একদিন বিয়েবাড়িতে গান গেয়ে সংসার চলতো এই সুপারস্টারের
আজ তার নামে বলিউডে নত হয় অনেক সাফল্যরা। তার নাম শুনলেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে কোটি কোটি দর্শক আর ভক্তরা। তার নামেই হিট হয়ে গেছে বহু সিনেমার বহু গান। তিনি ভারতীয় সংগীতের সুপারস্টার। বলছি সনু নিগমের কথা।
কমবেশি সবাই সনুর সংগ্রামী জীবনের কথা জানেন। কারণ নিজের জীবন নিয়ে সবসময়ই খোলামেলা এই গায়ক। তার অতীত যে কতো কষ্টের ছিলো, অভাবের ছিলো সেসব জানাতে কখনো লুকোচুরি করেননি তিনি।
সম্প্রতি নিজের জন্মদিনে একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে সেসব কথাই নতুন করে শোনালেন সনু। সেখানে তিনি জানালেন, সংসার চালানোর জন্য বিয়ে বাড়িতে গান গেয়েছেন একসময়। বাকিটা ইতিহাস।
হিন্দি গানের দুনিয়ার বেতাজ বাদশা বলা সনুকে। মহম্মদ রফির গলা নকল করে গাইতেন একসময়। মাত্র চার বছর বয়সে প্রথম স্টেজে ওঠেন গান গাইতে। বাবার হাত ধরে।
১৯৭৩ সালের ৩১ জুলাই রক্তে গান নিয়ে জন্মেছিলেন সোনু নিগম। ভারত-পাকিস্তান যখন ভাগ হয়ে যায় তখন সনুর ঠাকুর্দা রিফিউজি হিসেবে চলে আসেন ভারতে। ফৈজাবাদের তেশন হটস হয় নিগম পরিবারের নয়া সাকিন। এখানেই জন্ম সনুর।
শোনা যায়, ওই গ্রামে, অশ্বত্থ গাছের নীচে রোজ সন্ধেয় সনঞ্ঝা চুলা বা বড় চুল্লি জ্বালানো হত। সেখানে গ্রামের সব মহিলারা রুটি বানাতেন। আর সেই চুলা ঘিরে ছোট ছোট ছেলেরা গোল হয়ে বসে রুটি খেত। সেই দলে থাকতেন সনুও।
তার বাবা আগম নিগম আর দিদিও খুব ভালো গান গাইতেন। মাত্র চার বছর বয়সে সোনু বাবার হাত ধরে প্রথম স্টেজে ওঠেন গান গাইতে। পরে তিনি মহম্মদ রফির গান গেয়েই শিল্পী মহলে পরিচিত হন।
মাত্র চার বছর বয়সে বাবার সঙ্গে সেই যে গান গাইতে শুরু করেন আজও তা চলছে। মঞ্চ ছাড়াও বাবার সঙ্গে বিয়েবাড়িতেও গাইতে যেতেন সনু। যা রোজগার হত, বাবার হাতে তুলে দিতেন। সংসার চালানোর জন্য। ১৯ বছর বয়সে সনু মুম্বই চলে আসেন। দুচোখে তার গায়ক হওয়ার স্বপ্ন। এখানে তিনি শিষ্যত্ব নেন ওস্তাদ গুলা্ম মুস্তাফা খানের কাছে।
অনেক কষ্টে নিজেকে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করেন এই গায়ক। পর্যায়ক্রমে বি গ্রেড, সি গ্রেড ছবিতে গান এবং অভিনয়ের সুযোগ পান। পরে টি-সিরিজ তার গানের অ্যালবাম বের করে ‘রফি কা ইয়াদোঁ’ নামে। সেই শুরু। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সনুকে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি গেয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী গান।
এলএ/এমকেএইচ