সন্তানের জন্য চাকরি ছেড়ে দেয়া তিন তারকার মায়ের গল্প
পৃথিবীতে একজন মানুষ আছেন যাকে সন্তান প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলে। সারাজীবন সেই ভালোবাসা অটুট থাকে। সন্তান গর্ভে ধারনের পর থেকে যতদিন বেঁচে থাকেন নিঃস্বার্থভাবে সন্তানকে আগলে রাখেন সেই মানুষ। তিনিই ‘মা’।
সন্তানের সুখের জন্য এক জীবনে এই মা হাসিমুখে যে কত কিছু ত্যাগস্বীকার করেন সেটা বলে বোঝানোর সাধ্য কোনো সন্তানের নেই। আজ ‘বিশ্ব মা দিবস’। দিনটিতে শোবিজের জনপ্রিয় তিন তারকা তৌসিফ মাহবুব, শবনম ফারিয়া ও জোভান জাগো নিউজকে জানালেন তাদের সুখের কথা চিন্তা করে তাদের মায়ের ত্যাগ স্বীকারের কিছু কথা। আলাপে তারা প্রত্যেকেই বললেন, তাদের আজকেই এই সফলতার জন্য পুরো ‘ক্রেডিট’ তাদের মায়ের উপর বর্তায়। চলুন জানা যাক তাদের মন্তব্যে তাদের মায়ের ত্যাগের কিছু কথা-
তৌসিফ মাহবুব
আমার মায়ের নাম লুৎফা মাহবুব। ১৯৮৮-৮৯ সালে আমার মা কাতার এয়ার লাইন্স-এ এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে মা তার সন্তান (আমার) ও পরিবারের জন্য চাকরি ছেড়ে দেন। মা এখন গৃহিণী। আমার জন্ম ও বুঝতে শেখার পর থেকেই দেখেছি মা নিজের সংসারকে আগলে রেখেছেন। আমার আজকেই এই অবস্থানে আসার পেছনে মায়ের অবদানের কথা বলে স্বীকার করা যাবে না। আমার মা এখন আমার অভিনয়ের একজন ভক্ত। সন্তান হিসেবে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না।
শবনম ফারিয়া
মাকে আমি আম্মু বলে ডাকি। আমার আম্মুর নাম নার্গিস আকতার। আম্মু আগে আইসিডিডিআরবি (ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ অব বাংলাদেশ) কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি তার পরিবার ও মেয়েদের (আমি ও আমার বোন) কথা চিন্তা করে চাকরি ছেড়ে দেন। সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে মায়ের এমন ত্যাগস্বীকার খুব বেশি দেখা যায় না। আমার কাছে সৃষ্টি সেরা নেয়ামত হচ্ছে আমার আম্মু। আমার চাওয়া, আমার কারণে একদিন আমার মা গর্বিত হবে সবার কাছে, সারাদেশে।
ফারহান আহমেদ জোভান
আমার আম্মুর নাম সোহেলী আহমেদ। ছোট বেলায় দেখেছি আমার আম্মু স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। উনি স্কুলে ইংরেজি পড়াতেন। খুব নাম ছিল আম্মুর। পরে আমার এবং আমার বোনের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে, আমাদের দেখভাল ও বেশি সময় দেয়ার জন্য আম্মু চাকরিটা ছেড়ে দেন। আমার বাবা কবির আহমেদ ১৩ বছর ধরে নিউইয়র্কে আছেন। আমার বোনটাকে আমার আম্মু একাই মানুষ করছে এবং সংসার সামলাচ্ছেন। আমি মনে করি আমার মা একজন প্রকৃত যোদ্ধা। সৃষ্টিকর্তা আমার আম্মুকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখুক এটাই চাই।
এনই/এলএ