ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

দশভূজা অর্ষা

প্রকাশিত: ০৭:২৬ এএম, ১০ অক্টোবর ২০১৬

লাক্স তারকা নাজিয়া হক অর্ষা। নিয়মিতই কাজ করছেন নাটক-টেলিফিল্মে। মাঝেমাঝে তাকে দেখা যায় নানামাত্রিক মডেলিংয়েও। বৈচিত্রময় চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আলাদা করে নিজের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছেন এই অভিনেত্রী।

সম্প্রতি শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কাজ করেছেন আরো একটি ব্যতিক্রমী চরিত্রে। এখানে তাকে দেখা যাবে ‘দশভূজা’ চরিত্রে। দশ হাত যার তাকেই বলা হয় দশভূজা। এখানে অর্ষার চরিত্রের নামও দুর্গা। হিন্দু ধর্মমতে এই দেবীর দশটি হাত রয়েছে।

নাটকটি এটিএন বাংলায় আগামীকাল মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দূর্গাপূজার মহাদশমীর রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হবে।

শৌর্য দীপ্ত সূর্যের রচনায় নাটকটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন শৌর্য দীপ্ত সূর্য ও সোলে রানা। নাটকটিতে অর্ষার পাশাপাশি আরো অভিনয় করেছেন সাব্বির আহমেদ, নরেশ ভুইয়া, বড়দা মিঠু, জেরি, তালিম, সুহৃদ জাহাঙ্গীর, আমিনুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।

নাটকের গল্প সম্পর্কে পরিচালকদ্বয় বলেন, বৈকুন্ঠপুর গ্রামের হরিদাস পাল। আশে পাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মধ্যে তারাই একমাত্র কুমার পরিবার। পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত জমিতে সে প্রতিমা বানায়। সেখানে একটি মন্দিরও আছে। প্রতিমা বানিয়েই তার সংসার চলে।

হরিদাস পালের স্ত্রী অনেক আগেই মারা গেছে। একমাত্র মেয়ে দূর্গাকে নিয়েই হরিদাশের সংসার। কালের বিবর্তনে হরিদাশ পালের সম্পত্তির মুল্যবৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। এই জমির উপর কু-নজর পরে গ্রামের অর্থ প্রতিপত্তি ও প্রভাবশালী ব্যক্তি জনার্দন শিকদারের। তার একটি মাস্তান বাহিনী আছে যাদের কারণে বৈকুন্ঠপুরের মানুষজন অতিষ্ট। কিছুদিন আগে তারা কালীদাস রায়কে ভিটামাটি ছাড়া করে। কালীদাস রায়ের ছেলে রজত রায় আবার দূর্গাকে ভালবাসে। তারই টানে রজত রায় গ্রামে ফিরে আসে।

এদিকে জনার্দন শিকদার হরিদাস পালের জমিজমা দখল করার পাঁয়তারা হিসেবে একটি জাল দলিল তৈরি করে। সে হরিদাস পালকে আসন্ন পূজার আগেই জমিজমা ছেড়ে চলে যাবার নির্দেশ দেয়। একই সাথে তার দুর্গার দিকেও নজর পরে। সে দুর্গাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তুু হরিদাশ পাল কিছুতেই ওই দুশ্চরিত্র লম্পট জনার্দন শিকদারের হাতে তার মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয় না।

দুর্গাপূজার ৭ দিন আগে গ্রামের সেই মন্দিরে গ্রামের লোকজন মহালয়া অনুষ্ঠান শুনতে আসে। সেই অনুষ্ঠানেই হারিদাশ পাল তার উপর এবং গ্রামবাসীর উপর অত্যাচরের বর্ণনা করেন। মহালয়া অনুষ্ঠানের পর গ্রামের লোকদের বোধোদয় হয়। তারা সন্মিলিতভাবে অসুর সম জনার্দন শিকদারকে প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এভাবেই এগিয়ে চলে কাহিনি। সবাই প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। দুর্গাও একটা বড় দা হাতে এগিয়ে চলে। তার সেই মূর্তি যেন দেবী দুর্গার আগুন মূর্তির মতোই। যার হাতেই বিনাশ হবে সকল অন্যায়, অত্যাচার আর অমঙ্গলের।

এলএ/এবিএস

আরও পড়ুন