আশিস বিদ্যার্থীর দ্বিতীয় বিয়ের পর মুখ খুলেন প্রথম স্ত্রী রাজোশী
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী ৬০ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন। ফ্যাশন ডিজাইনার রূপালী বড়ুয়ার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) কলকাতার একটি ক্লাবে রূপালী বড়ুয়ার গলায় বিয়ের মালা পরালেন এ খ্যাতিমান অভিনেতা। এখন তার বিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: সুদূর ফ্রান্সে উড়ে যেতে শুরু করেছেন বলিউড অভিনেত্রীরা
আশিস বিদ্যার্থীর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে একটি আবেগঘন বার্তা দিয়েছে তার প্রথম স্ত্রী রাজোশী বড়ুয়া। রাজোশী ইনস্টাগ্রামে পর পর দুটি পোস্ট শেয়ার করেন। আর সেখান থেকেই উঠে আসে তার বেদনার কথা। পাশাপাশি ভালোবাসার মানুষটির প্রতি অনুভূতির কথা।
আরও পড়ুন: কানে অদিতির গ্ল্যামারে মুগ্ধ সিদ্ধার্থ
একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সে মানুষই ঠিক যে কোনো দিন তোমার মনে প্রশ্ন তুলবে না, তার কাছে তোমার মূল্য কতটা। এমন কোনো কাজ করবে না, যা তোমাকে কষ্ট দেয়। সব সময় এই কথা মনে রাখবে।’ পোস্টে কারও নাম উল্লেখ করেননি রাজোশী কিন্তু অনেকেই মনে করছেন কথাগুলো তিনি লিখেছেন আশিসকে উদ্দেশ্য করেই।
এর পাশাপাশি অন্য় পোস্টে লেখেন, ‘সমস্ত দ্বিধা, চিন্তা তোমার মন থেকে সরে যাক। দ্বিধা কাটিয়ে স্পষ্ট হোক, তোমার জীবনজুড়ে শান্তি নেমে আসুক। বহুদিন ধরেই তুমি লড়াই করে চলেছে। এখন অন্তত তোমার জীবনে আশীর্বাদ নেমে আসুক। এটা তোমার প্রাপ্য।’
আরও পড়ুন: ৪০ বছরের জুনিয়র এনটিআরের জীবনের অজানা কথা
রূপালী বড়ুয়া মূলত ভারতের আসামের মেয়ে। তবে কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। এ শহরে তার একটি ফ্যাশন স্টোর রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, অনেক আগে থেকেই তিনি আশিস বিদ্যার্থীকে চেনেন। সেই থেকেই তার সঙ্গে বন্ধুত্ব শুরু। এরপরেই তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি আশিস জানিয়েছেন, জীবনের এই সময় পৌঁছে রূপালিকে পাশে পেয়ে তিনি অভিভূত। আনন্দের এ দিনটিকে স্মরণীয় করতেই বন্ধুদের এবং পরিবারকে সঙ্গে নেন তিনি।
View this post on Instagram
এর আগে শকুন্তলা বড়ুয়ার মেয়ের সঙ্গে সংসার করেছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এ জনপ্রিয় অভিনেতা। তবে আবার জীবনের নতুন ছন্দে, নতুন আঙ্গিকে এসে কীভাবে প্রেমে পড়লেন, বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, সেটা নাকি এক দীর্ঘ গল্প। ফ্রেম ছাড়িয়ে সেখানে প্রেমের নতুন দিগন্ত।
বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, আমার জীবনের এই পর্যায়ে রূপালীর সঙ্গে বিয়ে হওয়াটা একটা অসাধারণ অনুভূতি। সকালে আমাদের কোর্ট ম্যারেজ ছিল, তারপরে সন্ধ্যায় গেট-টুগেদার হয়েছিল।
এমএমএফ/এএসএম