ভিডিও EN
  1. Home/
  2. একুশে বইমেলা

বইমেলায় নজর কাড়ছে রিকশাচিত্রে আঁকা নান্দনিক স্টল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৫২ এএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় বইপ্রেমীদের ভিড়ে সরগরম হয়ে ওঠে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন স্টলে ভিড় দেখা যায় দর্শনার্থীদের। এবারের মেলায় স্টলগুলোও সাজানো হয়েছে বর্ণীল সাজে। বিভিন্ন প্রকাশনী তাদের নিজস্ব আঙ্গিকে স্টল সাজিয়েছে। তবে বিশেষ নজর কেড়েছে অন্যপ্রকাশের স্টলটি। রিকশাচিত্রের সাজে সাজানো অন্যপ্রকাশের স্টল দেখে মুগ্ধ লেখক-পাঠক ও দর্শনার্থীরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল প্রবেশপথ দিয়ে বাঁ দিকে সোজা হেঁটে গেলে উদ্যানের মঞ্চের পাশেই দেখা মিলবে ভিন্ন সাজের স্টলটি।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্যপ্রকাশের স্টলটি ঘিরে বইপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের ভিড়। স্টলটি সাজানো হয়েছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রিকশাচিত্রের সাজে। রিকশার হুডের অবকাঠামোও রয়েছে। স্টলটির চারপাশে দাঁড়িয়ে পাঠক ও দর্শনার্থীদের ছবি ও সেলফি তুলতে দেখা যায়।

সেখানে কথা হয় মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের শিক্ষার্থী সায়মনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এবছর আজ প্রথম মেলায় এসেছি। এসে সব ঘুরে ঘুরে দেখেছি। তবে হঠাৎ এই স্টলে চোখ আটকা গেলো। এটি কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী। রিকশাচিত্র দিয়ে সাজানো, সঙ্গে লাইটিং, খুবই ভালো লেগেছে।

jagonews24

আরও পড়ুন>> সন্ধ্যায় বইপ্রেমীদের ভিড়ে সরগরম বইমেলা

এই স্টলে বই কিনছিলেন আরেক পাঠক তানসেন সাদিক। তিনি বলেন, বইমেলার স্টলগুলো পাঠকদের অনেক আনন্দ দেয়। স্টল সুন্দর হলে পাঠকরাও ঢু মারেন। অন্যান্য প্যাভিলিয়নের চেয়ে এই প্যাভিলিয়নে একটু বেশি ভিড়। এটার পাশে ছবিও তুলেছি। এছাড়াও মেলায় শব্দশৈলী, পুঁথিনিলয়ের স্টলও ভালো লেগেছে।

স্টলটির সৌন্দর্যের বিষয়ে কথা হয় স্টলের বিক্রয়কর্মী বায়েজিদ প্রান্তের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এটি আসলে এক মাস আগে থেকে প্ল্যান করা। রিকশাচিত্র তো ইউনেস্কোর ‌‘অপিরেময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে স্থান পেয়েছে। তাই এবার প্রকাশক এভাবে স্টল সাজিয়েছেন। দর্শনার্থীরাও এই স্টল দেখে মুগ্ধ। তারা বই কিনতে এসে স্টলের সৌন্দর্যের প্রশংসা করছেন।

অন্যপ্রকাশের ম্যানেজার জাহিদুর রহমান বলেন, এটা আমাদের প্রকাশকের প্ল্যান। মেলায় নিজেদের উপস্থাপন করার একটি ভিন্ন মাধ্যম। স্টলের সৌন্দর্য পাঠকদের আকর্ষিত করে।

জানা যায়, শুক্রবার ভাষার মাসের প্রথম ছুটির দিনে সকাল থেকেই মেলা ছিল প্রাণবন্ত। শিশু প্রহর থেকে শুরু করে মেলার প্রতিটি চত্বর বইপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল।

আরএএস/ইএ