একনজরে মিজু আহমেদ
চলচ্চিত্রাঙ্গনে আচমকাই শোকের ছায়া নামিয়ে চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ও প্রযোজক মিজু আহমেদ। আজ সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় কমলাপুর থেকে দিনাজপুর যাবার পথে ট্রেনে হার্ট অ্যাটাক হয় এই অভিনেতার। পরে তাকে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে নামানো হলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অভিনেতার বাইরেও তিনি একজন প্রযোজক হিসেবেও ঢালিউডপাড়ায় পরিচিত। মূলত মিজু আহমেদ তার খলনায়ক চরিত্রের সুবাদে বাংলা চলচ্চিত্রে সুপরিচিত। তিনি চলচ্চিত্রের একজন সংগঠক হিসেবেও জনপ্রিয় ছিলেন। একাধিকবার তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম নাম হচ্ছে মিজানুর রহমান। শৈশবকাল থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তী তিনি কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ছিলেন একজন বিএসসি।
ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্রের জনক। বড় মেয়ে কেয়া বিবাহিত। তার স্বামী জিয়া ডেভেলপার ব্যবসায়ী। ছোট মেয়ে মৌ ইউল্যাব থেকে এমবিএ শেষ করেছেন। সবার ছোট পুত্র হাসরাত পড়াশোনা করছেন ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। মিজু আহমেদের স্ত্রীর নাম পারভিন আক্তার।
১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কয়েক বছর পরে তিনি ঢালিউড চলচ্চিত্র শিল্পে অন্যতম সেরা একজন খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়াও তিনি তার নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস মুভিজ’র ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন।
মিজু আহমেদ অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘তৃষ্ণা’ (১৯৭৮), ‘মহানগর’ (১৯৮১), ‘স্যারেন্ডার’ (১৯৮৭), ‘চাকর’ (১৯৯২), ‘সোলেমান ডাঙ্গা’ (১৯৯২), ‘ত্যাগ’ (১৯৯৩), ‘বশিরা’ (১৯৯৬), ‘আজকের সন্ত্রাসী’ (১৯৯৬), ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ (১৯৯৭), ‘কুলি’ (১৯৯৭), ‘লাঠি’ (১৯৯৯), ‘লাল বাদশা’ (১৯৯৯), ‘গুন্ডা নাম্বার ওয়ান’ (২০০০), ‘ঝড়’ (২০০০), ‘কষ্ট’ (২০০০), ‘ওদের ধর’ (২০০২), ‘ইতিহাস’ (২০০২), ‘ভাইয়া’ (২০০২) ইত্যাদি।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা স্বীকৃতি ও সম্মানে তিনি ভূষিত হয়েছেন।
এলএ/বিএ