ভিডিও EN
  1. Home/
  2. একুশে বইমেলা

মেলায় ভিড় বাড়লেও আশানুরূপ বিক্রি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০৭ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বাংলা একাডেমির আয়োজনে প্রতিবছরের মতো চলছে অমর একুশে বইমেলা। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টার পর থেকে লেখক, প্রকাশক ও পাঠকের আনাগোনায় মুখর থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলায় ঘুরে ঘুরে নিজেদের পছন্দের বই কেনেন অনেকে। তবে মেলায় আশানুরূপ বই বিক্রি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

তারা বলেছেন, মেলার শুরু থেকেই পাঠকদের আনাগোনা ভালোই। এখন ভিড় বাড়লেও বিক্রি তেমন বাড়েনি। সন্ধ্যার পর পাঠকের ভিড় বাড়ে, কিন্তু তেমন বই বিক্রি হচ্ছে না।

book-fair-4.jpg

শনিবার ঘুরে দেখা যায়, বাবা-মায়ের কোলে চড়ে ও হাত ধরে হেঁটে মেলায় বই কিনতে এসেছে অনেক কোমলমতি শিশু। অনেক তরুণীকে দেখা গেছে শাড়ি পরে চুলের খোঁপায় ফুল গুঁজে শেষ বিকেলে মেলায় প্রবেশ করছেন। অনেকে বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জন নিয়ে বিভিন্ন স্টল ঘুরে বই দেখছেন। কেউ আবার বিভিন্ন বেশে ছবি তুলতে ব্যস্ত।

তবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ও শিশু কিশোরদের বই তুলনামূলক বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে বেশ কয়েকটি স্টলে কথা বলে জানা গেছে।

একটি স্টলে বই কিনছিলেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র খালেদ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। ভালোবাসা আর প্রাণের টানে আমরা প্রতিবছরই বইমেলায় ঘুরতে ও বই কিনতে আসি। এবার পাঁচবারের মতো এসেছি।

‘গত সপ্তাহে মেলায় এসে সিলেবাসের বাইরে ও ইমোশনাল মার্কেটিং বই কিনেছি। কয়েকটি স্টল ঘুরে পছন্দ হলে বই কিনব। প্রতিবছর মেলায় না এলে ভালো লাগে না।’

book-fair-4.jpg

মায়ের সঙ্গে মেলায় এসেছে শিশু রুমি ও ইসরাত আরা জাহান। ঘুরে ঘুরে ছবি তুলতে দেখা যায় তাদের। মা ইসমত আরা জাগো নিউজকে বলছিলেন, শিশুদের নিয়ে বইমেলায় এলে তারা অনেক আনন্দিত হয়। এখন থেকে শিশুরা মায়ের ভাষার ইতিহাস জানতে পারবে।

তিনি বলেন, এখনকার বেশিরভাগ শিশু ভালো বাংলা জানে না। কারণ, অধিকাংশ শিশু ইংরেজি ভার্সনে পড়ালেখা করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, জাতির শেকড়ের ইতিহাস শিশুদের জানাতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।

একটি স্টলের বই বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বলছিলেন, মেলা এখনো তেমন জমে ওঠেনি। তবে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে। দুপুরে তেমন ভিড় না থাকলেও সন্ধ্যার পর ভিড় হচ্ছে, তবে তেমন বিক্রি হচ্ছে না।

চলতি সপ্তাহ থেকে বিক্রি বাড়তে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

book-fair-4.jpg

মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক (বিক্রয়, বিপণন ও পুনর্মুদ্রণ বিভাগ) ড. জালাল আহমেদ জানান, মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বপালন করছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। নিরাপত্তার জন্য মেলায় ২৫০টি সিসিক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্তসংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া মেলা সম্পূর্ণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত রাখা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রয়েছে।

২ ফেরুয়ারি থেকে মেলা শুরু হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

এমএইচএম/জেডএ/এমএস