সঙ্গীদের ২ হাজার কোটি টাকা বোনাস দিলেন টেলর সুইফট
হলিউডের সংগীত তারকা টেলর সুইফট তার আলোচিত এরাস ট্যুর শেষ করেছেন। বিশ্বব্যাপী কনসার্টের এই ট্যুর থেকে ২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন গায়িকা। সেই আয় থেকে ১৯৭ মিলিয়ন ডলার বোনাস হিসেবে তার ট্যুরের সঙ্গে জড়িত সকল সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করেছেন তিনি। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ হাজার ৩৫৭ কোটি ৭০ লাখ টাকারও বেশি।
পিপল ম্যাগাজিন সূত্রে এমন তথ্যই জানা গেল। সেখানে দাবি করা হয়েছে, এই বোনাস টেলরের কর্মীরা তাদের নিয়মিত বেতনের বাইরের অংশ হিসেবে পাবেন।
পিপলসের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এরাস ট্যুরের সাথে যুক্ত প্রতিটি সদস্য এই বোনাসের একটি অংশ পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ট্রাক ড্রাইভার, ক্যাটারার, যন্ত্র প্রযুক্তিবিদ, মার্চেন্ডাইজার, লাইটিং ও সাউন্ড ক্রু, প্রোডাকশন স্টাফ, কাঠের কাজের শ্রমিক, নৃত্যশিল্পী, নিরাপত্তা কর্মী, কোরিওগ্রাফার, প্যায়রোটেকনিক বিশেষজ্ঞ, রিগার, হেয়ার এবং মেকআপ শিল্পী, ওয়ারড্রোব সহকারী, শারীরিক থেরাপিস্ট এবং ভিডিও টিম।
এই ঘোষণার পর থেকে টেলর সুইফটের তিনি প্রশংসায় ভাসছেন। তবে এটিই প্রথম নয় যখন সুইফট এমন বিশাল বোনাস ঘোষণা করে খবরের শিরোনাম হয়েছে। ২০২৩ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যুরের প্রথম পর্ব শেষ করার পর তিনি তার সহযোগীদের মধ্যে ৫৫ মিলিয়ন ডলার বোনাস বিতরণ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, এরাস ট্যুর হল পপ তারকা টেলর সুইফটের একটি বিশ্বব্যাপী কনসার্ট ট্যুর। এটি ২০২৩ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়। শেষ হয় ২০২৪ সালের নভেম্বরে। ট্যুরটি টেলর সুইফটের ক্যারিয়ারের বিভিন্ন অ্যালবামের গানের উপর ভিত্তি করে সাজানো। তাই এটিকে ‘এরাস’ নামকরণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিটি অ্যালবামকে একটি যুগ হিসেবে তুলে ধরেছেন টেলর।
এই ট্যুরটি খুবই সফল হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে যেমন ২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন টেলর অন্যদিকে তেমনি নানা দেশের কোটি কোটি শ্রোতা দর্শকের সঙ্গে তৈরি করেছেন সরাসরি যোগাযোগ। ট্যুরে মোট ১৪৯টি শো ছিল যা পৃথিবীর বিভিন্ন বড় শহর ও স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুইফটের ট্যুরটির বাণিজ্যিক সাফল্য সব শো শেষ হওয়ার পরও অব্যাহত রয়েছে। তার সর্বশেষ অ্যালবাম ‘দ্য টর্চারড পোইটস ডিপার্টমেন্ট’ ২০২৪ সালের সেরা অ্যালবাম হিসেবে বিলবোর্ডে শীর্ষ স্থান দখল করেছে। সম্প্রতি বিলবোর্ড ২০০ তালিকায় প্রথম স্থানও অর্জন করেছে এটি।
এছাড়াও তার ‘এরাস ট্যুর’ বইটিও বিক্রির রেকর্ড গড়েছে। প্রথম সপ্তাহে বইটি ৮ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে।
এলএ/এমএস