শুভ বারতায় শুরু হলো এশিয়ান সিনেমা রেট্রোস্পেক্টিভ
মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে সকল আঁধার কাটিয়ে পৃথিবীকে আলোর পথে নিয়ে যাবার আহ্বান জানিয়ে শুরু হয়েছে ‘এশিয়ান সিনেমা রেট্রোস্পেক্টিভ’। ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে গতকাল শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে সেগুনবাগিচার জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এই আয়োজনের উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধন করেন বরেণ্য চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী। সঙ্গে ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলামসহ আরো অনেকেই।
জানা গেছে, এশিয়ার ১৯টি দেশের ৫৬ জন চলচ্চিত্রকারের মোট ৬৫টি চলচ্চিত্র নিয়ে ১৭ সপ্তাহব্যাপী চলবে এই আয়োজন। অনুষ্ঠানের প্রথম সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী নির্মিত চলচ্চিত্র ‘ঘুড্ডি’।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় সদ্যপ্রয়াত বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্রকার আব্বাস কিয়োরাস্তামিতে। তার স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তারপর এই আয়োজন ও তার গুরুত্ব নিয়ে আলোকপাত করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের সভাপতি লাইলুন্নাহার শেমী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক, শিল্পকলা একাডেমির চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক তালুকদার মাসুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি বেলায়াত হোসেন মামুন।
মামুন বলেন, বিশ্ব চলচ্চিত্র অনুধাবন কর্মসূচি ২০১৬–এর অংশ হিসেবে ‘এশিয়ান সিনেমা রেট্রোস্পেকিভ’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ‘এশিয়ান সিনেমা রেট্রোস্পেক্টিভ’ মূলত এশিয়ান চলচ্চিত্রের ধরন, গতি-প্রকৃতি, এশিয়ার দিকপাল চলচ্চিত্রকারদের সঙ্গে পরিচয়, জানা বোঝার পাঠ চলবে।
প্রতিটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পূর্বে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্র, চলচ্চিত্রকার ও তাদের দেশের চলচ্চিত্র-সংস্কৃতি বিষয়ক আলোচনা উপস্থাপন করা হবে। রেট্রোস্পেক্টিভ শেষে এশিয়ান সিনেমা বিষয়ক একটি বিস্তৃত সেমিনারের আয়োজন করা হবে। রেট্রোস্পেক্টিভে অংশগ্রহণকারীদের চলচ্চিত্র আলোচনা লেখার ক্ষেত্রকে উৎসাহিত করা হবে।
এ আয়োজনে বাংলাদেশ, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, চীন, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মালয়েশিয়া, ফিলিস্তিন, ইরাক, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান ও সৌদি আরবের ছবি প্রদর্শন করা হবে।
এলএ/আরআইপি