পুরুষদের নিয়ে কিম কার্দাশিয়ানের ভাবনা
মার্কিন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও মডেল কিম কার্দাশিয়ান। বিভিন্ন সময় তিনি বিভিন্ন শিরোনামে গণমাধ্যমে আলোচনায়ও এসেছেন। কখনও খোলামেলা পোশাক পরে, আবার কখনও ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে নিজেকে উপস্থাপন করে। আজ থাকছে কিম কার্দাশিয়ানের অভিজ্ঞতায় পুরুষদের নিয়ে একান্ত কিছু কথা।
আমার বাবা রবার্ট কার্দাশিয়ান যেমন ছিলেন
তিনি সব সময়েই মেয়েদের আগলে রাখতেন এবং ভালোবাসতেন। তিনি আমাদের স্কুলে নিয়ে যেতেন এবং নিয়ে আসতেন। তিনি আমাদের হোমওয়ার্কেও সহায়তা করতেন। আমার ছোটবেলা খুবই মজার ছিল।
বাবা একজন ডিফেন্স আইনজীবী ছিলেন। তিনি কাজের ক্ষেত্রে কঠোর নীতি মেনে চলতেন। পরিবারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখার শিক্ষা তিনি আমাদের দিয়েছেন।
আমি আমার বাবার দিকে তাকাতাম এরপর মায়ের দিকে তাকাতাম। তাতে বুঝতে পারতাম, বিবাহিত জীবন বলতে এটাই বোঝায়। আমার বাবা খুবই ভদ্রলোক ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি মারা গেছেন। তার পরেও আমার চারপাশে তার অস্তিত্ব অনুভব করি।
প্রথম চুমু সব সময়েই বড় বিষয়
আমি খেলার সময় একটা ছেলে দৌড়ে এসে আমার গালে চুমু খেয়ে পালিয়ে যায়। আমার তখন ১০ বছর বয়স। সেটা মজার ছিল কিন্তু রোমান্টিক ছিল না।
স্কুলে লাজুক ছিলাম
স্কুলের পড়ার সময় আমি চারপাশের ছেলেদের এড়িয়ে চলতাম। সে সময় শুধু মেয়েদের সঙ্গেই ভালোভাবে মিশতে পারতাম। বড় না হওয়া পর্যন্ত আমি তেমন লাজুকই ছিলাম।
জীবনে নারীর প্রভাব অনেকখানি
আমি বোন, মা ও মাতামহের সান্নিধ্যে বড় হয়েছি। আমার জীবনে তাদের প্রভাব অনেক।
জনি ডেপের প্রেমে পড়েছিলাম
আমি যখন টিনএজ বয়সের ছিলাম, তখন অভিনেতা জনি ডেপকে খুবই ভালো লাগতো। আমার দৃষ্টিতে তিনি খুবই আকর্ষণীয় অসাধারণ ব্যক্তি ছিলেন।
পুরুষের প্রতি সব সময়েই আকর্ষণ
আম পুরুষের প্রতি সব সময়েই আকর্ষণ বোধ করতাম। বিশেষ করে যেসব পুরুষ কাজের ক্ষেত্রে নীতিবান ও উচ্চাভিলাষী, তাদের আমি পছন্দ করতাম। যেখানে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, সেখানেই সম্পর্ক গড়তে আশাবাদী ছিলাম।
হাই স্কুলে পড়ার সময়
আমি যখন হাই স্কুলে পড়তাম তখন সব সময়েই একজন বয়ফ্রেন্ড ছিল। আমি কারো সঙ্গে আমার পৃথিবী শেয়ার করতে চাইতাম। অবশ্য ডেটিংয়ে আগ্রহী ছিলাম না।
টিনএজ বয়সে কখনোই ডায়েরি লিখিনি
আমি বোনদের কাছে ছেলেদের নিয়ে গল্প করতাম। এটা কলেজ জীবনের সাধারণ ঘটনা। কিন্তু ডায়েরি লেখা হয়নি কখনোই।
যখন কোনো পুরুষের সঙ্গে দেখা হয়
আপনি তার উপস্থিতির জানান পাবেন। তার গন্ধ আপনার নাকে এসে লাগবে। কোনো পুরুষের সঙ্গে ডেটিং করতে গেলে এ বিষয়গুলো আপনার মনে স্থান করে নেবে।
আমি যার ভক্ত
ফ্যাশন ডিজাইনার রিকার্ডো তিসকির ভক্ত আমি। আমি ও স্বামী কেনি ওয়েস্ট একত্রে তার সঙ্গে দেখা করি। আমরা বহু পুরনো বন্ধু। তিনি আমার বিয়ের গাউনও ডিজাইন করেছেন।
সব পুরুষেরই আমার স্বামী কেনি ওয়েস্টের মতো হওয়া উচিত
সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি নিজেকে উজাড় করে দেন। তিনি যেমন সম্মান কনে তেমন বোঝেনও বটে। আর তাই সব পুরুষেরই আমার স্বামী কেনি ওয়েস্টের মতো হওয়া উচিত। তিনি আমার চোখে সবচেয়ে নিখুঁত পুরুষ আর সত্যিই একজন ভালো মানুষ।
আরআই