আয়নাবাজি নিয়ে জাজের প্রশংসায় অমিতাভ রেজা
দেশের শীর্ষ চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রশংসা করলেন আলোচিত নির্মাতা অমিতাভ রেজা। গতকাল রেবাবার (১৬ অক্টোবর) জাজের অফিসিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক ফ্যান পেজে ‘আয়নাবাজি’ ছবির প্রশংসা করে একটি স্ট্যাটাস দেয়।
সেখানে তারা বলে, আয়নাবাজি খুবই চমৎকার একটি চলচ্চিত্র। সবাই ছবিটি হলে গিয়ে দেখছেন বলে দর্শকদের অভিনন্দন জানায় জাজ। সেই সঙ্গে দাবি করে, ‘আয়নাবাজি’র সফলতার পেছনে জাজ মাল্টিমিডিয়ারও অবদান আছে। ছবির পাইরেসি ঠেকাতে জাজ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই অধিকাংশ সিনেমা হল মনিটরিং করে আসছে। এজন্যই ‘আয়নাবাজি’ পাইরেট হতে পারেনি।
জাজের দেয়া সেই স্ট্যাটাসে প্রশংসা সূচক মন্তব্য করেন নির্মাতা অমিতাভ। স্ট্যাটাসে জাজের পক্ষ থেকে বলা হয়, পাইরেসি ঠেকাতে জাজ তাদের সার্ভারে আয়নাবাজি ছবিটি জমা দেয়ার কথা বলেন। নির্মাতা অমিতাভ ও ছবির প্রযোজক গাউসুল আজম শাওন জাজের সেই কথা রাখেন। এখন পর্যন্ত আয়নাবাজি জাজের সার্ভারের বাইরে কোথাও মুক্তি পায়নি। ফলে ছবিটি এখন পর্যন্ত পাইরেসির কবলে পড়েনি এবং আগামীতেও পড়ার সম্ভাবনাও নেই। যতদিন আয়নাবাজি জাজের সার্ভারের অধীনে থাকবে, ততদিন পাইরেসি হবে না।
জাজের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নির্মাতা অমিতাভ। তিনি নিজের মন্তব্যে বলেন, ‘ভালোবাসা রইলো। জাজ বাংলাদেশের একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রদর্শনী সংস্থা। জাজের প্রজেক্টর ছাড়া পাইরেসি রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়তো।
নির্মাতা অমিতাভের মন্তব্যের নিচে অনেক মন্তব্য দেখা যায়। সেখানে একজনের মন্তব্যের জবাবে অমিতাভ বলেন, ‘একটি চলচ্চিত্রের জন্য ভালো প্রদর্শনী ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রসঙ্গত, গেল ৩০ সেপ্টেম্বর সারাদেশে মুক্তি পেয়েছে ‘আয়নাবাজি’। বর্তমানে মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহেও সারাদেশে ৪৪ হলে দাপটের সঙ্গে চলছে ছবিটি। আর ঢাকার সিনেপ্লেক্সগুলোতে ছবিটির সাফল্য রীতিমত ঢাকাই ছবির ইতিহাসে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে।
‘আয়নাবাজি’র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন চঞ্চল চৌধুরী, নাবিলা, জর্জ, পার্থ বড়ুয়া, গাওসুল আলম শাওন, জামিল প্রমুখ।
এনই/এলএ/পিআর