সবাই মিলে চলচ্চিত্র শিল্পকে চাঙ্গা করতে চাই : রিয়াজ
ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা রিয়াজ আহমেদ। কেবল রিয়াজ নামেই তার পরিচিতি। একসময়ের রোমান্টিক কিং হিসেবে নিজেকে আবির্ভূত করেছিলেন এই নায়ক। হাল ধরেছেন সালমান শাহ পরবর্তী ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির। শাবনূর, পূর্ণিমার সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রায় একাই হলে টেনেছেন সুস্থধারার দর্শক। অশ্লীলতার চরম যুগেও তিনি ছিলেন রুচিশীল দর্শকের ভরসার নায়ক। অশ্লীলতাকে পাশ কাটিয়ে উপহার দিয়েছেন দারুণ সব ব্যবসা সফল ছবি।
‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘মন মানে না’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘স্বপ্নের পুরুষ’, ‘আমি তোমারই’, ‘এ জীবন তোমার আমার’, ‘হৃদয়ের আয়না’, ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘প্রেম করেছি বেশ করেছি’, ‘হৃদয়ের কথা’ ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ছবিগুলো দিয়ে তিনি আজও প্রেম পিয়াসী হৃদয়ের দর্শকের প্রিয় নায়ক। এর বাইরে ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘ইবাদাত’, ‘সুন্দরী বধু’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘শাস্তি’ ছবিগুলো দিয়ে তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অভিনেতা হিসেবে অনন্য উচ্চতায়। এছাড়া রিয়াজ ভারতীয় চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা মহেশ মাঞ্জরেকারের ‘ইট ওয়াজ রেইনিং দ্যাট নাইট’ নামে একটি ইংরেজি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চলচ্চিত্রে রিয়াজ বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের সাথে কাজ করেছেন।
হলের নোংরা পরিবেশ, ফিল্মের রুগণ পলিটিক্স, গল্প ও নির্মাণের মুন্সিয়ানার দুর্বলতায় অভিমানেই দূরে সরে ছিলেন চলচ্চিত্রের অভিনয় থেকে। মনোযোগী হয়েছেন ছোট পর্দায়। বড় পর্দায় আবারও তার প্রত্যাবর্তন ঘটে গেল বছর হুমায়ূন আহমেদের গল্পে মেহের আফরোজ শাওন পরিচালিত ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবি দিয়ে। মাহিয়া মাহির বিপরীতে এ ছবি দিয়েও তিনি দর্শকের মন ছুঁয়েছেন।
নতুন খবর হলো আসছে ৫ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। গতকাল রোববার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এসেছিলেন প্রিয় আঙিনা এফডিসিতে। সেখানে নির্বাচন ও চলচ্চিত্রের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে জাগো নিউজের মুখোমুখি হন তিনি। লিখেছেন লিমন আহমেদ......
জাগো নিউজ : শোনা যাচ্ছে নির্বাচন পেছাতে পারে। বর্তমান কমিটির সভাপতি শাকিব খান এফডিসিতে পুলিশের প্রবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পুলিশ প্রবেশের কারণ জানতে এর সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া অবধি নির্বাচন বন্ধ থাকতে পারে.....
রিয়াজ : না, এটা কেবলই গুজব। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি আজ (রোববার, ২৩ এপ্রিল) মিটিং করেছে। সেখানে নির্বাচন হবে বলেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে জাতীয় পর্যায়ে দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা না হলে বা মন্দ পরিবেশ বিরাজ না করলে নির্বাচন না হওয়ার কোনো কারণ নেই। এ মুহূর্তে কোনো অজুহাতে নির্বাচন পেছানোটা কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। ওইদিন যা কিছু হয়েছে একজন শিল্পীকে উকিল নোটিশ দেয়ার সূত্র ধরে। ব্যক্তি দায় কখনোই পুরো শিল্প নেবে না। যে যাই নিজেকে মনে করি না কেন, দিন শেষে আমরা শিল্পী। নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থে পরিবর্তনের দরজা খোলা রাখতে হবেই।
জাগো নিউজ : সব রকম নির্বাচনেই প্রার্থী ও নির্দিষ্ট প্যানেলের কিছু প্রতিশ্রুতি বা ইশতেহার থাকে ভোটারদের জন্য। সেক্ষেত্রে নির্বাচিত হওয়ার পর শিল্পীদের স্বার্থে আপনার ও আপনার প্যানেলের পরিকল্পনা কী?
