টাকার অভাবে কান্না করা মেয়েটি এখন পুরুষের স্বপ্নের নায়িকা
খুব যে অভাবী ঘরে জন্মেছেন তা কিন্তু নয়। মধ্যবিত্ত পরিবারেই জন্ম ও মানুষ। শিক্ষাও পেয়েছেন ভালো। নিজের কর্ম জীবনটাও শুরু করতে পেরেছিলেন বেশ চমৎকার সম্ভাবনা নিয়ে। তবুও তাকে অভাবের দিন পার করতে হয়েছে। হতাশায় কাঁদতে হয়েছে দিনে রাতে।
বলছি বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার কথা। ২০১৩ সালেই তার সিনেমার অভিষেক। পরপর বেশ কয়টি সিনেমায় নাম লেখান তিনি।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বোন হিসেবে পরিচিতিটা পেয়েছিলেন দ্রুত। যশ রাজ চোপড়ার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাকে সহজ করে দিয়েছিলো সিনেমায় ভালো করার।
তবু কিছু ভুল সিদ্ধান্ত তাকে ব্যাকফুটে নিয়ে গিয়েছিলো। ফেলে দিয়েছিলো অনিশ্চিত জীবনের মুখে। পরিণীতির ভাষায়, ‘২০১৪ সালের শেষ থেকে গোটা ২০১৫ সাল। খুব খারাপ কেটেছিল আমার জীবনে। আমার দুটি ছবি কিল দিল এবং দাওয়াত-ই-ইশক একেবারেই কাজ করেনি।
হঠাৎ করেই দেখলাম হাতে টাকা নেই। তখন একে তো প্রেম ভাঙার যন্ত্রণা, অন্যদিকে নিজের বাড়ি কেনায় অনেক টাকা চলে গিয়েছিল। জীবনে পজিটিভ কিছুই ছিল না যেন। খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কারও সঙ্গে কথা বলতাম না, দেখা করতাম না। সারাদিন নিজেকে ঘরে বন্দি করে কাঁদতাম।
মন ভাল করতে নিজেই নিজের সাথে কথা বলতাম। টিভি দেখতাম, ঘুমাতাম... জম্বির মতো হয়ে গিয়েছিলাম যেন। ফিল্মি ডিপ্রেসড মেয়ের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। বারবার অসুখে পড়ছিলাম। ৬ মাস মিডিয়ার থেকে নিজেকে এক্কেবারে দূরে রেখেছিলাম। দিনে অন্তত ১০ বার কাঁদতাম।’
তবে সময়ের চাকা ঘুরতে বেশি সময় লাগেনি পরিণীতির। ২০১৬ থেকে নিজেকে আমূল বদলে নেন এই নায়িকা। রূপ আর গ্ল্যামারে মাতিয়ে রেখেছেন হিন্দি সিনেমার রঙিন দুনিয়া। কোটি পুরুষের কাছে আরাধ্য এখন পরিণীতি, স্বপ্নের নায়িকাও। অনেক নায়কই একজন ভালো অভিনেত্রী হিসেবে পরিণীতির জুটি হতে অপেক্ষায় থাকেন।
সর্বশেষ অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘খেসারি’ চলচ্চিত্র দিয়ে সাফল্য পেয়েছেন তিনি। হাতে আছে আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্র। সেগুলোও তার ক্যারিয়ারে বসন্তের হাওয়া দেবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
এলএ/এমএস