গানে গানে বেলীর পথচলা
ছোট বেলা থেকে সংগীতের আবহে বেড়ে ওঠা তার। ব্লু-বার্ডস নামে নারীদের নিয়ে তৈরি একটি ব্যান্ড-এ ড্রামস বাদকও ছিলেন অনেকদিন। সেখান থেকেই গানের প্রতি ভালোবাসা ভালোলাগাটা আরও বাড়ে। তবে ২০১২ সালে পাওয়ার ভয়েজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দর্শক শ্রোতাদের নজর কাড়েন তিনি। বলছি চলচ্চিত্রের সফল আইটেম গানের কণ্ঠশিল্পী বেলী আফরোজের কথা।
ক্লাস থ্রি’তে পড়ার সময় থেকেই সংগীতে হাতেখড়ি হয়। বড় ভাই সুমন বেশ নাম করা একজন ড্রামার। ভাইয়ের দেখানো পথ ধরেই ২০০৪ সালে ব্লু-বার্ডস নামে একটি নারী ব্যান্ড দলে ড্রামার হিসেবে সংগীত অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন তিনি। ততে ‘পাওয়ার ভয়েজ ২০১২’তে অংশ নেয়ার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
বর্তমানে চলচ্চিত্রের আইটেম গানে অপরিহার্য একটি নাম বেলী। শুরুটা হয়েছিল ‘রাঙা মন’ ছবির মধ্যে দিয়ে। এরপর একে একে ‘সর্বনাশা ইয়াবা’, ‘উতলা মন’, ‘নগর মাস্তান’, ‘ভালোবাসা সীমাহীন’, ‘বুলেট বাবু’ ও ‘অন্তর জ্বালা’সহ প্রায় পঞ্চাশটির মতো ছবির আইটেম গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক’র পাশাপাশি ২০১৫ সালে নিজ নাম ‘বেলী’ শিরোনামে একটি একক অ্যালবামও প্রকাশ করেছেন শিল্পী। আর এই অ্যালবামের ‘ভালো থাকুক মন’ ও ‘ভাবের ঘর’ দুটি গানের মিউজিক ভিডিও অনেক আগেই প্রকাশ হয়েছে। এবার একই অ্যালবামের ‘তেতুল পাতা’ শিরোনামে একটি গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করতে যাচ্ছেন বেলী। গানটির ভিডিওতে মডেল থাকবেন বেলী নিজেই।
এ সম্পর্কে বেলী আফরোজ বলেন, ‘অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল এই গানটি নিয়ে কিছু একটা করার। তবে ঠিক ঠাক মতো হয়ে উঠছিল না। নান্দনিকভাবে গানটির দৃশ্যায়ন করা হবে। এই মিউজিক ভিডিও নিয়ে দর্শকদের একটা চমক দিতে চাচ্ছি। ঈদুল ফিতরের পরেই দর্শকদের জন্য গানটি উন্মুক্ত করা হবে।’
এরই মাঝে বেলী তার দ্বিতীয় একক অ্যালবামের কাজে হাত দিয়েছেন। খুব শিগগিরই অ্যালবামটি প্রকাশ করবেন বলে জানান তিনি। অ্যালবামে একটি ডুয়েট গানে বড় একটি চমক দিবেন বলে জানান বেলী। তবে কি সেই চমক তা এখনই বলতে নারাজ সময়ের এই আলোচিত সংগীতশিল্পী।
এর বাইরে বেলী আফরোজ ঘুমের শহর, মুসাফির মন, নজর বন্দী, তুই এবং তকে’সহ বিশটির মতো মিক্সড অ্যালবামে কণ্ঠ দিয়েছেন। নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বেলী আফরোজ বললেন, ‘আমি স্টারডাম এ একদম বিশ্বাস করিনা। একটি স্বপ্ন নিয়ে গান করে আসছি। আর সেটি হলো প্রতিটি শ্রোতার কানে যেন বেলীর গান পৌঁছে যায়। আমার গান শোনার পরে যদি কারো একটুও ভালো লাগে সেটাই হবে আমার সার্থকতা।’
এলএ/আরআইপি