রিয়াজ : পরিকল্পনা অনেক। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো আমাদের ইন্ডাস্ট্রিটা ঠেকে ঠুকে চলছে। প্রথমে এটাকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করব সবাই মিলে। দেখুন, এফডিসির কড়ইতলার কড়ই গাছটি মরে গেছে কিন্তু এর নিচের ময়লা এখনও পরিষ্কার হয়নি। সবখানেই নোংরামিতে ছেয়ে আছে। এসব থেকে এফডিসি ও চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে। এজন্য যা করা প্রয়োজন সবই চেষ্টা থাকবে। আর যারা নির্বাচিত হবে তারা যেমন থাকবে যারা নির্বাচিত হবেন না তাদেরও অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
সবাইকে সম্মিলিতভাবেই চেষ্টা করতে হবে চলচ্চিত্রের থেমে যাওয়া চাকাকে আবার সচল রাখতে। এগুলো আমার একান্ত ভাবনা বলতে পারেন। আর প্যানেল বা সার্বিকভাবে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সব সমিতিকে এক করে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। আমরা আবার সেই ইন্ডাস্ট্রিটাকে পেতে চাই, যেখানে কাজের উৎসব হবে, সবাই ভালো থাকবে।
জাগো নিউজ : এখন অধিকাংশ শিল্পীই বেকার। কাজ নেই। এ জায়গা থেকে শিল্পীদের জন্য কী পরিকল্পনা আছে?
রিয়াজ : অবশ্যই আছে। শিল্পীদের কাজের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আমরা সিস্টেম লসে পড়ে গেছি। সেটাকে গুছিয়ে নিতে হবে। ভালো গল্প, ভালো নির্মাণ, ভালো শিল্পী ও হলের পরিবেশ উন্নয়নে আমাদের সক্রিয় ভূমিকা থাকবে। এ বিষয়গুলোর উন্নতি হলে দর্শক আবারও সিনেমা দেখবে। ইন্ডাস্ট্রি সচল হবে। কাজের পরিমাণ বাড়বে। শিল্পীরাও ভালো থাকবেন। সিনিয়রদের আনাগোনা বাড়বে। মুরুব্বিহীন সংসারে আদবের চর্চা হয় না। পরিকল্পনামাফিক উদ্যোগগুলো নেয়া হবে। আমি মনে করি কোনো ফান্ড গঠন করে শিল্পীদের আর্থিক সাহায্য দেয়ার চেয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাটা অধিক কার্যকর। শিল্পীদের আজকাল কেউ কেউ দুস্থ বলছেন। শিল্পীরা কখনও দুস্থ হয় না। যারা এসব বলেন তাদের রুচি বা জানার সীমাবদ্ধতা আছে।
জাগো নিউজ : যৌথ প্রযোজনার ছবি এই নির্বাচনের একটা ইস্যু হয়ে উঠছে। আপনি নিজেও যৌথ প্রযোজনার ছবি করেছেন এবং সফল হয়েছেন। আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে বর্তমানে যৌথ প্রযোজনা নিয়ে যে সমালোচনা বা তর্ক-বিতর্ক এ ব্যাপারে আপনার ভাবনা জানতে চাই.....
