টিভি নাটক রক্ষায় মাহফুজের পাশে তারা
বিজ্ঞাপন বিড়ম্বনা, নাটকের ভেতরে পণ্যের প্রচারণা, যুক্তিহীন গল্পের মানহীন নির্মাণ, অপরিপক্ত অভিনয়, অপরিণত নির্মাতাদের আধিক্য, শিল্পীদের আচরণগত সমস্যা, কাজের প্রতি সকলের শ্রদ্ধাবোধের অভাব, অযোগ্য ব্যক্তিদেরকে যোগ্য স্থানে বসানো, টিভি চ্যানেলগুলোর কর্তাব্যক্তিদের অনভিজ্ঞতা, দর্শকদের বিদেশি চ্যানেলপ্রীতি ইত্যাদি সমস্যা থেকে দিন দিন মন্দাবস্থার দিকে হাঁটছে টিভি নাটক।
পাশাপাশি অধিক বাণিজ্যের আশায় এক ঘণ্টার নাটক বাদ দিয়ে জোর করে টেনে কাহিনি লম্বা করে ধারাবাহিক নির্মাণ, জনপ্রিয় তারকাদের অপব্যবহার করে সিক্যুয়েলের নামে ভাঁড়ামোও দর্শকদের বিরক্ত করে বিনোদনের জনপ্রিয় উপাদান নাটকের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যতে নিয়ে এসেছে। দর্শকদের অভিযোগ ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের প্রেক্ষাপটে শিল্পী, নির্মাতাদের কাছ থেকে প্রায় সময়ই শোনা গেছে নানা রকম পরিকল্পনা ও পরামর্শের কথা। কিন্তু সেগুলো কেবল বন্দী ছিলো মনের ভাব প্রকাশেই। হাতে কলমে চেষ্টা বলতে বলা চলে কিছুই ছিলো না।
অবশেষে এ ভাবনায় এগিয়ে এলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা মাহফুজ আহমেদ। বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী এক ঘণ্টার নাটক বাঁচাতে সম্প্রতি তিনি ‘ভালোবাসার প্রহর’ শিরোনামের এক আয়োজন নিয়ে কোমর বেঁধে নেমেছেন। এই আয়োজনের মাধ্যমে বেসরকারি চ্যানেল আরটিভিতে প্রতি শুক্রবার বিরতিহীন নাটক প্রচার হবে মাহফুজ আহমেদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘বানীচিত্র’র ব্যানারে। স্পন্সর হিসেবে আয়োজনটির সঙ্গী হয়েছে জুঁই, ক্রাউন সিমেন্ট ও অ্যালপেনলিভে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে ও আয়োজনটির শুভ যাত্রা ঘোষণা করতে গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বর্ণিল এক আয়োজন করেছিলেন অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ। সেখানে তার নিমন্ত্রণে হাজির হয়েছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ বিভিন্ন নির্মাতা ও অভিনয় শিল্পী। ছিলেন আরটিভি ও স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাবৃন্দ।
তাদের মধ্যে নাটক রক্ষায় অভিনব এবং সময়োপযুগী উদ্যোগ গ্রহণ করায় মাহফুজকে অভিনন্দন জানাতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও নির্মাতা হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়া তারিক আনাম খান, জাহিদ হাসান, তৌকির আহমেদ, ডিরেক্টর’স গিল্ডের নবনির্বাচিত সভাপতি গাজী রাকায়েত, সাধারন সম্পাদক এস এ হক অলিক, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান, ক্রাউন সিমেন্ট গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান মোল্লা।
