ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

ফ্লাইট মিসের কারণেই জীবন বদলে যায় অক্ষয়ের!

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৫৫ এএম, ৩১ মার্চ ২০২২

শুটিংয়ে যোগ দিতে কলকাতা থেকে বিমানে আহমেদাবাদ যাওয়ার কথা ছিল টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। নির্দিষ্ট সময়ের ১৭ মিনিট পর বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। তবে তার আগেই কাঁদতে কাঁদতে এয়ারলাইন কর্মীদের অনুরোধ করেছিলেন, যেন তাকে নেওয়া হয় বিমানে। কিন্তু সময় মতো ফ্লাইট উড়াল দেওয়ায় যাত্রাভঙ্গ হয় এ অভিনেত্রীর।

এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ঋতুপর্ণা। কিন্তু তার এ বিমান মিস করা যে শাপে বর হতে পারতো, সেটিই এবার মনে করিয়ে দিলেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার।

অক্ষয়ের গল্পটা অবশ্য খুবই অলৌকিক। একদিকে তার বিমান উড়ে যায়, অন্যদিকে ঘুরতে শুরু করে ভাগ্যের চাকা। সেখান থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন অক্ষয় কুমার। এক সাক্ষাৎকারে সে গল্পই শোনাচ্ছিলেন অক্ষয়।

বলিউডের নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তখন মডেলিং করছেন অক্ষয়। সেসময় হঠাৎ বেঙ্গালুরুতে মডেলিংয়ের একটি কাজের সুযোগ আসে তার। মুম্বাই থেকে বিমানে করে যেতে হবে। টিকিট কাটা হয়ে গেছে। বিমান ছাড়বে ভোর ৬টায়। কিন্তু অক্ষয় ভুল করে সন্ধ্যা ৬টা ভেবেছেন। তাকে বিমানবন্দরে না পেয়ে বিমান সংস্থার তরফে একটি ফোন করা হয়। তিনি তখন ঘুমোচ্ছিলেন। ঘুম ভেঙে ফোন ধরেন।

jagonews24

তার এমন অজ্ঞতার জন্য সেদিন বিমান সংস্থার কর্মী অক্ষয়কে ধমক দিয়ে বলেছিলেন- আপনার মতো অপেশাদার মানুষ জীবনে সফল হতে পারবেন না। তিনি তখন সংস্থার কর্মীকে অনেক অনুনয়-বিনয় করে বলেন, আপনারা একটু অপেক্ষা করুন, আমি এখনই পৌঁছে যাচ্ছি। মোটরবাইকে করে রওনা দিচ্ছি। কিন্তু সেদিন তার জন্য অপেক্ষা করেনি বেঙ্গালুরুর বিমান।

জীবনের গতিপথ বদলে দেওয়া সেই ঘটনা স্মরণ করে এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় বলেছিলেন, তারা তো ঠিকই করেছে। সময় মতো বিমান ছেড়ে দিয়েছে। কেনইবা আমার জন্য দাঁড়াবে? কিন্তু সেদিন আমি ভীষণ হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করি। মনে হয়, সত্যিই তো আমি বসে রয়েছি। আমার দ্বারা নায়ক হওয়া হবে না। হঠাৎ মনের জোরে ইচ্ছেশক্তির ওপর ভর করে মুাম্বইয়ের নটরাজ স্টুডিওর দিকে রওনা হই। মনে মনে পণ করি, নায়ক আমাকে হতেই হবে।

নটরাজ স্টুডিওর রূপটান শিল্পীর সঙ্গে আগে থেকেই অক্ষয়ের জানাশোনা ছিল। তার পরামর্শেই তিনি পরিচালক প্রমোদ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করেন। পরিচালক অনেক ক্ষণ ধরে অক্ষয়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পরে জিজ্ঞাসা করেন, হিন্দি ছবির নায়ক হবে? এটুকুই। ওইদিনই নতুন তিনটি ছবির চুক্তিপত্রে সাইন করেন অক্ষয়। পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিম পারিশ্রমিকও দেওয়া হয় তাকে৷ পরিচালকের সঙ্গে তার চুক্তিটা ছিল এরকম- প্রথম ছবির জন্য ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ছবির জন্য এক লক্ষ এবং তৃতীয়টির জন্য পারিশ্রমিক পাবেন দেড় লক্ষ টাকা।

অক্ষয় বলেন, সেদিন যদি বিমান মিস না করতাম, তাহলে হয়তো দেশের কোনো এক প্রান্তে অবসরপ্রাপ্ত মডেল হয়ে বসে থাকতাম। কিন্তু সেই আমাকে রেখে উড়াল দেওয়ায় আজ আমি এখানে।

এমকেআর/এএসএম