ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

ছবিতে দেখুন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ভারতের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হয়ে গেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এতে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরও অংশ নিয়েছিলেন। দেখুন এ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ছবি।

কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলকাতার তারকারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, রানি মুখার্জী, শাহরুখ খান, জয়া বচ্চন, অরিজিৎ সিংহ, মহেশ ভাট এবং আরও অনেকে। উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী।

অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ খান, শত্রুঘ্ন সিনহা, মহেশ ভাট, সৌরভ গাঙ্গুলী, অরিজিৎ সিং। ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনের মঞ্চে দেখা গেল চাঁদের হাট।

যেখানে সবার উপস্থিতিতেই বাংলার সিনেমা জগতের জগৎ-ছোঁয়ার প্রত্যাশা উঠে এলো মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যয়ী কণ্ঠে জানালেন, ‘বাংলার সঙ্গে বলিউড থেকে হলিউডকে সংযোগ করার এক অনন্য মঞ্চ কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সবাইকে এই মঞ্চে এসে উদ্বোধনের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভরসা রাখি বাংলা একদিন হলিউড দখল করবে, বলিউড দখল করবে।’

বক্তব্য দিতে গিয়ে জয়া বললেন, ‘২ বছর আগে আসার কথা ছিল। কী যে করে আমি জানি না, এই সৌরভকে বলছিলাম। কখনও হাত ভেঙে গেল, কখনও পা ভেঙে গেল। মাথা ঠিক আছে সেটাই ঠিক আছে। তিন বছর ধরে ভেবে ভেবে সব বুকে আর পেটে ভরে নিয়ে এসেছি।’ বাংলার মেয়ে জয়া অমিতাভ-ঘরণী। সেই সূত্রে অমিতাভ বচ্চন বাংলার জামাইও। সেই বিষয়টিই মনে করিয়ে দিলেন জয়া, সঙ্গে বললেন, ‘জামাইয়ের সামনে মেয়ের দাম খুব কম।’ বক্তব্য শেষ করার সময় ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেন জয়া। বললেন, ‘আপনি জানেন যে কোনো সময় আমি আপনার জন্য আছি।’

করোনা আবহ ও শারীরিক অসুস্থতার জেরে মাঝে কয়েক বছরের ব্যবধানে ফের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে হাজির হলেন অমিতাভ বচ্চন। মাঝের সময়টায় আসতে না পেরে যে তিনিও কিছুটা কষ্টে ভুগেছেন, সেটাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বুঝিয়ে দিলেন বলিউডের শাহেনশাহ।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলায় শুরু করেন তিনি। যেখানে শুরুতেই অমিতাভ বচ্চন বলেন, ‘৩ বছর কিফে আসতে পারিনি। আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। তাই অনেক কষ্ট হয়েছে। মমতাদিকে ধন্যবাদ ফের একবার আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। আবার একবার ভালোবেসে ডেকে পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ কলকাতা।’ যার পরই কলকাতার সঙ্গে ব্যক্তিগত টান ছুঁয়ে অমিতাভের সংযোজন, ‘কলকাতা আমার বাড়ির মতো। আপনাদের জামাইবাবু জীবনভর আপনাদের সঙ্গে জামাইবাবু হয়েই থাকবে।’ অল্প বক্তব্যের শেষে জয়া বচ্চন অমিতাভের জামাই প্রসঙ্গ তুলেই বলেছিলেন, ‘জামাইয়ের সামনে মেয়ের দাম কম।’

আজ কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে ছিলেন শাহরুখ খান। তার মুখেও ছিল আগামী ছবি ‘পাঠান’-এর সংলাপ। আর মঞ্চে ওঠার পরেই সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে হিন্দিতে শাহরুখ বললেন, ‘আমি দিদিকে কথা দিয়েছিলাম, যখনই কলকাতায় আসব, বাংলা বলার চেষ্টা করব। এই বছর আমার সঙ্গে রানি (মুখার্জী) এসেছে। তাই ওকে দিয়ে আমি বাংলায় সংলাপ লিখিয়ে নিয়েছি। যদি আমি ভালো বলি তবে আমার প্রশংসা করবেন। আর যদি খারাপ বলি, তাহলে রানির দোষ।’

এরপরেই ভাঙা ভাঙা বাংলায় শাহরুখ বলে চললেন, ‘সবাইকে এই মঞ্চে দেখে খুব ভালো লাগছে। অনেকদিন দেখা হয়নি তো। আমার প্রিয় সুন্দর রানিকে দেখে খুব খুশি’। এরপর একে একে মঞ্চে উপস্থিত সবার নাম নিয়েই সবাইকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দেন শাহরুখ। কিন্তু শেষে বলেন, তিনি সবচেয়ে খুশি দর্শকদের দেখে।

এদিন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এসে বাংলায় কথা বললেন রানি মুখার্জী। দীর্ঘদিন হিন্দি ছবির জগতে থাকলেও বাংলা যে তার হৃদয়ের অন্দরে থাকে, তা টের পাওয়া গেল রানির কথায়। বাঙালি হিসেবে তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করেন। বললেন অনেক কথা। রানি বলেন, ‘কলকাতা। নমস্কার। সবাইকে নমস্কার জানাচ্ছি। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমাদের এখানে ডাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ মমতা দি। খুব ভালো লাগছে এখানে এসে। অবশ্যই আমাদের মহানায়ক অমিতাভ বচ্চন, জয়া আন্টি, আমার প্রিয় ‘পাঠান’ শাহরুখ খান, আমার প্রিয় সকলকে দেখে খুব ভালো লাগছে। কলকাতায় এসে আমি খুব খুশি। কলকাতা আমার মায়ের জায়গা। আমার খুব প্রিয় জায়গা। এই জায়গাটার প্রতি আমার একটা টান রয়েছে। এখানে এসে আমি খুব ভালো অনুভব করি। আপনারা ছাড়া আজ আমি যা তা হতে পারতাম না। বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সবাইকে আমার শুভ কামনা।’

সৌরভ বললেন, ‘শহর কলকাতা ও রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি ভীষণ সমৃদ্ধ। বছরের পর বছর ধরে কিংবদন্তিদের জন্ম দিয়েছে এই রাজ্য। এত প্রবাদপ্রতিম চরিত্র রয়েছে যে, নাম বলে শেষ করতে পারব না। যারা শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশে পরিচিতি তৈরি করেছেন। তারা ইতিহাস তৈরি করেছেন। সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন। তারা যে সমস্ত সিনেমা তৈরি করেছেন, তা স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। ভবিষ্যতেও সকলেই মনে রাখবেন সেই সমস্ত কাজ। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর, পরের ১০ দিন উদযাপনের সময়। আমি সকলকে অনুরোধ করব আসুন, সিনেমা দেখুন। কিংবদন্তিরা, তারকারা ও ব্যতিক্রমী মানুষজন যে কাজ করেছেন, তা দেখুন।’

এমএমএফ/এএসএম

আরও পড়ুন