আরো ছিলেন অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ, তিশা, হৃদি হক, নাঈম, নাদিয়া, মিশু সাব্বির, মাজনুন মিজান, নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ, মাবরুর রশিদ বান্নাহ, ইমরাউল রাফাত, নাট্যকার পান্থ শাহরিয়ার, প্রযোজক আলী বশির ও শামীমা শাম্মী দম্পতি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিথিরা। তারা নাটকের বর্তমান অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে এর উত্তরণে নানা পরামর্শ দেন। এবং মাহফুজ আহমেদকে উদ্যোগ গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানান। মাহফুজের উপস্থাপনায় অনুষ্টানের প্রথম বক্তা হিসেবে তৌকীর বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এখনো দর্শক নাটক দেখতে ভালোবাসেন। গেল ঈদেই বেশ কিছু নাটকের প্রশংসা শুনেছি। তাই এখনো সময় আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। নির্মাতা, প্রযোজক, কলাকুশলী এবং টিভি চ্যানেলকে এক প্লাটফর্মে এসে এজন্য চেষ্টা করতে হবে। নাটক না বাঁচলে বিনোদন চ্যানেলগুলোর ব্যবসা থাকবে না। আর ব্যবসা না থাকলে তাদের টিকে থাকাও অসম্ভব। আমাদের নাটকের যে ঐতিহ্য আর সুনাম ছিলো সেটাকে ধরে রাখতেই হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নাটক বাঁচাতে এর আগে এলোমেলো অনেক কথা হয়েছে। এবার সময় হয়েছে গুছিয়ে কিছু করার। অন্তত মাহফুজ আমাদের সেই তাগিদটা দিয়েছে। তাই আমি মনে করি চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কিছু নীতিমালা দরকার। এটা নাটক ও এই পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য, পুরো শিল্পটিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য। এখনই সবাইকে নিয়ে বসতে হবে। বিভিন্ন দেশের টিভি নীতিমালাগুলো অনুসরণ করে আমাদের উপযোগী নীতিমালা তৈরি করতে হবে।’
পরের বক্তা হিসেব তারিক আনাম খান বলেন, ‘আমার কিছু কথা আছে। সব বলা যাবে না। অনেকেই কষ্ট পাবেন, মন খারাপ করবেন। এই বয়সে আর কারো বিরাগভাজন হতে চাই না। তবে কিছু কথা যা না বললেই নয় তাই বলছি বিনয়ের সঙ্গে। আমাদের টিভিতে বিনোদন বলুন আর যাই বলুন সবই বিজ্ঞাপন। নাটকের আগে বিজ্ঞাপন, মাঝে বিজ্ঞাপন। এমনকি আজকাল নাটকের গল্পেও বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে। কোথায় যাচ্ছি আমরা? এই দোষ চ্যানেলের বটে। তবে একার নয়। নাটক নির্মাণের এজেন্সিগুলো এই সমস্যার তৈরি করছে। চ্যানেলকে তো সার্ভার ভাড়া দিতে হবে, অফিস চালাতে হবে। তাই চ্যানেলের মার্কেটিং বিভাগ ঠিক করছে কোন নাটক যাবে আর কোন নাটক যাবে না। বিজ্ঞাপনদাতাদেরকেও ভাবতে হবে, দর্শক কি বিরক্ত হন, নাকি তারা বিজ্ঞাপনটা দেখেন? এভাবে পরিকল্পনা ছাড়া চলতে থাকেলে আমাদের বাজার বিদেশি চ্যানেলগুলো দখল করতে থাকবে, আমাদের তখন দেখা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। কারণ আপনি কখনোই দর্শককে দোষ দিতে পারবেন না। তারা সেটাই দেখবে যেটা ভালো এবং বিনোদনের। আপনাকেও তাই সেই চাহিদা অনুযায়ী ভাবতে হবে।’
