আয়নাবাজি পাইরেসির মূল হোতাসহ শনাক্ত ১৮টি সার্ভার
‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের পাইরেসির মূল হোতাকে শনাক্ত করা হয়েছে। পাইরেসি করা ছবিটির ভিডিও প্রচারকারী ১৮টি এফটিভি সার্ভার ও ২৫টি ফেসবুক আইডিও শনাক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের ‘সাইবার ক্রাইম ইউনিট’-এ তথ্য জানিয়েছে বৃহস্পতিবার দুপুরে।
কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের ‘সাইবার ক্রাইম ইউনিট’ একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আয়নাবাজি চলচ্চিত্র কর্তৃপক্ষের অভিযোগ- মোবাইল অপারেটর রবি’র দুর্বলতায় মূলত ছবিটি পাইরেসির শিকার হয়। তাদের অভিযোগ অমূলক নয়। রবিতে কর্মরত এক বা একাধিক ব্যক্তি এই চলচ্চিত্রটির পাইরেসিতে জড়িত বলে জানায় সূত্রটি।
‘সাইবার ক্রাইম ইউনিট’র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আয়নাবাজি সিনেমার পাইরেসির মূল হোতাকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার অবস্থান সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তদন্ত ও গ্রেফতারের স্বার্থে তার নাম-পরিচয় এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না।’ তবে তিনি রবি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত কিনা- সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানাতে রাজি হননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘পাইরেসি করা আয়নাবাজির ভিডিও ১৮টি এফটিভি সার্ভার থেকে দেখানো হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তিনটি সার্ভারে দেখানো হয়েছে। দেশের বাইরের সার্ভার বাকি ১৫টি। দেশের এফটিভি সার্ভারগুলো রাজধানীর উত্তরা, খিলক্ষেত ও নিকুঞ্জ এলাকার। এর মধ্যে বাড্ডার ‘বাড্ডা নেট জোন’ নামে একটি ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান টেকনিক্যাল কর্মকর্তা আতিকুর রহমান অভিকে বাড্ডা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, বাড্ডা নেট জোনের নিজস্ব দুই হাজার গ্রাহক রয়েছে। নিজস্ব ডোমেইন থেকে এফটিভি সার্ভার ব্যবহার করে তারা গ্রাহকদের বিভিন্ন সিনেমা ডাউনলোড করার সুযোগ দিয়েছে। সেখানেই কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে আয়নাবাজির পাইরেসি করা ভিডিও আপলোড করা হয়। এরপর ডাউনলোড করা ভিডিও গ্রাহকরা ফেসবুকে আপলোড করেছেন। এমন ২২/২৫টি ফেসবুক আইডিকেও ‘ব্ল্যাক’ লিস্ট করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, জনপ্রিয়তা পাওয়া এই সিনেমার পাইরেসির মূল হোতাকে আমরা শনাক্ত করেছি। শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এছাড়া আপলোড করা ফেসবুকে লাইভ ভিডিও প্রচারকারীদেরও সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন ইউনিট। যারাই পাইরেসি করবে কিংবা কপিরাইট আইন ভঙ্গ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
জেইউ/এলএ/আরআইপি