রিয়াজ : খুবই ক্লিয়ার। যৌথ প্রযোজনা নতুন কিছু নয়। বহু আগে থেকেই আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার ছবি করেছে। আমিও ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘প্রেম করেছি বেশ করেছি’ নামের যৌথ প্রযোজনার ব্যবসা সফল ছবিতে অভিনয় করেছি। ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র মতো ছবিও যৌথ প্রযোজনায় হয়েছে। সেগুলো নিয়ে তো কেউ কোনো দিন কথা বলেনি। কিন্তু আজকাল যা হচ্ছে সেগুলো এত সমালোচনা হচ্ছে কেন? তার যথেষ্ট কারণ আছে।
যৌথ প্রযোজনা বলতে বোঝায় দুটি দেশের সমান সমান অংশীদার বা দায় নিয়ে কোনো প্রযোজনা। আপনি ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন আগে সবকটি যৌথ প্রযোজনার ছবি হতো দুই দেশের প্রযোজক, গল্পকার, পরিচালক, শিল্পী, টেকনিশিয়ান ভাগাভাগি করে। এমনকি ছবির লোকেশনও হতো দুই দেশে প্রায় সমান সমান। ছবিগুলো দুটো দেশেই মুক্তি দেয়া হতো উৎসব আমেজে। ‘মনের মাঝে তুমি’ কলকাতা ও বাংলাদেশ- দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই সুপারহিট ব্যবসা করেছে। ওখানে আমি ও পূর্ণিমার পাশাপাশি ওপারের অনেক জনপ্রিয় তারকারা কাজ করেছেন।
আর এখন কী হচ্ছে? নির্দিষ্ট একটি দেশকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। উপেক্ষা করা হচ্ছে তুলনামূলক ছোট বাজারটিকে, দুর্বল ইন্ডাস্ট্রিকে। যৌথ প্রযোজনার নাম করে চলছে প্রতারণার রমরমা ব্যবসা। দেশের সেরা শিল্পীরা লোভে পড়ে সেই ব্যবসায় তুরুপের তাস হচ্ছেন। বলা হচ্ছে দুই দেশের প্রযোজনা। আদতে দুই দেশের দুজন ব্যবসায়ী মিলে একটা চুক্তি করে কলকাতার শিল্পীদের দিয়ে আমাদের বাজারটা দখল করাচ্ছে। যৌথ প্রযোজনার কোন ছবিটা কলকাতার কয়টা হলে চলেছে? সেগুলোর সেল রিপোর্ট কী? এপারের কোন তারকা ওপারে জনপ্রিয় হয়েছে? খোঁজ নিয়েছে কেউ? কাগজে লেখা হচ্ছে এপারের তারকা ওপারে সুপারস্টার হয়ে যাচ্ছে! আসলে কী তাই? আমরা কলকাতায় কাজ করে এসেছি। সেখানকার বাজারের খোঁজ খবর আমরাও জানি।
চালাকির দিন ফুরিয়েছে। ভিন দেশের শিল্পীরা এসে অনুমতি ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছে। সমানে অনিয়ম। প্রযোজনার বদলে প্রতারণা। পরিতাপের ব্যাপার, যারা ইন্ডাস্ট্রিরন স্বার্থে এসব নিয়ে আন্দোলন করবেন তারাই নিমজ্জিত হয়ে গেছেন যৌথ প্রযোজনায়। লোভে পড়ে নিজের নাম-পরিচয় ভুলতে বসেছেন। আশার কথা হলো, সবাই জেগেছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও লেখালেখি হচ্ছে। শিল্পীরাও সচেতন হচ্ছেন। হল মালিকরাও শিগগিরই বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন। আমরা জয়ী হয়ে নেতৃত্বে এলে এই জায়গাটিতে পরিবর্তন আসবে। এক দুইজনের ক্যারিয়ারের স্বার্থে
জাগো নিউজ : যৌথ প্রযোজনার নামে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে আপনাদের কী অবস্থান থাকবে?
রিয়াজ : আমরা অনিয়মের প্রথাটা অবশ্যই ভাঙবো। শুধু ভারত কেন, বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনা হতে পারে। কিন্তু সেটা হতে হবে রাষ্ট্র ও সংবিধানের নিয়ম মেনে। কারও ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের জন্য পুরো ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হতে কখনোই দেবেন না শিল্পীরা।
জাগো নিউজ : সাফটা চুক্তি নিয়েও অনেক সমালোচনা হচ্ছে। ভারতের ছবির বিনিময়ে পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশি ছবি। কিন্তু এখানেও অনেক অনিয়মের অভিযোগ। সেগুলো নিয়ে কী শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে আসলে আপনাদের কোনো ভূমিকা থাকবে?
