আত্মহত্যা করা জিয়া খানকে পোশাক খুলতে বলেছিলেন পরিচালক
মুম্বাইয়ে আট বছর আগের এক সকালে নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সুন্দরী জিয়া খানকে। তার পরিবার দাবি করে, ছয় পাতার সুইসাইড নোট লিখেছিলেন জিয়া। অভিযুক্ত বয়ফ্রেন্ড সুরজ পাঞ্চোলি শারীরিক নির্যাতনেই অতিষ্ঠ হয়ে নাকি মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছিলেন ‘গজনী’খ্যাত জিয়া।
সেই জিয়াকে নাকি পোশাক খুলে কাছে যেতে নোংরা প্রস্তাব দিয়েছিলেন পরিচালক সাজিদ খান!
তার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনলেন জিয়ার বোন। সাজিদের বিরুদ্ধে অবশ্য যৌন হেনস্তার অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে ফিল্ম ও গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির একাধিক মহিলা তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন। এবার সেই তালিকায় যোগ হলেন জিয়া খানের বোন।
তিনি জানিয়েছেন, তার বড় বোন জিয়া খানকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন সাজিদ। প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র বানিয়েছে বিবিসি। নাম ‘দ্য ডেথ ইন বলিউড’। তবে এই তথ্যচিত্র ভারতে মুক্তি পাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ। কিন্তু তা সত্ত্বেও গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রি ইতিমধ্যেই এই তথ্যচিত্র নিয়ে সরগরম।
ওই তথ্যচিত্রেরই একটি ক্লিপ এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। ওই ক্লিপটি জিয়া খানের বোনের উক্তি। ভিডিওতে তিনি একটি ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। সাজিদ খানকে তিনি জিয়া খানকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে অভিযুক্ত করছেন।
জিয়া খানের বোন বলেছেন, ঘটনাটি ঘটে ‘হাউজফুল’ ছবির সময়। তখন জিয়া খানকে পোশাপ (টপ) খুলতে বলেছিলেন সাজিদ। বাড়ি ফিরে কেঁদে ফেলেছিলেন জিয়া। বলেছিলেন, ‘আমি চুক্তিবদ্ধ। যদি আমি ছেড়ে দিই ওরা আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। আমার নামে অপবাদ দিতে পারে। যদি আমি থেকে যাই, তাহলে আমাকে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হবে।’
জিয়া খানের বোনের এই ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর তার পাশে দাঁড়িয়েছেন কঙ্গনা। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ওরা জিয়াকে মেরেছে। সুশান্তকে মেরেছে। আমাকে মারার চেষ্টা করেছে। ওদের প্রতি মাফিয়াদের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তাই প্রতি বছর তারা আরও শক্তিশালী ও সফল হচ্ছে।’
প্রসঙ্গগত, ২০১৩ সালের ৩ জুন মুম্বাইয়ের বাড়িতে জিয়া খানের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার রহস্যজনক মৃত্যু অনেকদিন ধরেই খবরে ছিল। জিয়া খানের মা রাবিয়া খান অভিযোগ তোলেন জিয়া আত্মহত্যা করেননি। তাকে খুন করা হয়েছে।
জিয়ার সুইসাইড নোটে আদিত্য পাঞ্চলির ছেলে সুরজ পাঞ্চোলির নাম পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে সুরজ পাঞ্চোলিকে মুম্বাই আদালতে তোলা হয়। জিয়া খানকে নিয়ে যে তথ্যচিত্রটি বানানো হয়েছে সেখানে তদন্তের এই সম্পূর্ণ গতিপ্রকৃতি দেখানো হবে। ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি ব্রিটেনে এই তথ্যচিত্রটি মুক্তি পায়।
এলএ/এমএস