ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

শিল্পী-নির্মাতাদের আন্দোলনে তথ্যমন্ত্রীর পরামর্শ

প্রকাশিত: ০৯:৪৬ এএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৬

টেলিভিশনে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর স্বার্থ সংরক্ষণে মিডিয়ার ১২টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনের (এফটিপিও) উদ্যোগে প্রেস ইনস্টিটিউটে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এফটিপিও’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনোয়ার পাঠানের নেতৃত্বে সেখানে শিল্পী, নির্মাতা, প্রযোজক, ক্যামেরাম্যানসহ টেলিভিশনের নানা পেশার মানুষদের ১৩টি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডিরেক্টরস গিল্ডের গাজী রাকায়েত, এস এ হক অলিক, নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল, অভিনয় শিল্পী সংঘের সদস্য সচিব আহসান হাবিব নাসিম, অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম, আজিজুল হাকিম, জাহিদ হাসান, মাহফুজ আহমেদ, তৌকির আহমেদ, মাসুদ মহিউদ্দিন, আলী বশির, মোহন খান প্রমুখ।  

সভায় দেশীয় চ্যানেলের বিদ্যমান কিছু সমস্যা সমাধানে দেশীয় শিল্প সংস্কৃতি ও নির্মাতা-শিল্পী এবং কলাকুশলীদের স্বার্থ রক্ষাকল্পে এফটিপিও’র পাঁচ দফা দাবি ও কিছু কর্মসূচি তুলে ধরা হয় মন্ত্রীর সামনে।

এ বিষয়ে গতকালের সভায় নেতৃত্ব দেয়া এফটিপিও’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনোয়ার পাঠান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সভা করেছি। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি বর্তমানে চ্যানেলের নানা সমস্যায় দেশের সংস্কৃতি ও শিল্পী-কলাকুশলীরা কতোটা অসহায় হয়ে পড়েছে। মাননীয় মন্ত্রী আমাদের সব কথা মন দিয়ে শুনছেন। সার্বিক পরিস্থিতির জন্য তিনি শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) বর্তমান মহাপরিচালক হারুন-অর-রশিদকে প্রধান করে একটি কমিটি তৈরি করতে। সেই কমিটির মাধ্যমে কী কী ব্যবস্থা নেয়া উচিত তা উল্লেখ করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ জানাতে। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এদিকে আগামী ৩০ নভেম্বর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিল্পী ও কলাকুশলী সমাবেশ করতে যাচ্ছে এফটিপিও। আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ এবং সদস্য সচিব গাজী রাকায়েত। এ প্রসঙ্গে এফিটিপিও’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনোয়ার পাঠান বললেন, ‘আমরা আগামী ৩০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একটি সমাবেশের ডাক দিয়েছি। সেটি যে দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো এমন কিছু নয়। আমাদের উদ্দেশ্য সবাইকে নিয়ে এক হওয়া। পাশাপাশি এটাও নিশ্চিত হওয়া আমাদের সঙ্গে কে আছেন, আর কে নেই। ওইদিন সবরকম শুটিং বন্ধ রাখা হবে।’

প্রসঙ্গত, পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে দেশের টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনের (এফটিপিও)। সেগুলো হলো দেশের বেসরকারি চ্যানেলে বাংলায় ডাবিংকৃত বিদেশি সিরিয়াল বা অনুষ্ঠান বন্ধ, টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ, ক্রয় ও প্রচারের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট/এজেন্সির হস্তক্ষেপ ব্যতীত চ্যানেলের অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ, দেশের টেলিভিশন শিল্পে বিদেশি শিল্পী ও কলাকুশলীদের অবৈধভাবে কাজ করা বন্ধ, টেলিভিশন শিল্পের সর্বক্ষেত্রে এআইটির ন্যূনতম ও যৌক্তিক হার পুনর্নির্ধারণ ও ডাউন লিঙ্ক চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করা।

এলএ/এমএস

আরও পড়ুন