেই উৎফুল্ল হয়ে উঠি।’
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ লাগত বিকেলের দিকে। পানি খাওয়ার জন্য হাহাকার করে উঠতাম। কোনো কোনোদিন না পেরে বিকেলের দিকে রোজা ভেঙে ফেলতাম। অথচ সারা দিন না খেয়ে থেকেছি। আসরের আজানের দিকে রোজা ভেঙেছি অনেকবার। তবে কাউকে বলতাম না। সবাই জানত আমি রোজা রাখছি। সেইসব কথা মনে পড়লে এখন হাসি পায়।’
অনেকদিন পর ‘রাজপথ’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন পপি। জাভেদ জাহিদের পরিচালনায় পপির বিপরীতে দেখা যাবে জায়েদ খানকে। পপিকে সর্বশেষ রুপালী পর্দায় দেখা যায় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়া কয়েক বছরের পুরনো ‘পৌষ মাসের পিরিত’ ছবিতে। এছাড়া ‘সোনাবন্ধু’ নামের আরেকটি ছবি মুক্তি অপেক্ষায় রয়েছে। গেল সপ্তাহে ‘মেন্টাল’ নামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন পপি, যেটি ঈদে আরটিভিতে প্রচার হবে।
এনই/এলএ