মিশা-জায়েদ প্যানেল জনপ্রিয়তা পেয়েছে : ছটকু আহমেদ
স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ছটকু আহমেদ বলেছেন, ‘চলচ্চিত্রের বিবেক হচ্ছে শিল্পী সমাজ। যারা চলচ্চিত্রকে এদেশে এখনও টিকিয়ে রেখেছেন। তাই শিল্পীরা বেঁচে থাকলে, চলচ্চিত্র বাঁচবে। শিল্পীরা ভালো থাকলে, চলচ্চিত্র ভালো থাকবে।’
আসন্ন শিল্পী সমিতি নির্বাচনে মিশা-জায়েদ খানের প্যানেলকে সমর্থন দিয়েছেন প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ছটকু আহমেদ। মঙ্গলবার দুপুরে প্যানেলটির পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয় এফডিসিতে।
সেখানে উপস্থিত থেকে ছটকু আহমেদ বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার নামে ভিনদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনে ধ্বংসের মুখে বাংলা চলচ্চিত্র। এই অঙ্গন এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। ওপারের শিল্পীরা এখানে এসে কাজ করছে, আর আমাদের শিল্পীরা বেকারত্বে ভুগছে। আমাদের শিল্পীরা কাজের সুযোগ তেমন পাচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে চলচ্চিত্রকে বের করতে প্রয়োজন যোগ্য নেতৃত্ব। যেটা মিশা- জায়েদ খান প্যানেল নির্বাচনে জয়ী হলে দিতে পারবে বলে আমি মনে করি। তাই আমি মিশা-জায়েদ খান প্যানেলকে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য শিল্পীদের আহ্বান জানাচ্ছি।’
‘সত্যের মৃত্যু নেই’ ছবির এই নির্মাতা বলেন, ‘মিশা-জায়েদ খান প্যানেল নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের সমন্বয়ে গঠিত চমৎকার একটি প্যানেল। এই ধরনের নির্বাচনী প্যানেল আমি আমার দীর্ঘ ৫০ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে দেখিনি। রোজিনা, অঞ্জনা, পপি, পূর্ণিমা, রিয়াজ, আলীরাজ, বাপ্পারাজ, সাইমন, নিরব, ইমন ছাড়াও সব যোগ্য প্রার্থীরা রয়েছেন এই প্যানেলে। আমার বিশ্বাস তারা নেতৃত্বে আসলে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করবেন। তাছাড়া সবার সমর্থনে তারা এরই মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।’
আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাতির মোহাম্মদের বিখ্যাত উক্তি উল্লেখ করে ছটকু আহমেদ বলেন, ‘স্বপ্ন আকাশ সমান থাকুক তাতে ক্ষতি নেই। তবে পা মাটি থেকে উপরে তোলা যাবে না। তাহলে মুখ থুবড়ে পড়ে যেতে হবে। আর এই কথাটা আমাদের শিল্পীদের সবসময় মনে রাখতে হবে।’
মিশা সওদাগর সভাপতি ও জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও এই প্যানেলে অন্য শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন- নূতন ও রিয়াজ, আরমান, সুব্রত, জ্যাকি আলমগীর, ডন, আজাদ খান। কার্যনির্বাহী পদের প্রার্থী হয়েছেন- অঞ্জনা, রোজিনা, আলী রাজ, নানা শাহ্, বাপ্পারাজ, পপি, পূর্ণিমা, সাইমন, নিরব, আমির ও হরবোলা।
এছাড়া মিশা-জায়েদ খান প্যানেলকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন প্রবীণ চলচ্চিত্র শিল্পী রাজ রাজ্জাক, সোহেল রানা, আনোয়ারা, ফারুক, ইলিয়াস কাঞ্চন, সুচরিতা, প্রবীর মিত্র। তারা প্রত্যেকে উপস্থিত থেকে পৃথকভাবে চলচ্চিত্র নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
এনই/আরআইপি