যৌন উস্কানিমূলক বক্তব্যে সমালোচনায় শাহরুখ
কথা বলতে জুড়ি নেই বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের। বরাবরই তার রসবোধের বাকপটুতা মুগ্ধ করে যায়। আবার এই কথার দোষেই বহুবার সমালোচিত হয়েছেন কিং খান।
সম্প্রতি এক লেখিকার বইয়ের মোড়ক উন্মোচনী অনুষ্ঠানে লেখিকার উদ্দেশ্যে ‘মেয়েরা তার সঙ্গে বসে বা দাঁড়িয়ে কথা বললে ভালো লাগে না। আর তাই তিনি চান মেয়েরা যেন তার সঙ্গে কথা বলার সময় শুয়ে পড়েন’- বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন শাহরুখ। তাৎক্ষণিকভাবে সবাই তার কথায় মজা পেলেও বেরসিক নারীবাদীরা বেঁকে বসেছেন। তারা নিন্দা জানিয়েছেন শাহরুখের বক্তব্যের।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে তার জীবনে মহিলাদের গুরুত্ব ও অনুপ্রেরণার কথা বলার ফাঁকে স্বভাবসুলভ রসাত্মক মন্তব্য করেন শাহরুখ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নীতা আম্বানি-সহ বিশিষ্ট মহিলা ব্যক্তিত্বরা। শাহরুখের এমন বিস্ফোরক মন্তব্য শুনে বেশ গম্ভীর হয়ে যান শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি-পত্নী।
জানা গেছে, লেখিকা গুঞ্জন জৈনের বই ‘শি ওয়াকস, শি লিডস’ প্রকাশের পর বইটি নিয়ে কিছু কথা বলছিলেন শাহরুখ। তখন দর্শক আসনের প্রথম সারিতে বসেছিলেন লেখিকা। শাহরুখ বলতে শুরু করতেই তিনি উঠে এসে তার পা ছুঁতে যান। তখনই মজার ছলে শাহরুখ বলেন, ‘দয়া করে বসুন। তবে এটা বললে হয়তো পলিটিক্যালি কৌশলে ঠিক বলা হলো না, তবু বলছি, যখন আমি কোনো মেয়ের সঙ্গে কথা বলি তখন আমি চাই তিনি শুয়ে পড়ুন।’ শাহরুখের দুষ্টুমি দেখে উপস্থিত দর্শকরা হেসে ওঠেন।
কিন্তু পরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে এলে নারীবাদীরা ক্ষুদ্ধ হন। শাহরুখ খানের মতো একজন ব্যক্তি এমন কুরুচিকর, যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা কী করে বলতে পারেন তা নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানেই এরপর শাহরুখ জীবন গঠনের জন্য তিনি ঠাকুরমা, স্ত্রী, কন্যা ও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত বহু মহিলার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে অনুভূতি শেয়ার করেন। তবে তাতে মন গেলিনি নারীবাদীদের। তাদের ধারণা নিজের বেফাঁস মন্তব্য চাপা দিতেই স্ত্রী-কন্যার প্রসঙ্গ তুলে আনেন শাহরুখ।
মুম্বাইয়ের মহিলা কমিশনের এক কর্মী বলেন, ২৪ জন বিশিষ্ট নারীকে নিয়ে লেখা বইয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পৌঁছে কৌতুক করতে গিয়ে নারীদের অপমান করেছেন শাহরুখ।
সম্প্রতি ধর্ষিতা মন্তব্যের জেরে বিপাকে পড়েন সালমান খানও। সেই প্রসঙ্গে শাহরুখ মুখ খোলেননি। বিভিন্ন সময় নারীর প্রতি সম্মান জানান শাহরুখ। তিনি যে কী করে এমন মন্তব্য করলেন তা ভেবে পাচ্ছেন না বলিউডের মানুষজন ও তার ভক্তরা।
এলএ/এমএস