শুভ জন্মদিন আওলাদ ভাই
মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন। সবার প্রিয় আওলাদ ভাই। বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয়, পূজনীয়। দীর্ঘদিন তিনি এদেশীয় চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় শক্ত হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন বিনোদনের সঙ্গে।
আজ শুক্রবার, ১৯ আগস্ট নন্দিত এই সাংবাদিকের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে এবার তিনি ৫০ বছরে পা দিতেন। জাগো নিউজের পক্ষ থেকে অকাল প্রয়াত মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনের জন্মদিনে রইলো শ্রদ্ধাঞ্জলি।
মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ১৯৬৬ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকার ইসলামপুরের নিজ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মৃত মোবারক হোসেন ও মা লুৎফুন্নেসার পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি চতুর্থ।
হাম্মাদিয়া হাইস্কুলের মানবিক বিভাগ থেকে ১৯৮২ সালে এসএসসি, ১৯৮৪ সালে শেখ বোরহান উদ্দীন কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি এবং জগন্নাথ কলেজ থেকে অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৮৭ সালে অনার্স ও ১৯৯০ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।
প্রবীণ এই সাংবাদিক ১৯৮৭ সালে ‘দৈনিক খবর’ এর ম্যাগাজিন ‘সাপ্তাহিক ছায়াছন্দ’তে সহ-সম্পাদক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ ১৫ বছরের কর্মজীবন ছেড়ে ২০০৪ সাল থেকে আমৃত্যু ‘দৈনিক মানবজমিন’ পত্রিকায় সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পাশাপাশি তিনি দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক দিনকাল, দৈনিক যুগান্তর, সাপ্তাহিক চিত্রবাংলা, সাপ্তাহিক মনোরমা, সাপ্তাহিক বর্তমান দিনকাল, সাপ্তাহিক চিত্রালী, পাক্ষিক প্রিয়জন, পাক্ষিক বিনোদন বিচিত্রা, চ্যানেল আইয়ের পাক্ষিক আনন্দ আলো, পাক্ষিক আনন্দ ভুবন পত্রিকায় নিয়মিত আমন্ত্রিত লেখক হিসেবে চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি বিষয়ক কলাম ও প্রতিবেদন লিখতেন।
সাংবাদিক হিসেবে তিনি দেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রতিবেদকদের অধিকার আদায় ও চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিজেকে বিভিন্ন আন্দোলনে সম্পৃক্ত করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ২০০২-২০০৩ কার্যবর্ষে ‘ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক’ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফিল্ম জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ১৯৯২ সালের ৯ জানুয়ারি মৌসুমী হোসেনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির মো. শাহবাজ হোসেন মুন ও অপরাজিতা হোসেন মীম নামে দুই সন্তান রয়েছে। ছেলে ও মেয়ে দুজনেই বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে পড়ছেন।
আওলাদ হোসেন দেশের চলচ্চিত্রের অনেক ইতিহাস ও ঘটনার সাক্ষী। স্বভাবতই তিনি প্রজন্মের বিনোদন সাংবাদিকদের কাছে বটবৃক্ষের মতো, প্রতিষ্ঠানের মতো। মিষ্টভাষী ও মিশুক স্বভাবের এই সাংবাদিক সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে গেল বছরের ২ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।
চোখের দেখায় আওলাদ হোসেন না থাকলেও তিনি বেঁঁচে আছেন তরুণ সাংবাদিকদের আদর্শ হয়ে। তিনি এভাবেই বেঁচে থাকবেন প্রজন্মের হাত ধরে আগামীর অনেক প্রজন্মে।
এলএ/বিএ