জাহিদ হাসান বলেন, ‘আছি বড় যন্ত্রণায়। সবদিক থেকেই সমস্যায় আমাদের নাটক। এটা যে শিল্প ছিলো ভুলেই গেছি। একসময় আমরা, আমি, তারিক ভাই, তৌকীর, মাহফুজ কতো চমৎকার সব গল্পে দারুণ দারুণ চরিত্রে কাজ করতাম। নিজেরই মুগ্ধ হয়ে যেতাম কাজ করতে গিয়ে। কোথায় সেইসব গল্প, নাটক। যা কাজ করছি তাতে তো নিজেরই ভক্তি আসে না, দর্শককে দায়ী করি কী করে। তার উপর বিজ্ঞাপনের যন্ত্রণা তো রয়েইছে। পাশাপাশি চ্যানেলগুলোও বেশ দায়ী। তারা জনপ্রিয়তা মাপছেন ইউটিউব দিয়ে। শিল্পের ধারেকাছেও যাবার ইচ্ছে বা মানসিকতা নেই। ঈদ এলে আমাকে অনেক চ্যানেল বলে জাহিদ ভাই অমুক ভাইয়ের (আরমান ভাই) মতো আরেকটা কিছু বানান না! অমুক নাটকের একটা সিক্যুয়েল করেন না। কিন্তু একটার মতো তো আরেকটা হয় না রে ভাই। আমি তো অভিনেতা হতে চাই। নতুন নতুন চরিত্রে কাজ করতে চাই। আবার সিরিয়ালের সময় চ্যানেল বলে দেয়- একে নেন, ওকে নেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে শিডিউল মিলে না। ফোন পর্যন্ত ধরে না অনেকে! কিছু নতুন ছেলেমেয়ে আছে একদিন না যেতেই বলে দেয়- ভাইয়া আমি এতো ছাড়া নেই না! অথচ অভিনয়টাই ঠিকঠাক করতে পারছে না। স্ক্রিপ্ট পাঠালে সেটে স্ক্রিপ্ট নিয়ে আসে না। কন্টিনিটি ভুলে আসে। অভিনয় এখন টাকা কামানোর মেশিন। এটা আমাদের তরফ থেকে সমস্যা। এভাবে নাটক এগোবে কী করে? এখন চ্যানেলের প্রোগ্রাম বিভাগের চেয়ে বেশি কথা বলতে হয় মার্কেটিং এজেন্সির সঙ্গে। কিন্তু তারা নাটক কী বুঝবেন? কোনটাতে কোন অভিনেতাকে দরকার তিনি কীভাবে বুঝবেন? এজন্য মান পড়ে গেছে, দর্শকও বিদেশমুখী হয়েছে।’
জাহিদ মজা করে উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমার বাসার গৃহকর্মী ভারতের সব সিরিয়ালের সময়সূচি মুখস্ত করে রেখেছে। অথচ আমার নাটক কবে যায় তা সে জানে না! এটা আমার জন্য লজ্জার এবং পুরো নাট্যাঙ্গনের জন্য হতাশাল। শুধু তাই নয়, এখানে সবকিছুতেই অনিয়ম। প্রতিযোগিতার নামে সাবান সুন্দরীদের খুঁজে এনে তৈরি করছি আমরা। দিনের পর দিন তাদের গ্রুমিং করছি। অথচ ওই সাবানের বিজ্ঞাপনে দর্শক দেখছে বলিউড সুন্দরীদের! তাহলে লাভ কী হলো এই মেয়েগুলোকে সুন্দরী বানিয়ে? এই যে অসমন্বয় বা অপরিকল্পিত প্রতিযোগীতা সেটা কেন? আমি কানাডায় দেখেছি, দেশটির চ্যানেলগুলো যখন দেখল এজেন্সিগুলো দেশের মডেল বাদ দিয়ে হলিউডের মডেল দিয়ে বিজ্ঞাপন বানিয়ে চালাচ্ছে তখন তারা ওইসব বিজ্ঞাপনের উপর ৭৫ ভাগ ট্যাক্স বাড়িয়ে দিলো। আস্তে আস্তে কিন্তু বিদেশিদের আগ্রাসন কমে গেছে।’
জাহিদ হাসান তার বক্তব্যে অনিয়ম নিয়ে বলেন, ‘অনিয়মে ভরে গেছে সব। কেউ শিখছে না তবু তারকা হচ্ছে। নির্মাতা সেটে গিয়ে ফোনে ব্যস্ত থেকে তারকা নির্মাতা খ্যাতি পাচ্ছে। আসলে এভাবে হবে না। মাহফুজের মতো সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ও সাহসী মানুষ। আমি জানি ও আরো অনেক কিছুই পারবে। আমরা ওর সঙ্গে আছি। জানি কিছু বাঁধা বিপত্তি আসবে। তবু সম্ভব করে এগুতে হবে। এই দেশে কি না সম্ভব। এবারের ডিরেক্টর’স গিল্ডের নির্বাচনে একজন নারী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে এসেই আমি জানলাম। তার সঙ্গে পরিচিত হলাম। তাকে অভিনন্দিত করলাম। কিন্তু অবাক হলাম এই জেনে যে উনি নির্বাচনের দিন কেন্দ্রেই যাননি। নিজেই নিজেকে ভোট দেননি। তবুও তিনি নির্বাচিত হয়েছেন!’
