বৈশাখী ঝড়-লকডাউনে বইমেলায় ছন্দপতন
ঝড়-বৃষ্টি ও লকডাউনের কারণে ছন্দপতন ঘটেছে অমর একুশে বইমেলায়। সোমবার (৫ এপ্রিল) ভোরে সরেজমিনে টিএসসির অদূরে বইমেলার প্রবেশদ্বারের সামনে গিয়ে দেখা যায়, রোববার রাতের ঝড়ে উত্তর পাশের সীমানার টিনের বেড়া ভেঙে পড়ে আছে। ঝড়ে ভেতরের বইয়ের দোকানসহ বিভিন্ন কোম্পানির ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে গেছে।
দুপুর ১টায় বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, চারদিক ক্রেতাশূন্য। দোকানিদের অনেকেই রোববার রাতের ঝড় ও বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া বই রোদে শুকাচ্ছেন। কেউবা ঝড়ে ধুলাবালি জমা বই ঝাড় দিচ্ছেন। আবার কেউ মধ্য দুপুরের কড়া রোদে দোকানে বসে ঝিমুচ্ছেন। খাবারের দোকানিরা হতাশ হয়ে ঝিমুচ্ছেন।
বইমেলায় যে একেবারেই দর্শনার্থী বা ক্রেতা নেই তা বলা যাবে না। কিছুসংখ্যক দর্শনার্থী-ক্রেতা এলেও তারা বই কেনার চেয়ে ঘুরে বেড়ানোয় বেশি ব্যস্ত।
করোনা সংক্রমণ রোধে এবারের মেলায় মেশিনে জ্বর মেপে দর্শনার্থী প্রবেশ করানো হচ্ছে। ভেতরে প্রবেশের পর পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা স্যানিটাইজার হাতে দেয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে যাদের জন্য এতো আয়োজন শুধু নেই সেই ক্রেতা দর্শনার্থী। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দর্শনার্থী-ক্রেতা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন দোকানিরা।
চলমান লকডাউনে বইমেলা স্থগিত না করে সময় পরিবর্তন করে দুপুর ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত করা হয়েছে। রোববার (৪ এপ্রিল) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও সরকার কর্তৃক লকডাউন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলার কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ ও জনসমাবেশের ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
এমইউ/ইএ/জিকেএস