পঞ্চাশ পেরিয়ে বলিউড বাদশা
বক্স অফিসে ঝড় তোলা রোমান্টিক হিরো তিনি। তাই বলিউডে তাকে বলা হয় রোমান্স কিং। তার ছবি মানেই বক্স অফিসে তোলপাড়। তাই তিনি বনে গেছেন বলিউড বাদশা। উপমহাদেশের নন্দিত এই অভিনেতা হলেন শাহরুখ খান।
আজ বুধবার (২ নভেম্বর) তিনি ৫১ বছরে পা দিলেন। ১৯৬৫ সালের ২ নভেম্বর জন্ম নেন শাহরুখ খান। তার মন্ত্রমুগ্ধ হাসি ও রোমান্টিক ইমেজ দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে বারবার।
চলচ্চিত্র জগতে তিনি এসআরকে, ‘দ্য কিং অব বলিউড’,‘বাদশা’ ও ‘কিং অব রোমান্স’ নামে পরিচিত। রোমান্টিক ও অ্যাকশন হিরোর ভূমিকায় ৭৫টিরও বেশি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার ঝুলিতেই পড়েছে সবচেয়ে বেশি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড এর পুরস্কার। তিনি বলিউডের দেবদাস হিসেবেও পরিচিত হয়ে থাকেন।
এ পর্যন্ত ১৪টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন শাহরুখ। এছাড়া ২০০৫ সালে ভারত সরকার তাকে ‘পদ্মশ্রী’ খেতাবে ভূষিত করেছে। স্ত্রী গৌরি খান, দুই ছেলে আরিয়ান, আব্রাম ও মেয়ে সুহানাকে নিয়ে তার সুখের সংসার।
কিং খানের নামের প্রথম অংশ ‘শাহরুখ’ এর অর্থ ‘বাদশার মুখ’। ছোটবেলায় শাহরুখ হিন্দিতে খুব একটা ভালো ছিলেন না। বলিউডের সুপারস্টার হওয়ার আগে শাহরুখ নয়াদিল্লির দরিয়াগঞ্জে একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা খুলেছিলেন।
শাহরুখ ভালো সাঁতারু নন। তাই লোকজনের সামনে সাঁতার করতে লজ্জা পান। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, আইসক্রিম শাহরুখের একদমই পছন্দ নয়। শাহরুখ ঘোড়ার পিঠে চড়তে খুব ভয় পান। তবুও করণ-অর্জুন ও বাজিগর ছবিতে ঘোড়ার দৃশ্যে বেশ সাবলীলই ছিলেন কিং খান।
শাহরুখের জীবনের প্রথম আয় ছিল ৫০ রুপি। নয়াদিল্লিতে পঙ্কজ উদাসের কনসার্টে প্রবেশক হিসেবে কাজ করে এ উপার্জন করেন তিনি। মাত্র ৫০ রুপি নিয়ে মুম্বাই শহরে পা রাখা ছেলেটিই একদিন বাদশা হয়ে উঠবেন বোম্বের রূপালী পর্দার এই ইন্ডাস্ট্রির সেটা কেই বা জানতো।
বেশ কিছুদিন কাজ করেছেন সার্কাসের জোকার হিসেবে। এক সময় নাম লেখান টিভি সিরিয়ালে। হঠাৎ একটি অনুষ্ঠানে তিনি নজর কাড়েন বলিউডের ড্রিম গার্ল খ্যাত হেমা মালিনির। অবশেষে তার হাত ধরেই বলিউডে যাত্রা করেন শাহরুখ। দীর্ঘদিনের পথ পাড়ি দিয়ে আজ তিনি অনবদ্য এক অভিনেতায় পরিণত হয়েছেন।
শাহরুখ ক্যারিয়ারজুড়ে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে তিনি আজীবন হিন্দি সিনেমায় অমরত্ব নিয়ে থাকবেন ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘করণ-অর্জুন’, ‘স্বদেশ’, ‘দেবদাস’, ‘ফ্যান’ ছবিগুলোর জন্য। পাশাপাশি ‘চলতে চলতে’, ‘ডন’, ‘কয়লা’ ইত্যাদি ছবিগুলোর জন্যও তিনি সমাদৃত হবেন ভক্তদের হৃদয়ে চিরদিন।
চলতি বছর তার ‘ফ্যান’ ছবিটি দর্শকদের আবারো মুগ্ধ করেছে। প্রশংসা পেয়েছে সমালোচক মহলেও। আর এই মুহূর্তে মুক্তির অপেক্ষায় ‘ডিয়ার জিন্দেগী’ ও ‘রইস’ নামে তার দুটি ছবি।
আরএএইচ/এলএ/এবিএস