যেখানে কবর হলো ওস্তাদ জাকির হুসেনের
প্রয়াত কিংবদন্তিতুল্য তবলাবাদক জাকির হুসেন চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর ফার্নউড কবরস্থানে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) তাকে সমাহিত করা হয়েছে।
এনডিটিভি জানাচ্ছে, জাকির হুসেনকে সমাহিত করার সময় পরিবারের সদস্য ও কাছের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। শেষ যাত্রার সময় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ড্রামার আনন্দন শিবমণি ড্রাম বাজিয়ে বিদায় জানিয়েছেন জাকির হুসেনকে।
শিবমণি তার বন্ধুকে বিদায়ের সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এতে জাকির হুসেনকে ‘ভাই’ সম্বোধন করে তিনি বলেন, ‘তিনি চলে গেলেও তার আর্শীবাদ’ পৃথিবীর সব বাদ্যকরের সঙ্গে রয়ে যাবে। তা উত্তরাধিকারদের তা ধরে রাখতে।’
গত ১৬ ডিসেম্বর জাকির হুসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর সংবাদ গণমাধ্যমকে জানানো হয়। মুত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলে ৭৩ বছর। তিনি জীবনের ৭০ বছর তিনি কাটিয়েছেন তবলার সঙ্গে মিতালি করে। ওস্তাদ জাকির হুসেন মৃত্যুর আগে দুই সপ্তাহ ধরে সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’র অন্যতম সদস্য ছিলেন জাকির হুসেন। তিনি কিংবদন্তি তবলাবাদক আল্লা রাখার জ্যেষ্ঠ পুত্র।
ওস্তাদ জাকির হুসেন ১৯৫১ সালে মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র তিন বছর বয়সে তবলায় হাতেখড়ি হয়। ১২ বছর বয়স থেকেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে পেশাদার বাদক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। সেই সময় থেকেই তার বাবার সঙ্গে মঞ্চে তিনি তবলা বাজাতেন। ওস্তাদ জাকির হোসেনের তবলা বাজানের খ্যাতি ভারত ছাপিয়ে বিশ্বসংগীতেও জায়গা করে নিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
সংগীতে অনন্য অবদানের জন্য দেশ-বিদেশে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন জাকির হুসেন। ১৯৮৮ সালে ভারত সরকার তাকে ‘পদ্মশ্রী’ খেতাবে ভূষিত করে। ২০০২ সালে ‘পদ্ম ভূষণ’, ২০২৩ সালে ‘পদ্ম বিভূষণ’ সম্মাননা লাভ করেন। বিশ্বসংগীতের সবচেয়ে মর্যাদাকর গ্রামি পুরস্কারও পান এ বিশ্ববিখ্যাত এ তবলাবাদক।
এমএমএফ/জেআইএম