রহমান ও মোহিনীর বিচ্ছেদের যোগসূত্র কী
এ আর রাহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানুর বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই ঘটনা প্রকাশের ঠিক পরপরই ছড়িয়ে পড়ে রহমানের নারী গিটারিস্ট মোহিনী দে ও তার স্বামী মার্ক হার্টসাচের বিচ্ছেদের খবর। দুটি বিচ্ছেদের যোগসূত্র কী? কেনই বা ভারতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়াচ্ছে রহমান ও মোহিনীর সম্পর্কের গুঞ্জন! কলকাতার মেয়ে মোহিনী ও চেন্নাইয়ের শিল্পী এ আর রহমান একত্রে প্রায় ৪০টির বেশি শো করেছেন বলে?
তাদের সম্পর্কের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ। ভারতীয় একটি টিভিকে তিনি জানান, দুটি বিচ্ছেদের কোনো যোগসূত্র নেই। এ আর রহমান ও সায়রা বানু আলোচনার মাধ্যমে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানে অন্য কোনো সম্পর্কের কোনো ঘটনা নেই।
বাংলাদেশের গানের চ্যানেল গান বাংলা টেলিভিশনের ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এ বাজিয়েছেন মোহিনী। পাশাপাশি কোক স্টুডিও ইন্ডিয়াতেও ছিলেন ২৮ বছর বয়সী এই বেজ গিটারিস্ট। বিচ্ছেদের ঘোষণায় মোহিনী দে লিখেছেন, ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমি ও মার্ক আলাদা হয়ে যাচ্ছি। আমাদের পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। বিচ্ছেদের পরও আমাদের বন্ধুত্ব অটুটু থাকবে। হাতে থাকা কাজগুলো আমরা একত্রেই করব, প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ আর রহমান ও সায়রা বানুর বিচ্ছেদের খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। অস্কারজয়ী এ আর রহমান ও সায়রা বানু দম্পতির তিন সন্তান, খাদিজা, রহিমা ও আমিন। তারা তিনজনই সংগীতের সঙ্গে জড়িয়েছেন। মা-বাবার বিচ্ছেদের পর মেয়ে রহিমা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘ঘটনাটিতে সম্মান ও গোপনীয়তা বজায় রাখলে খুশি হবো। আপনাদের বিবেচনাবোধের জন্য ধন্যবাদ।’
আরএমডি/জেআইএম