সমন্বিত আন্দোলনের কথা বলে ডিরেক্টর’স গিল্ডের সভাপতি গাজী রাকায়েত বলেন, ‘মান যদি ঠিক থাকে, কনটেন্ট ভালো হলে দর্শক বাইরে যেতে পারবে না। তখন দর্শক নাটকও দেখবে, বিজ্ঞাপনও দেখবে। কিন্তু মানহীন জিনিস দেখিয়ে আপনি কিছুতেই লাভবান হতে পারবে না। সব পাখি ঘরে ফেরে। ফিরে আসতে হয়। আমাদের দর্শকরাও বিভিন্ন চ্যানেল ঘুরে নিজেদের সংস্কৃতিতে এসে ঘুমাতে চায়। কিন্তু তাকে আমরা ঘরে ফিরতে দেই না। দর্শক যখন ঘরে ফিরতে চায় তখন বিজ্ঞাপনের অত্যাচার, টক শো ও চ্যানেলগুলোর অপরিকল্পিত অনুষ্ঠানের কারণে আর ঘরে ফিরতে পারে না। তখন তারা অপসংস্কৃতি নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে। গত ৮-১০ বছর ধরে এভাবে আমাদের দর্শকরা বেরিয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নাটক আর নাটক নেই। বাণিজ্যের মোড়কে একেবারে যা তাই হয়ে গেছে। যিনি বানাচ্ছেন তারও কোনো দক্ষতা নেই, যা বানাচ্ছেন তারও কোনো টেস্ট পাওয়া যায় না। মনগড়া কাজ হচ্ছে। গল্পেও নেই হৃদয়ের টান। করতে হবে তাই নাটক করা। এখানে কোনো জবাবদিহিতা নেই বলেই এমনটি হচ্ছে। আমাদের নাটকে কোনো চুক্তিপত্র হয় না। কোনো কমিটমেন্ট থাকে না। তাই কেউ কারো কাছে দায়বদ্ধ নন। ইচ্ছে মতো সেটে যাচ্ছেন, নির্মাতাও নিজে সেটে বসে ফোনে ব্যস্ত থেকে সহকারী দিয়ে নাটক বানাচ্ছেন। টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক মানহীন করার জন্য দায়ী। তারা নির্মাতাকে গল্প তৈরি করে দিচ্ছেন, শিল্পী নির্বাচন করে দিচ্ছেন। সবটাই হচ্ছে তাই ফরমায়েশি। শিল্প আর শিল্পে থাকছে না। দর্শক অশিল্প কেন দেখবে? তাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আমি মাহফুজকে অভিনন্দন জানাই। সে দারুণ একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাকে দেখে আমি এবং আমরা অনেকেই নতুন করে ভাবনার সাহস পেয়েছি। নাটক রক্ষায় কার্যকরী হোক মাহফুজের ‘ভালোবাসার প্রহর’।
ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এসএ হক অলিক তাদের সংগঠনের সদস্য নন এমন কারও নাটক প্রচার না করার জন্য টিভি চ্যানেলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সকলকে একটি সংগঠনের ভেতরে থেকে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সব সমস্যা শুনে সবশেষে আরটিভির সিইও আশিকুর রহমান বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা সমস্যার ভেতরে হারিয়ে যাচ্ছি। সেই হারিয়ে যাওয়ার স্রোতে একটু আশার আলোই বলা যেতে পারে ‘ভালোবাসার প্রহর’কে। মাহফুজ আহমেদকে ধন্যবাদ এই আয়োজনে তিনি আমাদের সঙ্গী করেছেন। তবে একটা কথা বলা জরুরি, চ্যানেল বা বিজ্ঞাপন এজেন্সিগুলোকে শতভাগ দায়ী না করে সকলেকে সমন্বিতভাবে চেষ্টা করতে হবে সমস্যা সমাধানে। আমরা হয়তো একীভূত হতে পারছি না বা সমন্বিতভাবে শিল্প, নাটক, কলাকুশলীদের জন্য জরুরি কথাগুলো বলতে পারছি না। আমাদের আসলে একসঙ্গে কাজগুলো হওয়া জরুরি। আমরা অনেক অসম প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে চলছি। সমস্যাগুলো শনাক্ত করতে সংগঠনগুলোকে কাজ করতে হবে। বিজ্ঞাপনদাতারা মনে করেন টানা পাঁচ মিনিট বিজ্ঞাপন দিলে দর্শকরা সব দেখছে, কিন্তু তারা যে বিজ্ঞাপন আসার পরপরই অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে সেটা তারা খেয়ালই করেন না। এটা তাদেরকে আমরা ধীরে ধীরে বোঝাচ্ছি।’
মাহফুজ আহমেদ জানান, ‘ভালোবাসার প্রহর’র অংশ হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাত ১১টা ২০ মিনিটে বিজ্ঞাপন বিরতি ছাড়াই প্রচার হবে ‘অভিনেতার অভিনয়’। এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, জাহিদ হাসান, মৌসুমী হামিদ।
আগামী ৫ আগস্ট প্রচার হবে ‘বোকা বাক্স’ (আনিসুর রহমান মিলন, তিশা)। দুটি নাটকই পরিচালনা করেছেন আবু হায়াত মাহমুদ।
এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রতি শুক্রবারের জন্যই একটি করে এক ঘণ্টার নাটক তৈরি করা হবে। বিভিন্ন নাট্যকারদের গল্প নিয়ে নাটকগুলো নির্মাণ করবেন বিভিন্ন প্রজন্মের পরিচালকরা।
এলএ/পিআর