মৃত্যুর পরও মেয়ের মুখ দেখেননি মৌসুমী
ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে পায়েল ডিকি সিনহা মারা যান গত বৃহস্পতিবার রাতে। সেই শোকের রেশ কাটতে না কাটতেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তাঁরই জামাই ডিকি সিং।
‘স্পটবয়’ ম্যাগাজিনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ডিকি জানান, মৃত্যুর পর পায়েলের মুখও দেখেননি মৌসুমি। পায়েলের শেষকৃত্য অথবা শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও দেখা যায়নি তাকে।
জটিলতার শুরু আসলে বেশ কিছুদিন আগে। ছোটবেলা থেকেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন পায়েল। অনেক চিকিৎসাই দেয়া হয়েছে তাকে। খুব একটা উন্নতি তাতে হয়নি। ডায়াবেটিসের কারণে গুরুতর অসুস্থ হলে ২০১৭ সাল থেকে হাসপাতালে রাখা হয় পায়েলকে। পরে ২০১৮ সালে কোমায় চলে যান তিনি। তখন স্বামী তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। তখন বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়েকে চরম অবহেলা আর অযত্ন করা হয়েছে এই অভিযোগে জামাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী জয়ন্তও।
আদালত থেকে বারবার ই পরিবারের মধ্যে দূরত্ব মিটিয়ে নেয়ার জন্য বলা হলেও বাস্তবে ঘটে তার বিপরীত।
ডিকি বলেন, “ওঁদের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। আমি ইতিমধ্যেই মামলা জিতে গিয়েছি। পায়েল, আমার স্ত্রী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমার পাশে ছিলেন।”
পায়েলের শেষকৃত্যে উপস্থিত হয়েছিলেন তার বাবা এবং ছোট বোন। মৌসুমি কেন আসেননি, সে ব্যাপারে ডিকির কোনো ধারণা নেই বলেই জানান তিনি। যদিও নেটিজেনদের একাংশের মতে মা হয়ে মেয়ের মৃত্যু চোখের সামনে দেখতে পারবেন না বলেই হয়তো আসেননি মৌসুমি।
মৌসুমির প্রধান অভিযোগ ছিল, অসুস্থ পায়েলের যেভাবে খেয়াল রাখা উচিত সেভাবে রাখছেন না ডিকি। ডিকির জবাব, “গত দু’মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিল পায়েল। মৌসুমি দু’মাসে মাত্র পাঁচ বার পাঁচ মিনিটের জন্য মেয়েকে দেখতে এসেছেন।”
এনএফ/জেআইএম