আবদুল লতিফকে দেখতে সুনামগঞ্জে মিলি
হাছন রাজার গানের জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী মুহাম্মদ আবদুল লতিফ বেশ কয়েক বছর ধরে অসুস্থাবস্থায় দিন যাপন করছেন। বলা যায় জীবনের শেষ দিনগুলো এখন ঘরে বসেই পার করছেন আশি বছর বয়সী এই শিল্পী। কিংবদন্তি এই শিল্পীকে একনজর দেখতে রাজধানী থেকে আবদুল লতিফের সুনামগঞ্জের আরপিন নগরের বাসায় হাজির হয়েছিলেন ফারহানা মিলি।
মিলির সঙ্গে শিল্পী আবদুল লতিফের সম্পর্কটা দাদা-নাতনির। বেশ কয়েক বছর আগে শহীদুল আলম সাচ্চুর পরিচালনায় ‘ভেতরের মানুষ’ টেলিফিল্মে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আবদুল লতিফ ও ফারহানা মিলির মধ্যে দাদা-নাতনির এই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। টেলিফিল্মটির শুটিংয়ের পর আবদুল লতিফ যথারীতি চলে যান হাছন নগর সুনামগঞ্জে। এরপর থেকে দাদা ও নাতনির যোগাযোগ থেকে যায় শুধু মুঠোফোনে। অবশেষে নিজের সব ব্যস্ততা ছুটি দিয়ে মিলি গত শনিবার দুপুরে হাজির হন তার দাদুর কাছে।
আবদুল লতিফ বলেন, মিলিকে আমার নাতনির মতোই দেখে এসেছি সব সময়। আমার প্রতি তার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আবেগ আমাকে সব সময়ই ভীষণ আনন্দ দেয়। তার জন্য আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে অনেক বড় মাপের অভিনেত্রীতে পরিণত করেন।
ফারহানা মিলি বলেন, মনের টানেই ছুটে গিয়েছিলাম দাদুর কাছে। এমন একজন গুণী শিল্পীর সঙ্গে দেখা করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে আমার। জীবনে ব্যস্ততা থাকবেই। কিন্তু এরই মধ্য থেকে সময় বের করে নিজের মনের শান্তির জন্য কিছু করতে হয়।