শেষ সময়ে তালিকা ধরে বই কিনছেন পাঠকরা
দুদিন সময় বাড়িয়ে অমর একুশে বইমেলা শেষ হবে আগামী শনিবার। আর তিনদিন পরই পর্দা নামবে মেলার। তাই শেষ সময়ে মেলায় বই বেচাকেনা বেড়েছে। পাঠকরা তালিকা ধরে ধরে বই কিনছেন। নির্বাচিত বই খুঁজে সংগ্রহে রাখছেন বইপ্রেমীরা। মেলার অন্তিম মুহূর্তে পাঠকদের চাহিদায় খুশি প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, স্টলে স্টলে পাঠকদের ভিড়। দর্শনার্থী কম হলেও পাঠকরা সব স্টলেই পছন্দের বই খুঁজছেন। তালিকা নিয়ে কিনছেন প্রিয় লেখকদের বই। এদিকে মেলার সময় দুদিন বাড়ানোর কারণে আজ দর্শনার্থীর সমাগম কিছুটা কম দেখা গেছে। তবে যারা আসছেন খুঁজে খুঁজে পছন্দের বই নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রয়কর্মীরা।
শিখা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী এনামুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আমরা মাসের শুরুতে যেমন প্রত্যাশা করছিলাম, শেষ সময়ে প্রকৃত পাঠকরা বই কিনবেন। সে অনুযায়ী মোটামুটি ভালো সাড়া পেয়েছি। যারা আসছেন তারা বই নিয়ে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ পাঠক বই পছন্দ করে আসছেন।
অবসর প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মো. রাসেল বলেন, সময় দুদিন বাড়ানোর কারণে আজ দর্শনার্থীর ভিড় কম। কিন্ত আজ যারাই আসছেন, তারাই কিনছেন। অনেকে ছুটির দিনে আসবেন ভেবে আজ আর আসেননি।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা মাসফিক মেয়েকে নিয়ে এসেছেন মেলায়। তিনি বলেন, আমি একটি ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউটে কাজ করি। মেলায় আসার খুব বেশি সময় পাইনি। মেলার মাঝামাঝি সময়ে কিছু বই টার্গেট করে রেখেছি।
বেসরকারি চাকরিজীবী মিনু জাহান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমি শরৎচন্দ্রের বই খুঁজছি। স্কুল জীবনে পড়েছিলাম। এখনো গল্পগুলো মনে পড়ে। মেলায় পুরানো লেখকদের বই বেশি সংগ্রহ করেছি।
অবসর প্রকাশনীর প্রকাশক নুর ই মুনতাকিম জাগো নিউজকে বলেন, শেষ সময়ে আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বেচাকেনা হচ্ছে। আজ ছবি তোলার দর্শনার্থীদের সংখ্যা কম। পাঠকরা যারাই আসছেন, কিছু না কিছু বই কিনছেন।
জানা গেছে লিপ ইয়ারের কারনে ২৯ দিন হওয়ার কথা ছিল বইমেলা। তবে ১ ও ২ মার্চ ছুটির দিন হওয়ায় প্রকাশকদের আবেদনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মেলার সময় বৃদ্ধি করে কর্তৃপক্ষ।
আরএএস/এমএইচআর/জিকেএস