ওজন নিয়ে কটাক্ষ, কড়া জবাব দিলেন বিদ্যা বালান
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা বিদ্যা বালান। তিনি আবেদনময়ী রূপে প্রায়ই ধরা দেন ফটোশুটে। কাজের প্রয়োজনে শরীরের বিভিন্ন রূপ গঠনে ভীষণ মনোযোগী বিদ্যা। সম্প্রতি ওজন কমেছে এ অভিনেত্রীর। কিন্তু এমন চেহারার জন্য নানান ধরনের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিদ্যা বালান। তিনি নিজের ওজন বৃদ্ধির পেছনে শারীরিক অসুস্থতার কথাও জানিয়েছেন। তারপরও তাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। বিদ্যা বালান পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ভারতজুড়ে একটি প্রচলন রয়েছে, কারো সঙ্গে দীর্ঘদিন পরে দেখা হলে, প্রথমেই তার চেহারা নিয়ে মন্তব্য করা হয়।
বিদ্যা কড়া ভাষায় বলেছিলেন, ‘ভারতে একটা বিষয় দেখেছি। কেউ জানতে চায় না কেমন আছি। বরং দীর্ঘদিন পরে দেখা হলে মানুষ আগে মন্তব্য করেন, আরে কত মোটা হয়ে গিয়েছ অথবা কত শুকিয়ে গেছ! এ ছাড়া কি আর কিছু দেখতে পায় না মানুষ? এর থেকেই বোঝা যায়, কত হালকাভাবে একজন মানুষকে আপনি দেখেন।’
আরও পড়ুন:
বিদ্যা আরও বলেন, ‘এ থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার, আপনি জানতেই চান না, মানুষটা আদৌ খুশি নাকি তিনি অবসাদগ্রস্ত। দেখুন, কেউ যদি আপনাকে বলে, ওজনটা কমিয়ে নিন। তাহলে তাকে বলবেন, দেখুন আপনিও নিজের বুদ্ধিটা বাড়িয়ে নিন। আসলে আপনাকে কেউই পুরোপুরি গ্রহণ করবেন না, যতক্ষণ না আপনি নিজেকে গ্রহণ করবেন।’
বিদ্যা বালানকে শেষ দেখা যায় ‘দো অউর দো পেয়ার’ সিনেমায়। এর আগে তার সিনেমা ‘নিয়ত’ ও ‘জলসা’ বিশেষভাবে সাড়া ফেলেছিল। বিদ্যা বালানের বলিউডে অভিষেক ঘটেছিল পরিণীতা রূপে। মাথায় ঘনকালো চুল, কপালে টিপ। শাড়িতে তখন বিদ্যা বালান যেন পাশের বাড়ির পরিচিত মেয়ে হয়ে সবার কাছে ধরা দিয়েছিলেন। কয়েক বছরের মধ্যেই বিদ্যার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে।
তার অভিনীত ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ সিনেমাটি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। তবে এ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে ধূমপান শুরু করেন অভিনেত্রী। যদিও সিগারেটের ধোঁয়ার গন্ধ বরাবরই উপভোগ করতেন বিদ্যা বালান।
এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বালান জানান, ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ সিনেমায় ঘন ঘন ধূমপানের দৃশ্যে অভিনয় করতে হত। তাতেই সিগারেট পান শুরু করেন তিনি। দিনে তিনটি করে সিগারেট লাগত এ নায়িকার।
বিদ্যা বালান যেভাবে ধূমপানে আসক্ত হয়েছিলেনএ প্রসঙ্গে বিদ্যা বলেন, ‘আমার ছোটবেলা থেকেই সিগারেটের গন্ধটা ভালো লাগত। কলেজে যাওয়ার সময় বাসের জন্য যখন দাঁড়িয়ে থাকতাম, আশেপাশে যারা ধূমপান করতেন, তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতাম আমি।’
এমএমএফ/এএসএম