রিয়াজ : সাফটা চুক্তি রাষ্ট্রীয় বিষয়। সরকার ইতিবাচক ভাবনা থেকেই এই চুক্তিটি করেছিল। কিন্তু এর ব্যবহার বা প্রয়োগটা হচ্ছে নেতিবাচক। অন্য দেশের ছবির বিনিময়ে কীসব ছবি এদেশ থেকে যাচ্ছে, সেগুলো কোথায় দেখানো হচ্ছে তার মনিটরিং হচ্ছে না। হল মালিকদের একটা চক্র ও কিছু অসাধু প্রযোজকরা এই চুক্তিটাকে মিস ইউজ করছে। এই বিষয়ে আমরা সরব হবো। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু বরাবরই চলচ্চিত্র বান্ধব। তিনি চলচ্চিত্র শিল্পকে অনেক উন্নত দেখতে চান। কিন্তু তার চারপাশের মানুষরা বা যারা দায়িত্ব পান তারা ভুল করছেন। একটু মনযোগী হলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
জাগো নিউজ : অনেকটা সময় চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলেন। গতবছর একটি ছবি দিয়ে প্রত্যাবর্তন হয়েছে আপনার। এবার আসছেন নেতৃত্বে। চলচ্চিত্রে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
রিয়াজ : হলের পরিবেশ ভালো নয় বলেই দর্শক হলে যাচ্ছেন না। ফলে টাকা লগ্নি করে লস গুনছেন প্রযোজকেরা। আমি নিজেও প্রযোজনা করেছি। কিন্তু যখন দেখলাম লগ্নির টাকায় ঝুঁকি আছে তখন আর সাহস পাইনি। হল মালিকরাই লাভবান হচ্ছেন দিনশেষে। আর সবাই কেবল ভুতের বেগার খাটছেন। পাশাপাশি ভালো গল্প ও নির্মাণের মুন্সিয়ানাটাও ফেরত আনা জরুরি। সবাই নীতিগতভাবে এক হয়ে একটা যাত্রা শুরু করছি। দেখা যাক কী হয়। সফল হলে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার ও সামগ্রিক ইন্ডাস্ট্রি সবকিছুই ইতিবাচক হবে বলে আশা রাখছি।
জাগো নিউজ : একটি প্যানেল থেকে নবীন অভিনেত্রী অমৃতা খান আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন নির্বাচনে। বয়স ও অভিজ্ঞতার আলোকে সহ সভাপতি পদে অমৃতার নির্বাচন করা নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। অমৃতার এই নির্বাচনকে আপনি কীভাবে দেখেন?
রিয়াজ : আলোচনা বা সমালোচনার কিছু নেই। আপনি যখন বুঝতে পারবেন না, তখন আপনাকে কিছু বলেই বুঝানো যাবে না। প্রত্যেকেরই স্বাধীনতা ও অধিকার আছে নির্বাচনে আসার। অমৃতাও এসছে। সে পাশও করতে পারে যদি সেই যোগ্যতা সে রাখে। কাকে নির্বাচিত করা হবে তার ভার কিন্তু ভোটারের হাতে। কে কতোটা যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, সাহস, প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে সমিতির সুনাম বাড়াবে, শিল্পীদের পাশে দাঁড়াবে সেটা নিশ্চয়ই ভোটারগণ বিবেচনা করবেন। নূতন আপাও সহ সভাপতি নির্বাচন করছেন আমার প্যানেল থেকে। উনি পাশ করলে ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতা তিনি কাজে লাগাবেন। আমি পাশ করলে সমিতি আমার কাছে বাইশ বছরের অভিজ্ঞতা পাবে। অমৃতা আসলে অভিজ্ঞতাটা হবে দুই-তিন বছরের। এখানে সমালোচনার কিছু নেই। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপার। তাছাড়া আপনি যাই করুন না কেন তার সৌন্দর্য থাকা চাই। আর আমরা যেহেতু শিল্পী, সৌন্দর্য নিয়ে আমাদের বেশি ভাবতে হয়। অমৃতা আমার ছোট বোনের মতো। সাহস করে ও গুরুদায়িত্ব নিতে চাইছে। আমি তাকে সবসময় শুভকামনা জানাই।
জাগো নিউজ : আপনার সংসার জীবন ও সাম্প্রতিক ব্যস্ততার খবর বলুন?
রিয়াজ : ভালো আছি স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে। আর আসছে ঈদ উপলক্ষে বেশ কিছু নাটক-টেলিছবিতে কাজ করছি। বরাবরই আমি গল্প ও চরিত্রের নান্দনিকতাতে গুরুত্ব দেই। এবারও ব্যতিক্রম সব চরিত্রে আমাকে দেখতে পাবেন দর্শক। চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার। তবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকব। তাই এবার কাজের সংখ্যাও থাকবে কম। আর একটি চলচ্চিত্রে কাজ করার আলোচনা হয়েছে। চূড়ান্ত হলে জানানো যাবে।
জাগো নিউজ : আপনার শরীরের কী অবস্থা এখন?
রিয়াজ : আলহামদুলিল্লাহ! ভালো আছি। আমার জন্য দোয়া করবেন। যে যেখানে থাকুন ভালো থাকুন, ভালো রাখুন চারপাশ।
এলএ/আরআইপি